পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ইরান-রাশিয়ার ভিন্ন কৌশল
অনলাইন ডেস্ক
৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:৫১:৫২ | অনলাইন সংস্করণ
যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এড়াতে এবার ভিন্ন কৌশল নিয়েছে ইরান ও রাশিয়া। এ লক্ষ্যে দেশ দুটি আন্তঃব্যাংক যোগাযোগ ও লেনদেন শুরুর বিষয়ে চুক্তি করেছে। এর মাধ্যমে ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন কৌশলে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে পাশ কাটাচ্ছে তেহরান ও মস্কো।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরমাণু চুক্তি হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড চুক্তি থেকে একতরফাভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। তখন থেকেই তেহরানের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে ওয়াশিংটন। এমনকি বেলজিয়ামভিত্তিক আন্তর্জাতিক লেনদেনের সিস্টেম সুইফট থেকেও ইরানকে ডিসকানেক্ট করা হয়।
অন্যদিকে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এর পর থেকে রাশিয়াকে চাপে রাখতে মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞার পাহাড় জমিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো। এ ছাড়া সুইফট সিস্টেমে রাশিয়ার কিছু ব্যাংকের অ্যাকসেস সীমিত করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মোহসেন কারিমি আধাসরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজকে বলেছেন, ‘রাশিয়ান ব্যাংকের সঙ্গে ইরানিয়ান ব্যাংকের লেনদেনের ক্ষেত্রে আর সুইফটের প্রয়োজন নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইরানের সঙ্গে আন্তঃব্যাংক সিস্টেমে বিশ্বের ১৩ দেশে রাশিয়ার ৭০০ এবং অ-রাশিয়ান ১০৬টি ব্যাংকের কার্যক্রম চলবে।’ তবে বিদেশি ব্যাংকগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেননি তিনি। অবশ্য এসব বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান মোহাম্মদ ফারজিন এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে টুইট করেছেন। সেখানে তিনি বলেন, বিশ্বের সঙ্গে ইরানের ফিন্যান্সিয়াল চ্যানেল চালু হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইরান ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠতা অনেক বেড়ে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশ দুটি অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামরিক, যোগাযোগ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে বেশ কিছু চুক্তি করেছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ইরান-রাশিয়ার ভিন্ন কৌশল
যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এড়াতে এবার ভিন্ন কৌশল নিয়েছে ইরান ও রাশিয়া। এ লক্ষ্যে দেশ দুটি আন্তঃব্যাংক যোগাযোগ ও লেনদেন শুরুর বিষয়ে চুক্তি করেছে। এর মাধ্যমে ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন কৌশলে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে পাশ কাটাচ্ছে তেহরান ও মস্কো।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরমাণু চুক্তি হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড চুক্তি থেকে একতরফাভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। তখন থেকেই তেহরানের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে ওয়াশিংটন। এমনকি বেলজিয়ামভিত্তিক আন্তর্জাতিক লেনদেনের সিস্টেম সুইফট থেকেও ইরানকে ডিসকানেক্ট করা হয়।
অন্যদিকে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এর পর থেকে রাশিয়াকে চাপে রাখতে মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞার পাহাড় জমিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো। এ ছাড়া সুইফট সিস্টেমে রাশিয়ার কিছু ব্যাংকের অ্যাকসেস সীমিত করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মোহসেন কারিমি আধাসরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজকে বলেছেন, ‘রাশিয়ান ব্যাংকের সঙ্গে ইরানিয়ান ব্যাংকের লেনদেনের ক্ষেত্রে আর সুইফটের প্রয়োজন নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইরানের সঙ্গে আন্তঃব্যাংক সিস্টেমে বিশ্বের ১৩ দেশে রাশিয়ার ৭০০ এবং অ-রাশিয়ান ১০৬টি ব্যাংকের কার্যক্রম চলবে।’ তবে বিদেশি ব্যাংকগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেননি তিনি। অবশ্য এসব বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান মোহাম্মদ ফারজিন এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে টুইট করেছেন। সেখানে তিনি বলেন, বিশ্বের সঙ্গে ইরানের ফিন্যান্সিয়াল চ্যানেল চালু হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইরান ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠতা অনেক বেড়ে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশ দুটি অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামরিক, যোগাযোগ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে বেশ কিছু চুক্তি করেছে।