ভ্লাদিমির পুতিনের 'গোপন মা' না ফেরার দেশে
ভেরা পুতিনা। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘গোপন মা’ দাবি করে আসছেন বছরের পর বছর থেকে। অবশেষে ৯৭ বছর বয়সে মারা গেলেন তিনি।
ভেরা পুতিনার দাবি যে, পুতিন তার ছেলে। তিনি একজন বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কের সময় অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন এবং সেই সময় পুতিনের জন্ম হয়। ছেলেকে আদর করে ‘ভোভা’ বলে ডাকতেন তিনি। ছেলেকে মাত্র ১০ বছর বয়সে রাশিয়ায় পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তার মা। কারণ জর্জিয়ার মেটেখি নামক দরিদ্র শহরে বাস করার সময় তার সৎবাবা জর্জির কাছ থেকে শৈশবকালে দুর্ব্যবহার এবং অবহেলার শিকার হন পুতিন।
সৎবাবা মারধর না করলেও প্রবল শীতে বাড়ির বাইরে বের করে দেওয়ার মতো কঠিন শাস্তি দিতে পিছপা হতেন না। ভেরা দাবি করেছিলেন যে, শৈশব নির্যাতনের জেরে পুতিনকে রাশিয়ার ওচিওরে তার দাদা-দাদির সঙ্গে থাকতে পাঠানো হয়েছিল। যদিও বেশিরভাগ মানুষই তার দাবিগুলোকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেবে, কিন্তু তিনি তার ছেলের বেশ কয়েকটি ছবি তৈরি করেছিলেন, যার সঙ্গে রাশিয়ার নেতা পুতিনের মিল ছিল।
ছেলের কাছ থেকে এতগুলো বছর দূরে থাকার পর ৯৭ বছর বয়সে মারা গেলেন ভেরা পুতিনা। ভেরা তার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন— আমার স্বপ্ন ভোভা আমাকে অন্তত একবার দেখুক, একবার কথা বলুক। আমি প্রায়ই তাকে আমার স্বপ্নে দেখি, কিন্তু সে আমার সঙ্গে কথা বলতে চায় না। জীবনে এবং স্বপ্ন উভয় ক্ষেত্রেই, আমি যা করেছি তাতে সে বিরক্ত, আমাকে সে ক্ষমা করতে পারবে না।
এদিকে ভ্লাদিমির পুতিনের দাবি, ১৯৫২ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে জন্মেছিলেন তিনি। ভ্লাদিমির পুতিন সিনিয়র ও মারিয়া শেলোমোভা ছিল তার বাবা-মা। তাদের তৃতীয় পুত্র ছিলেন পুতিন। গত শতাব্দীর নব্বইযের দশকে তার বাবা-মায়ের মৃত্যু হয়েছিল। এদিকে জর্জিয়ার মেটেখির কাছাকাছি একটি শহরে পাওয়া রেকর্ডে বলা হয়েছে যে, ভ্লাদিমির পুতিন স্থানীয় স্কুলে ১৯৫৯ থেকে ১৯৬০ পর্যন্ত নিবন্ধিত ছিলেন এবং তিনি রাশিয়ান নয়, জর্জিয়ান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
ভ্লাদিমির পুতিনের 'গোপন মা' না ফেরার দেশে
বিনোদন ডেস্ক
০২ জুন ২০২৩, ১৪:৫৭:৪৬ | অনলাইন সংস্করণ
ভেরা পুতিনা। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘গোপন মা’ দাবি করে আসছেন বছরের পর বছর থেকে। অবশেষে ৯৭ বছর বয়সে মারা গেলেন তিনি।
ভেরা পুতিনার দাবি যে, পুতিন তার ছেলে। তিনি একজন বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কের সময় অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন এবং সেই সময় পুতিনের জন্ম হয়। ছেলেকে আদর করে ‘ভোভা’ বলে ডাকতেন তিনি। ছেলেকে মাত্র ১০ বছর বয়সে রাশিয়ায় পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তার মা। কারণ জর্জিয়ার মেটেখি নামক দরিদ্র শহরে বাস করার সময় তার সৎবাবা জর্জির কাছ থেকে শৈশবকালে দুর্ব্যবহার এবং অবহেলার শিকার হন পুতিন।
সৎবাবা মারধর না করলেও প্রবল শীতে বাড়ির বাইরে বের করে দেওয়ার মতো কঠিন শাস্তি দিতে পিছপা হতেন না। ভেরা দাবি করেছিলেন যে, শৈশব নির্যাতনের জেরে পুতিনকে রাশিয়ার ওচিওরে তার দাদা-দাদির সঙ্গে থাকতে পাঠানো হয়েছিল। যদিও বেশিরভাগ মানুষই তার দাবিগুলোকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেবে, কিন্তু তিনি তার ছেলের বেশ কয়েকটি ছবি তৈরি করেছিলেন, যার সঙ্গে রাশিয়ার নেতা পুতিনের মিল ছিল।
ছেলের কাছ থেকে এতগুলো বছর দূরে থাকার পর ৯৭ বছর বয়সে মারা গেলেন ভেরা পুতিনা। ভেরা তার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন— আমার স্বপ্ন ভোভা আমাকে অন্তত একবার দেখুক, একবার কথা বলুক। আমি প্রায়ই তাকে আমার স্বপ্নে দেখি, কিন্তু সে আমার সঙ্গে কথা বলতে চায় না। জীবনে এবং স্বপ্ন উভয় ক্ষেত্রেই, আমি যা করেছি তাতে সে বিরক্ত, আমাকে সে ক্ষমা করতে পারবে না।
এদিকে ভ্লাদিমির পুতিনের দাবি, ১৯৫২ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে জন্মেছিলেন তিনি। ভ্লাদিমির পুতিন সিনিয়র ও মারিয়া শেলোমোভা ছিল তার বাবা-মা। তাদের তৃতীয় পুত্র ছিলেন পুতিন। গত শতাব্দীর নব্বইযের দশকে তার বাবা-মায়ের মৃত্যু হয়েছিল। এদিকে জর্জিয়ার মেটেখির কাছাকাছি একটি শহরে পাওয়া রেকর্ডে বলা হয়েছে যে, ভ্লাদিমির পুতিন স্থানীয় স্কুলে ১৯৫৯ থেকে ১৯৬০ পর্যন্ত নিবন্ধিত ছিলেন এবং তিনি রাশিয়ান নয়, জর্জিয়ান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023