উইঘুর নিয়ে কানাডায় ঐতিহাসিক বিল, ক্ষুব্ধ চীন
jugantor
উইঘুর নিয়ে কানাডায় ঐতিহাসিক বিল, ক্ষুব্ধ চীন

  অনলাইন ডেস্ক  

০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:৫৪:২৪  |  অনলাইন সংস্করণ

উইঘুর

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে চরম দমনপীড়নের শিকার সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের ব্যাপারে ঐতিহাসিক একটি বিল পাস করেছে কানাডা সরকার। এর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে বেইজিং।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকার সম্প্রতি এম-৬২ নামক একটি বিল পাস করে। বিল অনুযায়ী, মূলত জিনজিয়াং থেকে দেশটিতে পালিয়ে যাওয়া ১০ হাজার উইঘুর মুসলিমকে কানাডায় পুনর্বাসন করা হবে। আগামী দুই বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের মধ্যে তাদের পুনর্বাসন করা হবে।

দ্য জেনেভা ডেইলির বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১ জানুয়ারি কানাডার পার্লামেন্ট হাউস অব কমন্সে বিলটি ৩২২-০ ভোটে পাস হয়।

এতে বলা হয়,‘উইঘুররা চীনে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় চাপ ও ভয়ভীতির সম্মুখীন হয়। কারণ সেখানে তাদেরনির্বিচার আটক, শিশুদের তাদের পিতামাতার কাছ থেকে ব্যাপকভাবে বিচ্ছিন্নকরণ, জোরপূর্বক বন্ধ্যত্বকরণ, শ্রমে বাধ্যকরণ, নির্যাতন এবং অন্যান্য নৃশংসতার গুরুতর ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়।’

খবরে বলা হয়েছে, বিলটির উত্থাপক লিবারেল পার্টির সদস্য সামীর জুবেরি। তিনি প্রস্তাব পাসের এ ঘটনাকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেছেন। জুবেরি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এই বিল পাসের ঘটনা স্পষ্টভাবে এটাই প্রমাণ করে যে, উইঘুর জনগণের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনকে আমরা গ্রহণ করি না।’

বিলটিতে এ অভিযোগও করা হয়েছে যে, সবচেয়ে বেশি উইঘুর বসবাস করা তুরস্ক, কাজাখস্তান ও কিরগিস্তানের ওপর অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করছে বেইজিং, যাতে তাদের (উইঘুর) গ্রেফতার করে চীনের মতো অনিরাপদ স্থানে হস্তান্তর করা হয়।

প্রসঙ্গত, কানাডাই প্রথম দেশ, যারা ২০২১ সালে চীনের বিরুদ্ধে উইঘুরদের ওপর গণহত্যার অভিযোগ আনে।

এদিকে, কানাডার এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বৃহস্পতিবার বলেন, জিনজিয়াং ইস্যুকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে অটোয়া বিভ্রান্তি ছড়ানোর মাধ্যমে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করছে।

এ ছাড়া জেনেভায় জাতিসংঘে চীনা মিশনের সিনিয়র কর্মকর্তা জিয়াং ডুয়ান বলেছেন, ঐতিহাসিকভাবে কানাডা আদিবাসীদের জমি লুট, তাদের হত্যা এবং তাদের সংস্কৃতি নির্মূলকরণের সঙ্গে জড়িত।

অভিযোগ রয়েছে, চীনা কর্তৃপক্ষ প্রায় ১০ লাখ উইঘুর মুসলিমকে ডিটেনশন ক্যাম্পে (বন্দিশিবির) আটকে রেখেছে। তাদের দিয়ে বিভিন্ন পণ্য উৎদপাদন করানো হয়। কিন্তু তাদের না আছে কোনো স্বাধীনতা, কিংবা অবসর। একইসঙ্গে চীনা শিক্ষণের মাধ্যমে তাদের জোরপূর্বক কমিউনিস্ট জনগণের উপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে।

