১২ স্ত্রী ১০২ সন্তান, অনেকেরই নাম জানেন না মুসা
jugantor
১২ স্ত্রী ১০২ সন্তান, অনেকেরই নাম জানেন না মুসা

  যুগান্তর ডেস্ক  

০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০:৫৯:১১  |  অনলাইন সংস্করণ

পূর্ব উগান্ডার বুতালেজা জেলার বুগিসা গ্রামের বাসিন্দা মুসা হাসহ্যা কাসেরা। তার ১২ জন স্ত্রী, ১০২ সন্তান এবং ৫৭৮ জন নাতি-নাতনি রয়েছেন। তাদের বেশিরভাগের নাম মনে করতে পারেন না তিনি। পরিবারের সদস্য সংখ্যা তার কাছে এখন যথেষ্ট মনে হচ্ছে এবং তাদের জন্য খাবার সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। খবর এনডিটিভির।

৬৮ বছর বয়সি মুসা এএফপিকে বলেছেন, ‘প্রথমে এটি একটি রসিকতা ছিল ... কিন্তু এখন এটি সমস্যা সৃষ্টি করেছে।

দিন দিন আমার স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যাচ্ছে এবং এত বড় পরিবারের জন্য মাত্র দুই একর জমি যথেষ্ট নয়। আমি খাদ্য, শিক্ষা, পোশাকের মতো মৌলিক জিনিসগুলো বহন করতে পারিনি বলেই দুইজন স্ত্রী চলে গেছেন।’

মুসা বলেন, ‘সন্তানের সংখ্যা যাতে না বাড়ে সেজন্য স্ত্রীরা এখন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করছেন। আমার স্ত্রীরা গর্ভনিরোধক ব্যবহার করছেন, কিন্তু আমি তা নই। আর সন্তান চাই না, কারণ দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ থেকে শিখেছি যে, এতোগুলো সন্তান জন্ম দেওয়ার কারণে দেখাশোনা করতে পারি না।’

মুসার ১০২ সন্তানের বয়স ১০ থেকে ৫০-এর মধ্যে। তার সবচেয়ে ছোট স্ত্রীর বয়স প্রায় ৩৫ বছর।

সন্তানদের জন্মের বিবরণ খুঁজতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বড় অপারগতার কারণ হলো আমি শুধুমাত্র আমার প্রথম এবং শেষ সন্তানের নাম মনে রাখতে পারি। বাকিদের নাম ধরে ডাকতে পারি না। এটির জন্য সন্তানের মায়েরা আমাকে শনাক্ত করতে সাহায্য করে।’

১৯৭২ সালে একটি ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিয়ে করেন মুসা। তখন তার ও স্ত্রীর উভয়ের বয়স ছিল ১৭ বছর। বিয়ের এক বছর পর প্রথম সন্তানের বাবা হন মুসা।

মুসা বলেন, ‘পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রাখতেই ভাই, আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুরা আমাকে বহুবিবাহ এবং অনেক সন্তান জন্মদানের পরামর্শ দিয়েছিলেন।’ এখন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ছোট ছোট জরাজীর্ণ বাড়িতে বসবাস করছেন তিনি।

১২ স্ত্রী ১০২ সন্তান, অনেকেরই নাম জানেন না মুসা

 যুগান্তর ডেস্ক 
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:৫৯ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

পূর্ব উগান্ডার বুতালেজা জেলার বুগিসা গ্রামের বাসিন্দা মুসা হাসহ্যা কাসেরা। তার ১২ জন স্ত্রী, ১০২ সন্তান এবং ৫৭৮ জন নাতি-নাতনি রয়েছেন। তাদের বেশিরভাগের নাম মনে করতে পারেন না তিনি। পরিবারের সদস্য সংখ্যা তার কাছে এখন যথেষ্ট মনে হচ্ছে এবং তাদের জন্য খাবার সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। খবর এনডিটিভির।

৬৮ বছর বয়সি মুসা এএফপিকে বলেছেন, ‘প্রথমে এটি একটি রসিকতা ছিল ... কিন্তু এখন এটি সমস্যা সৃষ্টি করেছে। 

দিন দিন আমার স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যাচ্ছে এবং এত বড় পরিবারের জন্য মাত্র দুই একর জমি যথেষ্ট নয়। আমি খাদ্য, শিক্ষা, পোশাকের মতো মৌলিক জিনিসগুলো বহন করতে পারিনি বলেই দুইজন স্ত্রী চলে গেছেন।’

মুসা বলেন, ‘সন্তানের সংখ্যা যাতে না বাড়ে সেজন্য স্ত্রীরা এখন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করছেন। আমার স্ত্রীরা গর্ভনিরোধক ব্যবহার করছেন, কিন্তু আমি তা নই। আর সন্তান চাই না, কারণ দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ থেকে শিখেছি যে, এতোগুলো সন্তান জন্ম দেওয়ার কারণে দেখাশোনা করতে পারি না।’

মুসার ১০২ সন্তানের বয়স ১০ থেকে ৫০-এর মধ্যে। তার সবচেয়ে ছোট স্ত্রীর বয়স প্রায় ৩৫ বছর।

সন্তানদের জন্মের বিবরণ খুঁজতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বড় অপারগতার কারণ হলো আমি শুধুমাত্র আমার প্রথম এবং শেষ সন্তানের নাম মনে রাখতে পারি। বাকিদের নাম ধরে ডাকতে পারি না। এটির জন্য সন্তানের মায়েরা আমাকে শনাক্ত করতে সাহায্য করে।’

১৯৭২ সালে একটি ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিয়ে করেন মুসা। তখন তার ও স্ত্রীর উভয়ের বয়স ছিল ১৭ বছর। বিয়ের এক বছর পর প্রথম সন্তানের বাবা হন মুসা। 

মুসা বলেন, ‘পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রাখতেই ভাই, আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুরা আমাকে বহুবিবাহ এবং অনেক সন্তান জন্মদানের পরামর্শ দিয়েছিলেন।’ এখন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ছোট ছোট জরাজীর্ণ বাড়িতে বসবাস করছেন তিনি।
 

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন