ড্রাম বাজিয়ে সেহরির জন্য ঘুম ভাঙানো হয় যে শহরে
অনলাইন ডেস্ক
২৪ মার্চ ২০২৩, ০৮:১৭:০৩ | অনলাইন সংস্করণ
পবিত্র রমজান মাস মুসলমানদের কাছে পবিত্র এক মাস। এ মাসে প্রত্যেক মুসল্লি পবিত্র রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। কোনো অবস্থায় যেন রোজা নষ্ট না হয়, সে জন্য সচেতন থাকেন। তবে রোজার সময় অধিকাংশ মুসল্লি সেহরি খাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়েন। কারণ বছরের একটি মাত্র মাসে তাকে ভোররাতে উঠে সেহরি খেতে হয়। এ জন্য অনেকে সময়মতো সেহরি খেতে পারেন না। ফলে বিভিন্ন দেশে ভোররাতে মুসল্লিদের ডেকে তোলার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।
কেউ সাইরেন বাজিয়ে মুসল্লিদের ডেকে তোলেন, আবার কেউ পাড়ায়-মহল্লায় মাইক দিয়ে মুসল্লিদের ডাকেন। তবে এ ক্ষেত্রে ভোররাতে সেহরি খাওয়ার জন্য ঐতিহাসিক এক রীতি অনুসরণ করা হয় তুরস্কের ইস্তানবুল শহরে।
প্রতি বছর রমজান মাসের প্রত্যেক দিন ভোররাতে ৩ হাজার ৪০০ ড্রাম বাজিয়ে মুসল্লিদের সেহরি খাওয়ার জন্য ডাকা হয়। এ কাজে বিভিন্ন বয়সের মানুষ অংশ নিয়ে থাকেন।
ড্রাম বাজানোর জন্য ঐতিহাসিক পোশাক পরিধান করা হয়। অটোমান সাম্রাজ্যের বাদশারা যে ধরনের পোশাক পরিধান করতেন, সেই ধরনের পোশাক পরিধান করে ড্রাম বাজানো হয়। ড্রাম বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের কবিতা আবৃত্তি করা হয়। আর এ কাজে অংশ নেন ৯৬৩ প্রতিবেশী।
ড্রাম ফেডারেশনের ইনচার্জ সেলামি আয়কুত বলেন, পবিত্র রমজান মাসে যারা ড্রাম বাজান, তারা সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। ঐতিহাসিক এ সংস্কৃতিতে অটোমান সাম্রাজ্যের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। এ কাজে আমাদের ৯৬৩ জন বাদক প্রস্তুত।
মূলত তুরস্কের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে ঐতিহ্য তুলে ধরতে এ ধরনের আয়োজন করা হয়। সেলামি আয়কুত বলেন, শিশু ও যুবকদের কাছে রমজানের সংস্কৃতি তুলে ধরতে আমরা এ আয়োজন করি।
সূত্র: ডেইলি সাবাহ
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ড্রাম বাজিয়ে সেহরির জন্য ঘুম ভাঙানো হয় যে শহরে
পবিত্র রমজান মাস মুসলমানদের কাছে পবিত্র এক মাস। এ মাসে প্রত্যেক মুসল্লি পবিত্র রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। কোনো অবস্থায় যেন রোজা নষ্ট না হয়, সে জন্য সচেতন থাকেন। তবে রোজার সময় অধিকাংশ মুসল্লি সেহরি খাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়েন। কারণ বছরের একটি মাত্র মাসে তাকে ভোররাতে উঠে সেহরি খেতে হয়। এ জন্য অনেকে সময়মতো সেহরি খেতে পারেন না। ফলে বিভিন্ন দেশে ভোররাতে মুসল্লিদের ডেকে তোলার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।
কেউ সাইরেন বাজিয়ে মুসল্লিদের ডেকে তোলেন, আবার কেউ পাড়ায়-মহল্লায় মাইক দিয়ে মুসল্লিদের ডাকেন। তবে এ ক্ষেত্রে ভোররাতে সেহরি খাওয়ার জন্য ঐতিহাসিক এক রীতি অনুসরণ করা হয় তুরস্কের ইস্তানবুল শহরে।
প্রতি বছর রমজান মাসের প্রত্যেক দিন ভোররাতে ৩ হাজার ৪০০ ড্রাম বাজিয়ে মুসল্লিদের সেহরি খাওয়ার জন্য ডাকা হয়। এ কাজে বিভিন্ন বয়সের মানুষ অংশ নিয়ে থাকেন।
ড্রাম বাজানোর জন্য ঐতিহাসিক পোশাক পরিধান করা হয়। অটোমান সাম্রাজ্যের বাদশারা যে ধরনের পোশাক পরিধান করতেন, সেই ধরনের পোশাক পরিধান করে ড্রাম বাজানো হয়। ড্রাম বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের কবিতা আবৃত্তি করা হয়। আর এ কাজে অংশ নেন ৯৬৩ প্রতিবেশী।
ড্রাম ফেডারেশনের ইনচার্জ সেলামি আয়কুত বলেন, পবিত্র রমজান মাসে যারা ড্রাম বাজান, তারা সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। ঐতিহাসিক এ সংস্কৃতিতে অটোমান সাম্রাজ্যের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। এ কাজে আমাদের ৯৬৩ জন বাদক প্রস্তুত।
মূলত তুরস্কের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে ঐতিহ্য তুলে ধরতে এ ধরনের আয়োজন করা হয়। সেলামি আয়কুত বলেন, শিশু ও যুবকদের কাছে রমজানের সংস্কৃতি তুলে ধরতে আমরা এ আয়োজন করি।
সূত্র: ডেইলি সাবাহ