ভূমিকম্পে চাপা পড়ে আছেন ফুটবল ও ভলিবল খেলোয়াড়েরা
যুগান্তর ডেস্ক
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:২৩:১৫ | অনলাইন সংস্করণ
শক্তিশালী ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড হয়েছে সিরিয়া ও তুরস্ক। ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পে তুরস্ক ও প্রতিবেশী সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৫০০০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
শত শত ভবন ধসে পড়ায় নিচে আটকা পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। নিহততের সংখ্যা ১০ হাজার ছুঁতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধ্বংসস্তুপে আটকা পড়েছেন অনেক খেলোয়াড়ও।
আহত ব্যক্তিদের তালিকায় আছেন চেলসি ও নিউক্যাসল ইউনাইটেডের সাবেক ফুটবলার ক্রিস্তিয়ান আতসুও। ঘানার এই উইঙ্গার বর্তমানে খেলছেন তুরস্কের ক্লাব হাতাইস্পোরে।
পরশু রাতেই গোল করে দলকে জিতিয়েছেন আতসু। সেই মানুষটিই ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’ জানিয়েছে, হাতাইয়ের আন্তাকিয়া এলাকার বহুতল একটি হোটেলে ছিলেন ৩১ বছর বয়সী আতসু। ভূমিকম্পে ভবন পুরোপুরি বিধ্বস্ত হলে তার নিচে চাপা পড়েন এ ফুটবলার। তাকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি হাত পায়ে চোট পেয়েছেন। নিশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে।
তবে তুর্কি সাংবাদিক ইয়াগিজ সাবুনচোগলু জানিয়েছেন, আতসুকে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। শুধু আতসুই নন; ক্লাবের ক্রীড়া পরিচালক তানের সাভুতও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।
শুধু ফুটবলারই নন, ভূমিকম্পে তুরস্কের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী ভলিবল দলের ১৪ খেলোয়াড় ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকা পড়েছেন। ভূমিকম্পের কারণে তুর্কি সুপার লিগের সব ম্যাচ স্থগিত করেছে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন। এছাড়া পরবর্তী ঘোষণার আগ পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে সবধরণের খেলাধুলা।
সোমবারের এই ভূমিকম্পে শুধু তুরস্কেই ৬০০০ বাড়িঘর ধসে পড়েছে। ২০০র মতো আফটার শক হয়েছে।
এখনও ধ্বংসস্তুপের ভেতরে আর্তকান্না শোনা যাচ্ছে বলে উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন।
মৃত্যুর দোরগোড়া থেকে ভাগ্যজোরে বেঁচে ফেরা সেসব তুর্কি ও সিরীয়রা জানিয়েছেন তাদের ভয়াবহ দুঃস্বপ্নের গা শিউরে ওঠা বাস্তবতা।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ানতেপ শহরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পের পর আরো অন্তত ৭৭টি আফটারশক (পরাঘাত) অনুভূত হয়, যার মধ্যে তিনটি ছিল রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার বেশি। আবার একটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ভূমিকম্পে চাপা পড়ে আছেন ফুটবল ও ভলিবল খেলোয়াড়েরা
শক্তিশালী ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড হয়েছে সিরিয়া ও তুরস্ক। ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পে তুরস্ক ও প্রতিবেশী সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৫০০০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
শত শত ভবন ধসে পড়ায় নিচে আটকা পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। নিহততের সংখ্যা ১০ হাজার ছুঁতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধ্বংসস্তুপে আটকা পড়েছেন অনেক খেলোয়াড়ও।
আহত ব্যক্তিদের তালিকায় আছেন চেলসি ও নিউক্যাসল ইউনাইটেডের সাবেক ফুটবলার ক্রিস্তিয়ান আতসুও। ঘানার এই উইঙ্গার বর্তমানে খেলছেন তুরস্কের ক্লাব হাতাইস্পোরে।
পরশু রাতেই গোল করে দলকে জিতিয়েছেন আতসু। সেই মানুষটিই ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’ জানিয়েছে, হাতাইয়ের আন্তাকিয়া এলাকার বহুতল একটি হোটেলে ছিলেন ৩১ বছর বয়সী আতসু। ভূমিকম্পে ভবন পুরোপুরি বিধ্বস্ত হলে তার নিচে চাপা পড়েন এ ফুটবলার। তাকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি হাত পায়ে চোট পেয়েছেন। নিশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে।
তবে তুর্কি সাংবাদিক ইয়াগিজ সাবুনচোগলু জানিয়েছেন, আতসুকে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। শুধু আতসুই নন; ক্লাবের ক্রীড়া পরিচালক তানের সাভুতও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।
শুধু ফুটবলারই নন, ভূমিকম্পে তুরস্কের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী ভলিবল দলের ১৪ খেলোয়াড় ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকা পড়েছেন। ভূমিকম্পের কারণে তুর্কি সুপার লিগের সব ম্যাচ স্থগিত করেছে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন। এছাড়া পরবর্তী ঘোষণার আগ পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে সবধরণের খেলাধুলা।
সোমবারের এই ভূমিকম্পে শুধু তুরস্কেই ৬০০০ বাড়িঘর ধসে পড়েছে। ২০০র মতো আফটার শক হয়েছে।
এখনও ধ্বংসস্তুপের ভেতরে আর্তকান্না শোনা যাচ্ছে বলে উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন।
মৃত্যুর দোরগোড়া থেকে ভাগ্যজোরে বেঁচে ফেরা সেসব তুর্কি ও সিরীয়রা জানিয়েছেন তাদের ভয়াবহ দুঃস্বপ্নের গা শিউরে ওঠা বাস্তবতা।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ানতেপ শহরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পের পর আরো অন্তত ৭৭টি আফটারশক (পরাঘাত) অনুভূত হয়, যার মধ্যে তিনটি ছিল রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার বেশি। আবার একটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫।