ধর্মশালায় বোমার ভয়ে আতঙ্কিত আইপিএল চিয়ারলিডারের ভিডিও ভাইরাল

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৫, ০৩:৩৮ পিএম

ধর্মশালার মতো শান্ত শহর এক রাতেই যেন পরিণত হলো আতঙ্কের নগরীতে। বৃহস্পতিবার আইপিএল ২০২৫-এর ম্যাচে যখন পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের খেলা চলছিল, তখন হঠাৎই বন্ধ হয়ে যায় স্টেডিয়ামের আলো। খেলা থেমে যায় মাঝপথেই। আয়োজকেরা জানায়, ‘টেকনিক্যাল সমস্যার’ কারণে খেলা বন্ধ হয়েছে। কিন্তু এরপরই জানা যায়, ঘটনা শুধু ফ্লাডলাইট নষ্ট হওয়ার নয়।
প্রকৃত ঘটনা অনেক ভয়াবহ। পাকিস্তান তখন ভারতের বিভিন্ন শহরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। এর মধ্যে ছিল জম্মু ও জয়সালমেরের মতো শহর। ধর্মশালা পাকিস্তান সীমান্তের খুব কাছেই, তাই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্টেডিয়ামে। একসময় পুরো স্টেডিয়াম খালি করে দেওয়া হয়। দর্শকদের দ্রুত বের করে দেওয়া হয় নিরাপত্তার জন্য।
ঘটনার সময় স্টেডিয়ামে থাকা এক চিয়ারলিডার নিজের অভিজ্ঞতা সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন। তিনি বলেন, ‘পুরো স্টেডিয়াম খালি করে দেওয়া হয় খেলার মাঝপথে। খুবই ভয় লাগছিল। সবাই চিৎকার করছিল—বোমা আসছে। এখনও ভয় লাগছে। আমরা ধর্মশালা ছাড়তে চাই। আশা করি, আইপিএল আমাদের দেখভাল করবে। আমি জানি না কেন কাঁদছি না, হয়তো আমি এখনও শকে আছি।’
- আরও পড়ুন- বিশেষ ট্রেনে তড়িঘড়ি করে মাঠ ছাড়েন শ্রেয়াস-স্টার্করা
- আরও পড়ুন- স্থগিতই হয়ে গেল আইপিএল
- আরও পড়ুন- আইপিএলে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে বার্তা দিল বিসিসিআই
ধর্মশালার বিমানবন্দর বেসামরিক ফ্লাইটের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খেলোয়াড়, কোচ, চিয়ারলিডার এবং সম্প্রচার দলের সদস্যরা সেখানে আটকে পড়েন। পরে বিসিসিআই বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করে তাঁদের দিল্লি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে।
সে ঘটনার পর থেকেই আইপিএল স্থগিত হওয়ার শঙ্কা জাগে। এরপর আজ দুপুর নাগাদ আসে চূড়ান্ত ঘোষণা। আইপিএল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেয় বিসিসিআই।
এখন প্রশ্ন উঠছে চলতি মৌসুমের আইপিএলে বাকি থাকা ম্যাচগুলো নিয়ে কী সিদ্ধান্ত আসবে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, নতুন কোনো উইন্ডোয় বাকি সব ম্যাচ আয়োজন করার সম্ভাবনাই বেশি।
আইপিএলের এভাবে টুর্নামেন্টের মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়ার নজির অবশ্য এবারই প্রথম নয়। ২০২১ সালে আইপিএল শুরুর পর করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়। যার ফলে এপ্রিল মাসে আইপিএল শুরু করলেও তা শেষ করতে পারেনি বিসিসিআই। এরপর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের উইন্ডোয় সেটা আবারও মাঠে গড়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে। এবারও সেই একই পথে এগোবে বিসিসিআই, ধারণা করা হচ্ছে এমনই।