অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদে বিশ্বভারতীর নোটিশ, মমতার হুঁশিয়ারি 
jugantor
অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদে বিশ্বভারতীর নোটিশ, মমতার হুঁশিয়ারি 

  অনলাইন ডেস্ক  

১৯ মার্চ ২০২৩, ১৯:০১:৪০  |  অনলাইন সংস্করণ

ভারতের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। রোববার তার শান্তিনিকেতনের ঠিকানায় চিঠি আকারে ওই নোটিশ পাঠানো হয়। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

চিঠিতে বলা হয়, আগামী ২৯ মার্চ অমর্ত্য সেন বা তার কোনো প্রতিনিধি যেন বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অ্যাডমিশন বিল্ডিংয়ের কনফারেন্স হলে উপস্থিত থাকেন। সেখানেই ওই ‘বিতর্কিত’ জমি নিয়ে শুনানি হবে।

বিশ্বভারতীর ওই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, অমর্ত্য বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন।

ওই জমি নিয়ে বিতর্ক বেশ পুরোনো। কিছু দিন আগে অর্থনীতিবিদ যখন শান্তিনিকেতনে ছিলেন, সেই সময় তাকে একটি চিঠি পাঠায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তাতে বলা হয়, শিগগিরই ১৩ ডেসিমেল জমি বিশ্ববিদ্যালয়কে ফেরত দিতে হবে। ওই নোটিশ ঘিরে জোরালো হয় বিতর্ক। অমর্ত্য পাল্টা দাবি করেন, ওই বাড়ির জমির একটা অংশ বিশ্বভারতীর থেকে লিজ নেওয়া, কিছুটা জমি কেনা। এখন মিথ্যা কথা বলছে কর্তৃপক্ষ।

এর মধ্যে শান্তিনিকেতনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমর্ত্যের সঙ্গে দেখা করেন। অর্থনীতিবিদের হাতে জমির মাপজোক সংক্রান্ত কাগজপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজেই বিএলআরও অফিসে গিয়েছিলেন মমতা। এরপর বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে মমতা বলেন, ‘এভাবে মানুষকে অপমান করা যায় না’। হুঁশিয়ারি দেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার।

তবে কিছুদিন আগে বাবা আশুতোষ সেনের পরিবর্তে জমির লিজ হোল্ডার হিসেবে নিজের নাম নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন করেছিলেন অমর্ত্য সেন। বোলপুর ভূমি ও ভূমিসংস্কার দপ্তরে তার শুনানি ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অমর্ত্য সেনের এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবীরা; কিন্তু দীর্ঘ শুনানির পরও তখন মীমাংসা হয়নি।

অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদে বিশ্বভারতীর নোটিশ, মমতার হুঁশিয়ারি 

 অনলাইন ডেস্ক 
১৯ মার্চ ২০২৩, ০৭:০১ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

ভারতের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। রোববার তার শান্তিনিকেতনের ঠিকানায় চিঠি আকারে ওই নোটিশ পাঠানো হয়। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। 

চিঠিতে বলা হয়, আগামী ২৯ মার্চ অমর্ত্য সেন বা তার কোনো প্রতিনিধি যেন বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অ্যাডমিশন বিল্ডিংয়ের কনফারেন্স হলে উপস্থিত থাকেন। সেখানেই ওই ‘বিতর্কিত’ জমি নিয়ে শুনানি হবে।

বিশ্বভারতীর ওই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, অমর্ত্য বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন। 

ওই জমি নিয়ে বিতর্ক বেশ পুরোনো। কিছু দিন আগে অর্থনীতিবিদ যখন শান্তিনিকেতনে ছিলেন, সেই সময় তাকে একটি চিঠি পাঠায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তাতে বলা হয়, শিগগিরই ১৩ ডেসিমেল জমি বিশ্ববিদ্যালয়কে ফেরত দিতে হবে। ওই নোটিশ ঘিরে জোরালো হয় বিতর্ক। অমর্ত্য পাল্টা দাবি করেন, ওই বাড়ির জমির একটা অংশ বিশ্বভারতীর থেকে লিজ নেওয়া, কিছুটা জমি কেনা। এখন মিথ্যা কথা বলছে কর্তৃপক্ষ।

এর মধ্যে শান্তিনিকেতনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমর্ত্যের সঙ্গে দেখা করেন। অর্থনীতিবিদের হাতে জমির মাপজোক সংক্রান্ত কাগজপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজেই বিএলআরও অফিসে গিয়েছিলেন মমতা। এরপর বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে মমতা বলেন, ‘এভাবে মানুষকে অপমান করা যায় না’। হুঁশিয়ারি দেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার।

তবে কিছুদিন আগে বাবা আশুতোষ সেনের পরিবর্তে জমির লিজ হোল্ডার হিসেবে নিজের নাম নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন করেছিলেন অমর্ত্য সেন। বোলপুর ভূমি ও ভূমিসংস্কার দপ্তরে তার শুনানি ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অমর্ত্য সেনের এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবীরা; কিন্তু দীর্ঘ শুনানির পরও তখন মীমাংসা হয়নি।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন