ইরানে সামরিক স্থাপনায় ড্রোন হামলা
ইরানের একটি সামরিক স্থাপনায় ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দেশটির ইসফাহান শহরের একটি প্রতিরক্ষা কারখানায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
রোববার ভোরে ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
তবে সামরিক স্থাপনায় ড্রোন হামলার চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে তেহরান।
এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার রাতে ইসফাহান শহরের ইরানি প্রতিরক্ষা কারখানায় এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, হামলা চালাতে আসা তিনটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী।
অবশ্য কারা এ হামলা চালিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে তা জানায়নি ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে রয়টার্স জানিয়েছে, ইরানের কেন্দ্রীয় শহর ইসফাহানের একটি সামরিক প্ল্যান্টে ‘ব্যর্থ’ ড্রোন হামলার কারণে বিকট বিস্ফোরণ হয়েছে বলে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে।
আইআরএনএয়ের প্রকাশিত ইরানি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘হামলা চালাতে আসা একটি (ড্রোন) ... বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে পাল্টা আঘাত করা হয়েছে এবং অন্য দুটি ড্রোন ইরানি প্রতিরক্ষা ফাঁদে পড়ে বিস্ফোরিত হয়েছে। সৌভাগ্যবশত এই ব্যর্থ আক্রমণে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি এবং ওয়ার্কশপের ছাদের সামান্য ক্ষতি হয়েছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তাবরিজের কাছে একটি শিল্পাঞ্চলের তেল শোধনাগারে আগুন লেগেছে। আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে টিভি ফুটেজে দমকলকর্মীদের আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
এপি বলছে, ইরান ও ইসরাইল দীর্ঘদিন ধরে ঠাণ্ডা যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। আর এ যুদ্ধের মধ্যে ইরানের সামরিক এবং পারমাণবিক স্থাপনায় গোপন হামলাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এর আগে ২০২১ সালের এপ্রিলে ইরান তার ভূগর্ভস্থ নাতানজ পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলার জন্য ইসরাইলকে দোষারোপ করেছিল। ওই হামলায় ইরানি এ পারমাণবিক স্থাপনার সেন্ট্রিফিউজগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
এরও আগে ২০২০ সালে ইরানে হওয়া অত্যাধুনিক এক হামলার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছিল তেহরান। ওই হামলার মাধ্যমে ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয়েছিল।
ইরান বরাবরই বলে আসছে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। তবে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা, পশ্চিমা বহুদেশ ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বলছে, ইরান ২০০৩ সাল পর্যন্ত সংগঠিত পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি চালিয়েছিল।
সূত্র: এপি, রয়টার্স।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ইরানে সামরিক স্থাপনায় ড্রোন হামলা
ইরানের একটি সামরিক স্থাপনায় ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দেশটির ইসফাহান শহরের একটি প্রতিরক্ষা কারখানায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
রোববার ভোরে ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
তবে সামরিক স্থাপনায় ড্রোন হামলার চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে তেহরান।
এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার রাতে ইসফাহান শহরের ইরানি প্রতিরক্ষা কারখানায় এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, হামলা চালাতে আসা তিনটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী।
অবশ্য কারা এ হামলা চালিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে তা জানায়নি ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে রয়টার্স জানিয়েছে, ইরানের কেন্দ্রীয় শহর ইসফাহানের একটি সামরিক প্ল্যান্টে ‘ব্যর্থ’ ড্রোন হামলার কারণে বিকট বিস্ফোরণ হয়েছে বলে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে।
আইআরএনএয়ের প্রকাশিত ইরানি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘হামলা চালাতে আসা একটি (ড্রোন) ... বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে পাল্টা আঘাত করা হয়েছে এবং অন্য দুটি ড্রোন ইরানি প্রতিরক্ষা ফাঁদে পড়ে বিস্ফোরিত হয়েছে। সৌভাগ্যবশত এই ব্যর্থ আক্রমণে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি এবং ওয়ার্কশপের ছাদের সামান্য ক্ষতি হয়েছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তাবরিজের কাছে একটি শিল্পাঞ্চলের তেল শোধনাগারে আগুন লেগেছে। আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে টিভি ফুটেজে দমকলকর্মীদের আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
এপি বলছে, ইরান ও ইসরাইল দীর্ঘদিন ধরে ঠাণ্ডা যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। আর এ যুদ্ধের মধ্যে ইরানের সামরিক এবং পারমাণবিক স্থাপনায় গোপন হামলাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এর আগে ২০২১ সালের এপ্রিলে ইরান তার ভূগর্ভস্থ নাতানজ পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলার জন্য ইসরাইলকে দোষারোপ করেছিল। ওই হামলায় ইরানি এ পারমাণবিক স্থাপনার সেন্ট্রিফিউজগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
এরও আগে ২০২০ সালে ইরানে হওয়া অত্যাধুনিক এক হামলার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছিল তেহরান। ওই হামলার মাধ্যমে ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয়েছিল।
ইরান বরাবরই বলে আসছে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। তবে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা, পশ্চিমা বহুদেশ ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বলছে, ইরান ২০০৩ সাল পর্যন্ত সংগঠিত পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি চালিয়েছিল।
সূত্র: এপি, রয়টার্স।