পাকিস্তানের ঋণ নেওয়ার বিকল্পগুলো সীমিত হচ্ছে
যুগান্তর ডেস্ক
০৬ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০৭:৩০ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং এজেন্সিগুলোর নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং ঋণের রেটিংয়ের মান নিম্নগামী হওয়ার পর পাকিস্তানের ঋণ নেওয়ার বিকল্পগুলোসীমিত হয়ে যাচ্ছে।
শনিবার এক টক শোতে আলোচনায় এ বিষয়টি উত্থাপন করেন অর্থনীতিবিদেরা। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।
টক শোতে প্রধান আলোচক শাহবাজ রানা বলেন, এপরিস্থিতি ভাসমান ইউরোবন্ডের দরজা কার্যত বন্ধ করার পাশাপাশি দেশের ঋণের খরচ বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের জন্য সরকার বহুপাক্ষিক সংস্থা থেকে ৭.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রবাহের অনুমান করেছে। এর মধ্যে গত চার মাসে ২.৩ বিলিয়ন ডলার বিতরণ করা হয়েছে যা মোট ঋণের ৩০ শতাংশ ।
রানা বলেন, বিদেশী বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও এমন একটি সুদের হার দাবি করছে যা দেশটির দেওয়া সুদের হারের থেকে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বেশি।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের প্রায় ১.১ বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা ঋণ ব্যালেন্সে ঝুলে আছে। পাকিস্তানের দাবি, তারা ৪৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণের শর্ত পূরণ করেছে, তবে বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভার কোনো তারিখ এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি।
এদিকে পাকিস্তান সরকার গত সপ্তাহে সব স্টেকহোল্ডারকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে রেকো ডিক মামলায় ৯০০ মিলিয়ন ডলারের নিষ্পত্তি চুক্তির সমাপ্তিতে সব বাধা দূর করে চুক্তিগুলো সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে, বলেন রানা।
এছাড়া অর্থনীতিবিদ, প্রযুক্তিবিদ, ব্যবসা ও বাণিজ্য এবং তথ্য কর্মকর্তাদের চলমান ধর্মঘটের বিষয়টিও তুলে ধরেন যারা একটি বৈষম্যমূলক বিজ্ঞপ্তি জারি করার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে। এ বিজ্ঞপ্তিটি বেশিরভাগই পাকিস্তান প্রশাসনিকের পক্ষে ছিল। এই ধর্মঘটের কারণে গত কয়েকদিন ধরে তাদের মন্ত্রণালয়ের কাজ ব্যাহত হয়েছে, যোগ করেন প্রধান আলোচক।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পাকিস্তানের ঋণ নেওয়ার বিকল্পগুলো সীমিত হচ্ছে
আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং এজেন্সিগুলোর নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং ঋণের রেটিংয়ের মান নিম্নগামী হওয়ার পর পাকিস্তানের ঋণ নেওয়ার বিকল্পগুলো সীমিত হয়ে যাচ্ছে।
শনিবার এক টক শোতে আলোচনায় এ বিষয়টি উত্থাপন করেন অর্থনীতিবিদেরা। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।
টক শোতে প্রধান আলোচক শাহবাজ রানা বলেন, এ পরিস্থিতি ভাসমান ইউরোবন্ডের দরজা কার্যত বন্ধ করার পাশাপাশি দেশের ঋণের খরচ বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের জন্য সরকার বহুপাক্ষিক সংস্থা থেকে ৭.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রবাহের অনুমান করেছে। এর মধ্যে গত চার মাসে ২.৩ বিলিয়ন ডলার বিতরণ করা হয়েছে যা মোট ঋণের ৩০ শতাংশ ।
রানা বলেন, বিদেশী বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও এমন একটি সুদের হার দাবি করছে যা দেশটির দেওয়া সুদের হারের থেকে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বেশি।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের প্রায় ১.১ বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা ঋণ ব্যালেন্সে ঝুলে আছে। পাকিস্তানের দাবি, তারা ৪৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণের শর্ত পূরণ করেছে, তবে বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভার কোনো তারিখ এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি।
এদিকে পাকিস্তান সরকার গত সপ্তাহে সব স্টেকহোল্ডারকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে রেকো ডিক মামলায় ৯০০ মিলিয়ন ডলারের নিষ্পত্তি চুক্তির সমাপ্তিতে সব বাধা দূর করে চুক্তিগুলো সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে, বলেন রানা।
এছাড়া অর্থনীতিবিদ, প্রযুক্তিবিদ, ব্যবসা ও বাণিজ্য এবং তথ্য কর্মকর্তাদের চলমান ধর্মঘটের বিষয়টিও তুলে ধরেন যারা একটি বৈষম্যমূলক বিজ্ঞপ্তি জারি করার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে। এ বিজ্ঞপ্তিটি বেশিরভাগই পাকিস্তান প্রশাসনিকের পক্ষে ছিল। এই ধর্মঘটের কারণে গত কয়েকদিন ধরে তাদের মন্ত্রণালয়ের কাজ ব্যাহত হয়েছে, যোগ করেন প্রধান আলোচক।