মাহিরা খানকে নিয়ে মন্তব্য: টুইটারে মুসলিম লিগ সিনেটরকে তুলোধুনো
অনলাইন ডেস্ক
২২ মার্চ ২০২৩, ১৬:২৩:৫২ | অনলাইন সংস্করণ
পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) দলের সিনেটর ড. আফনান উল্লাহ খানকে এক হাত নিয়েছেনটুইটার ব্যবহারকারীরা। তাদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির খ্যাতিমান অভিনেতা ফারহান সাঈদ এবং আদনান সিদ্দিকীও।
জিও নিউজ জানিয়েছে, খ্যাতিমান অভিনেত্রী মাহিরা খান এবং প্রখ্যাত ব্যঙ্গশিল্পী আনোয়ার মাকসুদকে নিয়ে অবমাননাকর ও অসামাজিক মন্তব্য করায় তার ওপর হামলে পড়েছেন টুইটার ব্যবহারকারীরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর্টস কাউন্সিল অব পাকিস্তান রোববার করাচিতে একটি ইভেন্ট আয়োজন করে। সেখানে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ তথা পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের প্রতি নিজের সমর্থনের কথা জানান অভিনেত্রী মাহিরা খান। এর একদিন পরই অপমানজনক মন্তব্য করেন ওই সিনেটর।
আফনান উল্লাহ খান নামের সিনেটর টুইট করে বলেন, মাহিরা খানের মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা রয়েছে। অপরদিকে আনোয়ার মাকসুদ তার জীবনের এই পর্যায়ে এসে মাতাল হয়েছেন। এই উভয় নির্লজ্জ চরিত্র জনসাধারণের কাছে অভিশপ্ত। মাহিরা খানের চরিত্র নিয়ে বই লেখা যেতে পারে। তিনি অর্থের জন্য ভারতীয় অভিনেতাদেরও তোষামোদ করেন। আর আনোয়ার মাকসুদ কুসংস্কারে ভরা অভিশপ্ত চরিত্র।
তার এ টুইট ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টুইটার ইউজাররা পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় দুই তারকা ও বুদ্ধিজীবীকে অপমান করার জন্য পিএমএল-এন সিনেটরকে আক্রমণ করেন।
ক্ষুব্ধ ফারহান সাইদ টুইটে বলেন, এটি এমন মানসিকতা যা পাকিস্তানকে অগ্রসর হতে দেয় না। সিনেটর? জুবান জাহিলন ওয়ালি (অজ্ঞদের ভাষা)।
অভিনেতা আদনান সিদ্দিকী লিখেছেন, একজন জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে এমন অসম্মানজনক আচরণ অগ্রহণযোগ্য। বিশ্বব্যাপী সম্মানিত আনোয়ার মাকসুদ সাহেব এবং মাহিরা খানের প্রতি যে অসম্মান দেখানো হয়েছে, সেটি তার (সিনেটর) চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ।
অপর একটি টুইটে লেখা হয়েছে, এই কারণেই আমরা পিএমএল-এন এবং এর নেতৃত্বকে ঘৃণা করি। তারা ঘৃণ্য, নারীবিদ্বেষী এবং মূলত এরা পচে গেছে।
অন্য একজন ব্যবহারকারী বলেছেন, এই যে পিএমএল-এন সিনেটর, ভাষায় লাগাম টানুন। আপনাদের চেয়ারম্যান সংস্কৃতির এই নোংরা পদ্ধতি পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় নারী সুপারস্টার মাহিরা খান এবং অন্যতম সম্মানিত বুদ্ধিজীবী আনোয়ার মাকসুদ সাহেবকে আক্রমণ করছে। কোনো প্রতিক্রিয়া?
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
মাহিরা খানকে নিয়ে মন্তব্য: টুইটারে মুসলিম লিগ সিনেটরকে তুলোধুনো
পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) দলের সিনেটর ড. আফনান উল্লাহ খানকে এক হাত নিয়েছেন টুইটার ব্যবহারকারীরা। তাদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির খ্যাতিমান অভিনেতা ফারহান সাঈদ এবং আদনান সিদ্দিকীও।
জিও নিউজ জানিয়েছে, খ্যাতিমান অভিনেত্রী মাহিরা খান এবং প্রখ্যাত ব্যঙ্গশিল্পী আনোয়ার মাকসুদকে নিয়ে অবমাননাকর ও অসামাজিক মন্তব্য করায় তার ওপর হামলে পড়েছেন টুইটার ব্যবহারকারীরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর্টস কাউন্সিল অব পাকিস্তান রোববার করাচিতে একটি ইভেন্ট আয়োজন করে। সেখানে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ তথা পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের প্রতি নিজের সমর্থনের কথা জানান অভিনেত্রী মাহিরা খান। এর একদিন পরই অপমানজনক মন্তব্য করেন ওই সিনেটর।
আফনান উল্লাহ খান নামের সিনেটর টুইট করে বলেন, মাহিরা খানের মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা রয়েছে। অপরদিকে আনোয়ার মাকসুদ তার জীবনের এই পর্যায়ে এসে মাতাল হয়েছেন। এই উভয় নির্লজ্জ চরিত্র জনসাধারণের কাছে অভিশপ্ত। মাহিরা খানের চরিত্র নিয়ে বই লেখা যেতে পারে। তিনি অর্থের জন্য ভারতীয় অভিনেতাদেরও তোষামোদ করেন। আর আনোয়ার মাকসুদ কুসংস্কারে ভরা অভিশপ্ত চরিত্র।
তার এ টুইট ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টুইটার ইউজাররা পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় দুই তারকা ও বুদ্ধিজীবীকে অপমান করার জন্য পিএমএল-এন সিনেটরকে আক্রমণ করেন।
ক্ষুব্ধ ফারহান সাইদ টুইটে বলেন, এটি এমন মানসিকতা যা পাকিস্তানকে অগ্রসর হতে দেয় না। সিনেটর? জুবান জাহিলন ওয়ালি (অজ্ঞদের ভাষা)।
অভিনেতা আদনান সিদ্দিকী লিখেছেন, একজন জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে এমন অসম্মানজনক আচরণ অগ্রহণযোগ্য। বিশ্বব্যাপী সম্মানিত আনোয়ার মাকসুদ সাহেব এবং মাহিরা খানের প্রতি যে অসম্মান দেখানো হয়েছে, সেটি তার (সিনেটর) চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ।
অপর একটি টুইটে লেখা হয়েছে, এই কারণেই আমরা পিএমএল-এন এবং এর নেতৃত্বকে ঘৃণা করি। তারা ঘৃণ্য, নারীবিদ্বেষী এবং মূলত এরা পচে গেছে।
অন্য একজন ব্যবহারকারী বলেছেন, এই যে পিএমএল-এন সিনেটর, ভাষায় লাগাম টানুন। আপনাদের চেয়ারম্যান সংস্কৃতির এই নোংরা পদ্ধতি পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় নারী সুপারস্টার মাহিরা খান এবং অন্যতম সম্মানিত বুদ্ধিজীবী আনোয়ার মাকসুদ সাহেবকে আক্রমণ করছে। কোনো প্রতিক্রিয়া?