উইঘুর নিয়ে কানাডায় ঐতিহাসিক বিল, ক্ষুব্ধ চীন

 অনলাইন ডেস্ক 
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৫:৫৪ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ
উইঘুর
উইঘুর ইস্যুতে কানাডায় ঐতিহাসিক বিল পাস। ছবি: সংগৃহীত

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে চরম দমনপীড়নের শিকার সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের ব্যাপারে ঐতিহাসিক একটি বিল পাস করেছে কানাডা সরকার। এর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে বেইজিং।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকার সম্প্রতি এম-৬২ নামক একটি বিল পাস করে। বিল অনুযায়ী, মূলত জিনজিয়াং থেকে দেশটিতে পালিয়ে যাওয়া ১০ হাজার উইঘুর মুসলিমকে কানাডায় পুনর্বাসন করা হবে। আগামী দুই বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের মধ্যে তাদের পুনর্বাসন করা হবে।

দ্য জেনেভা ডেইলির বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১ জানুয়ারি কানাডার পার্লামেন্ট হাউস অব কমন্সে বিলটি ৩২২-০ ভোটে পাস হয়।

এতে বলা হয়,‘উইঘুররা চীনে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় চাপ ও ভয়ভীতির সম্মুখীন হয়। কারণ সেখানে তাদেরনির্বিচার আটক, শিশুদের তাদের পিতামাতার কাছ থেকে ব্যাপকভাবে বিচ্ছিন্নকরণ, জোরপূর্বক বন্ধ্যত্বকরণ, শ্রমে বাধ্যকরণ, নির্যাতন এবং অন্যান্য নৃশংসতার গুরুতর ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়।’

খবরে বলা হয়েছে, বিলটির উত্থাপক লিবারেল পার্টির সদস্য সামীর জুবেরি। তিনি প্রস্তাব পাসের এ ঘটনাকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেছেন। জুবেরি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এই বিল পাসের ঘটনা স্পষ্টভাবে এটাই প্রমাণ করে যে, উইঘুর জনগণের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনকে আমরা গ্রহণ করি না।’

বিলটিতে এ অভিযোগও করা হয়েছে যে, সবচেয়ে বেশি উইঘুর বসবাস করা তুরস্ক, কাজাখস্তান ও কিরগিস্তানের ওপর অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করছে বেইজিং, যাতে তাদের (উইঘুর) গ্রেফতার করে চীনের মতো অনিরাপদ স্থানে হস্তান্তর করা হয়।

প্রসঙ্গত, কানাডাই প্রথম দেশ, যারা ২০২১ সালে চীনের বিরুদ্ধে উইঘুরদের ওপর গণহত্যার অভিযোগ আনে।

এদিকে, কানাডার এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বৃহস্পতিবার বলেন, জিনজিয়াং ইস্যুকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে অটোয়া বিভ্রান্তি ছড়ানোর মাধ্যমে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করছে।

এ ছাড়া জেনেভায় জাতিসংঘে চীনা মিশনের সিনিয়র কর্মকর্তা জিয়াং ডুয়ান বলেছেন, ঐতিহাসিকভাবে কানাডা আদিবাসীদের জমি লুট, তাদের হত্যা এবং তাদের সংস্কৃতি নির্মূলকরণের সঙ্গে জড়িত।

অভিযোগ রয়েছে, চীনা কর্তৃপক্ষ প্রায় ১০ লাখ উইঘুর মুসলিমকে ডিটেনশন ক্যাম্পে (বন্দিশিবির) আটকে রেখেছে। তাদের দিয়ে বিভিন্ন পণ্য উৎদপাদন করানো হয়। কিন্তু তাদের না আছে কোনো স্বাধীনতা, কিংবা অবসর। একইসঙ্গে চীনা শিক্ষণের মাধ্যমে তাদের জোরপূর্বক কমিউনিস্ট জনগণের উপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন