গুজরাট দাঙ্গায় অভিযুক্ত আরও ২৬ জনের মুক্তি
বহুল আলোচিত ভারতের গুজরাট রাজ্যের দাঙ্গার ঘটনায় আরও ২৬ জনকে মুক্তি দিয়েছেন আদালত। তাদের বিরুদ্ধে দাঙ্গার সময় খুন ও গণধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধের গুরুতর অভিযোগ ছিল। কিন্তু আদালত প্রমাণের অভাব দেখিয়ে অভিযুক্তদের খালাস দিয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, গুজরাটের পঞ্চমল জেলার একটি আদালত অভিযুক্ত ২৬ জনকে মামলা থেকে নিষ্কৃতি দিয়েছেন। ২০ বছর আগে সংগঠিত গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে হওয়া বহু মামলার এখনো নিম্ন আদালতেই নিষ্পত্তি হয়নি। পঞ্চমল জেলার ওই মামলাটি তার একটি।
এর আগে গত বছরের ১৫ আগস্ট গুজরাট সরকার খুন ও গণধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১১ আসামিকে মুক্তি দেয়। সেই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছেন ভুক্তভোগী বিলকিস বানুসহ অন্যরা। গত সপ্তাহে সেই আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু মুসলিমদের এলাকায় সদলবলে হামলা, ভাঙচুর, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, গণধর্ষণ এবং বেশ কয়েকজনকে পুড়িয়ে মারার মতো ভয়াবহ অভিযোগে মামলা হয়েছিল।
কিন্তু বিচারকের বক্তব্য, পুলিশের সাক্ষীদের বয়ানে বিস্তর গরমিল আছে। তদন্তেও অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে। প্রমাণের অভাবে তিনি অভিযুক্তদের মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার সময় আক্রান্ত এলাকাটি ছিল গুজরাটের রাজধানী গান্ধীনগরের অন্তর্গত। পুলিশ গান্ধীনগরের কালোলের ওই ঘটনায় ৩৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছিল। এর মধ্যে ইতোমধ্যে ১৩ জন অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে পুলিশ ১৯০ জন সাক্ষীর বয়ান এবং ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত ৩৩৪টি বস্তু প্রমাণ হিসেবে দাখিল করে পুলিশ।
কিন্তু বিচারক সেগুলোকে গুরুতর অভিযোগ প্রমাণের জন্য যথেষ্ট মনে করেননি এবং সেই কারণে অভিযুক্ত ২৬ জনকেই খালাস দিয়েছেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
গুজরাট দাঙ্গায় অভিযুক্ত আরও ২৬ জনের মুক্তি
বহুল আলোচিত ভারতের গুজরাট রাজ্যের দাঙ্গার ঘটনায় আরও ২৬ জনকে মুক্তি দিয়েছেন আদালত। তাদের বিরুদ্ধে দাঙ্গার সময় খুন ও গণধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধের গুরুতর অভিযোগ ছিল। কিন্তু আদালত প্রমাণের অভাব দেখিয়ে অভিযুক্তদের খালাস দিয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, গুজরাটের পঞ্চমল জেলার একটি আদালত অভিযুক্ত ২৬ জনকে মামলা থেকে নিষ্কৃতি দিয়েছেন। ২০ বছর আগে সংগঠিত গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে হওয়া বহু মামলার এখনো নিম্ন আদালতেই নিষ্পত্তি হয়নি। পঞ্চমল জেলার ওই মামলাটি তার একটি।
এর আগে গত বছরের ১৫ আগস্ট গুজরাট সরকার খুন ও গণধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১১ আসামিকে মুক্তি দেয়। সেই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছেন ভুক্তভোগী বিলকিস বানুসহ অন্যরা। গত সপ্তাহে সেই আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু মুসলিমদের এলাকায় সদলবলে হামলা, ভাঙচুর, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, গণধর্ষণ এবং বেশ কয়েকজনকে পুড়িয়ে মারার মতো ভয়াবহ অভিযোগে মামলা হয়েছিল।
কিন্তু বিচারকের বক্তব্য, পুলিশের সাক্ষীদের বয়ানে বিস্তর গরমিল আছে। তদন্তেও অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে। প্রমাণের অভাবে তিনি অভিযুক্তদের মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার সময় আক্রান্ত এলাকাটি ছিল গুজরাটের রাজধানী গান্ধীনগরের অন্তর্গত। পুলিশ গান্ধীনগরের কালোলের ওই ঘটনায় ৩৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছিল। এর মধ্যে ইতোমধ্যে ১৩ জন অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে পুলিশ ১৯০ জন সাক্ষীর বয়ান এবং ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত ৩৩৪টি বস্তু প্রমাণ হিসেবে দাখিল করে পুলিশ।
কিন্তু বিচারক সেগুলোকে গুরুতর অভিযোগ প্রমাণের জন্য যথেষ্ট মনে করেননি এবং সেই কারণে অভিযুক্ত ২৬ জনকেই খালাস দিয়েছেন।