এশিয়াজুড়ে বিস্তৃত চীনের অবৈধ নৌবহর
বিশ্বজুড়ে চীনের প্রায় ২ হাজার ৭০০টি জাহাজ অবৈধভাবে মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। নিজ দেশের সমুদ্রসীমা ছাড়িয়ে অন্য দেশের সমুদ্রাঞ্চলে বিচরণ করে মাছ শিকার করে চীনের এসব জাহাজ। খবর হংকং পোস্টের।
দ্য হংকং পোস্ট বলছে, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা ও এশিয়ার দেশগুলোর জলসীমায় অবৈধভাবে মাছ শিকার করে চীনের জাহাজ। বিশেষ করে ভারত সাগর অঞ্চলের দেশ, দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলের দেশ, রাশিয়া এবং পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো চীনের অবৈধ কার্যক্রমের ভুক্তভোগী।
ভারতীয় নৌবাহিনীর দেয়া তথ্যমতে, ২০২১ সালে ভারত সাগরের উত্তরাঞ্চলে প্রায় চারশো অবৈধ মাছ শিকারের ঘটনা ঘটেছে। আর এগুলো ঘটিয়েছে চীনের জাহাজ। ওই অঞ্চলে অবস্থিত দেশসমূহের জলসীমাও লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে চীনের বিরুদ্ধে।
ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ইরান, ওমানের অবস্থান ভারত সাগরের তীরে। চীনের এসব কর্মকাণ্ডের কারণে ব্যাপক সতর্ক অবস্থানে থাকতে হয় দেশগুলোকে।
হংকং পোস্ট আরও বলছে, মাছ ধরার জাহাজের আড়ালে জাহাজ ব্যবহার করে গোয়েন্দাগিরিরও করে চীন।
অনেক সময় অন্য দেশের পতাকা ব্যবহার করেও মাছ শিকার করে চীনের জাহাজ। ২০১৬ সালের পর এ হার বেড়েছে।
ইরানের পতাকা ব্যবহার করে দেশটির এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে ঢুকে প্রায় ৪৬ হাজার মেট্রিক টন মাছ ধরে নিয়ে যায় চীন। এ সময় ইরানের পতাকা ব্যবহারে করে চীনের জাহাজ। পরে এই মাছ দিয়ে বিভিন্ন ঔষধ তৈরির কাজে লাগায় চীন।
চীনের প্রতিবেশী হওয়ায় সবচেয়ে ভুক্তভোগী দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। দেশগুলোর জলসীমার কোন তোয়াক্কাই করে না চীন। আন্তর্জাতিক কোন আইন না মেনে অবৈধ মাছ শিকার করে দেশটি। একাধিকবার দক্ষিণ কোরিয়ার এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে ঢুকে মাছ শিকার করেছে চীন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এশিয়াজুড়ে বিস্তৃত চীনের অবৈধ নৌবহর
বিশ্বজুড়ে চীনের প্রায় ২ হাজার ৭০০টি জাহাজ অবৈধভাবে মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। নিজ দেশের সমুদ্রসীমা ছাড়িয়ে অন্য দেশের সমুদ্রাঞ্চলে বিচরণ করে মাছ শিকার করে চীনের এসব জাহাজ। খবর হংকং পোস্টের।
দ্য হংকং পোস্ট বলছে, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা ও এশিয়ার দেশগুলোর জলসীমায় অবৈধভাবে মাছ শিকার করে চীনের জাহাজ। বিশেষ করে ভারত সাগর অঞ্চলের দেশ, দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলের দেশ, রাশিয়া এবং পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো চীনের অবৈধ কার্যক্রমের ভুক্তভোগী।
ভারতীয় নৌবাহিনীর দেয়া তথ্যমতে, ২০২১ সালে ভারত সাগরের উত্তরাঞ্চলে প্রায় চারশো অবৈধ মাছ শিকারের ঘটনা ঘটেছে। আর এগুলো ঘটিয়েছে চীনের জাহাজ। ওই অঞ্চলে অবস্থিত দেশসমূহের জলসীমাও লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে চীনের বিরুদ্ধে।
ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ইরান, ওমানের অবস্থান ভারত সাগরের তীরে। চীনের এসব কর্মকাণ্ডের কারণে ব্যাপক সতর্ক অবস্থানে থাকতে হয় দেশগুলোকে।
হংকং পোস্ট আরও বলছে, মাছ ধরার জাহাজের আড়ালে জাহাজ ব্যবহার করে গোয়েন্দাগিরিরও করে চীন।
অনেক সময় অন্য দেশের পতাকা ব্যবহার করেও মাছ শিকার করে চীনের জাহাজ। ২০১৬ সালের পর এ হার বেড়েছে।
ইরানের পতাকা ব্যবহার করে দেশটির এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে ঢুকে প্রায় ৪৬ হাজার মেট্রিক টন মাছ ধরে নিয়ে যায় চীন। এ সময় ইরানের পতাকা ব্যবহারে করে চীনের জাহাজ। পরে এই মাছ দিয়ে বিভিন্ন ঔষধ তৈরির কাজে লাগায় চীন।
চীনের প্রতিবেশী হওয়ায় সবচেয়ে ভুক্তভোগী দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। দেশগুলোর জলসীমার কোন তোয়াক্কাই করে না চীন। আন্তর্জাতিক কোন আইন না মেনে অবৈধ মাছ শিকার করে দেশটি। একাধিকবার দক্ষিণ কোরিয়ার এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে ঢুকে মাছ শিকার করেছে চীন।