চোরাই মার্কেট থেকে জিনিসপত্র কিনলে ব্যবহার করা যাবে?
মুফতি সাদেকুর রহমান
৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯:৩৪:০২ | অনলাইন সংস্করণ
প্রশ্ন: জনৈক ব্যক্তি আমাকে বলল, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কিছু মার্কেট রয়েছে যেগুলো চোরাই মার্কেট হিসেবে পরিচিত। সেখানে মোবাইল ও অন্যান্য জিনিসপত্র চুরি করে এনে অল্প মূল্যে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এখন জানার বিষয় হলো- এসব চোরাই মার্কেট থেকে জিনিসপত্র কেনা কি জায়েজ আছে? ক্রয় করে ফেললে তখন কী করণীয়?
উত্তর: চুরি করা জঘন্য ও দণ্ডনীয় অপরাধ। চোর চুরির মাধ্যমে বস্তুর মালিক হয় না। বরং তা মূল মালিকের কাছে হস্তান্তর করা আবশ্যক। মূল মালিকের কাছে হস্তান্তর সম্ভব না হলে সওয়াবের নিয়ত ব্যতীত তা সদকা করে দেওয়া ওয়াজিব।
সুতরাং কোন মার্কেটের ব্যাপারে যদি নিশ্চিত জ্ঞান থাকে অথবা প্রবল ধারণা হয় যে, ওই মার্কেটে যা বিক্রি করা হয় তা চোরাইকৃত তাহলে কারো জন্য সেই মার্কেট থেকে কোনো জিনিস ক্রয় করা জায়েজ হবে না।
ক্রয় করে নিয়ে আসলে তা ব্যবহার করা জায়েজ হবে না বরং ফেরত দেওয়া জরুরি। ফেরত দেওয়া সম্ভব না হলে তা সদকা করে দেওয়া জরুরি।
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি চোরাইকৃত বস্তু জানা সত্ত্বেও তা ক্রয় করল সে চুরির গুনাহ এবং লাঞ্ছনার ক্ষেত্রে অংশীদার হলো। (সুনানে বায়হাকী-হাদিস নং ১১১৪১, মুসতাদরাকে হাকেম-হাদিস নং ২২৫৩)
সূত্র: ফাতাওয়া শামী-৫/ ৯৮-৯৯. ফাতাওয়া হিন্দিয়া-২/১৮৪ তাবয়ীনুল হাকায়েক-৫/২২১
উত্তর প্রদানে: মুফতি সাদেকুর রহমান
মুফতি ও মুহাদ্দিস শেখ জনূরুদ্দীন রহ. দারুল কুরআন মাদ্রাসা চৌধুরীপাড়া, ঢাকা।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
চোরাই মার্কেট থেকে জিনিসপত্র কিনলে ব্যবহার করা যাবে?
প্রশ্ন: জনৈক ব্যক্তি আমাকে বলল, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কিছু মার্কেট রয়েছে যেগুলো চোরাই মার্কেট হিসেবে পরিচিত। সেখানে মোবাইল ও অন্যান্য জিনিসপত্র চুরি করে এনে অল্প মূল্যে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এখন জানার বিষয় হলো- এসব চোরাই মার্কেট থেকে জিনিসপত্র কেনা কি জায়েজ আছে? ক্রয় করে ফেললে তখন কী করণীয়?
উত্তর: চুরি করা জঘন্য ও দণ্ডনীয় অপরাধ। চোর চুরির মাধ্যমে বস্তুর মালিক হয় না। বরং তা মূল মালিকের কাছে হস্তান্তর করা আবশ্যক। মূল মালিকের কাছে হস্তান্তর সম্ভব না হলে সওয়াবের নিয়ত ব্যতীত তা সদকা করে দেওয়া ওয়াজিব।
সুতরাং কোন মার্কেটের ব্যাপারে যদি নিশ্চিত জ্ঞান থাকে অথবা প্রবল ধারণা হয় যে, ওই মার্কেটে যা বিক্রি করা হয় তা চোরাইকৃত তাহলে কারো জন্য সেই মার্কেট থেকে কোনো জিনিস ক্রয় করা জায়েজ হবে না।
ক্রয় করে নিয়ে আসলে তা ব্যবহার করা জায়েজ হবে না বরং ফেরত দেওয়া জরুরি। ফেরত দেওয়া সম্ভব না হলে তা সদকা করে দেওয়া জরুরি।
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি চোরাইকৃত বস্তু জানা সত্ত্বেও তা ক্রয় করল সে চুরির গুনাহ এবং লাঞ্ছনার ক্ষেত্রে অংশীদার হলো। (সুনানে বায়হাকী-হাদিস নং ১১১৪১, মুসতাদরাকে হাকেম-হাদিস নং ২২৫৩)
সূত্র: ফাতাওয়া শামী-৫/ ৯৮-৯৯. ফাতাওয়া হিন্দিয়া-২/১৮৪ তাবয়ীনুল হাকায়েক-৫/২২১
উত্তর প্রদানে: মুফতি সাদেকুর রহমান
মুফতি ও মুহাদ্দিস শেখ জনূরুদ্দীন রহ. দারুল কুরআন মাদ্রাসা চৌধুরীপাড়া, ঢাকা।