ভারত ও পাকিস্তানকে সংঘাত কমানোর আহ্বান অ্যামনেস্টির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৫, ০৩:০০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তান ও ভারতকে ক্রমবর্ধমান সংঘাত কমাতে এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।পাশাপাশি পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশনও (এইচআরসিপি) একই আহ্বান জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ মে) মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা দুটি এ আহ্বান জানায়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুর বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংস্থাটির আইন ও নীতি বিষয়ক প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ক্যারোলিন হর্ন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের তীব্রতা ইতোমধ্যেই বেসামরিক নাগরিকদের ওপর প্রভাব ফেলেছে। উভয় দেশের বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানির খবরে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল উদ্বিগ্ন।’
হর্ন বলেন, ‘প্রতিটি সশস্ত্র সংঘাতে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করা সর্বাগ্রে। এটি আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের একটি মৌলিক নীতি যা সব জাতিকে একত্রিত করে রাখে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘জেনেভা কনভেনশন এবং তাদের অতিরিক্ত প্রোটোকল এবং প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতি করে বা বেসামরিক অবকাঠামো যেমন— বাড়িঘর, হাসপাতাল, স্কুল এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলোর ক্ষতি করে এমন ইচ্ছাকৃত, নির্বিচার বা অসামঞ্জস্যপূর্ণ আক্রমণ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। ’
সংস্থাটি আরও বলেছে, ‘উভয় দেশেই বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা এবং যেকোনো দুর্ভোগ ও হতাহতের ঘটনা কমাতে অবশ্যই প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এইচআরসিপির বিবৃতি
এদিকে পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশনের গভর্নিং কাউন্সিল বৃহস্পতিবার লাহোরে তাদের দ্বিবার্ষিক সভা শেষে উভয় সরকারকে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছে।
কমিশন বলেছে, তাদের ধারণা ভারতীয় বিমান হামলার ফলে নারী ও শিশুসহ যে হতাহতের খবর পাওয়া গেছে, তা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের গুরুতর লঙ্ঘন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ হতে পারে।
লাহোরভিত্তিক এ মানবাধিকার সংস্থা ‘সব পক্ষকে সংলাপ এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার’ আহ্বান এবং ‘সীমান্তের উভয় পাশে সকল ধরনের সহিংস চরমপন্থা এবং ধর্মের অস্ত্র ব্যবহারের’ নিন্দা জানিয়েছে।