Logo
Logo
×

ইসলাম ও জীবন

কুরবানির পশুর মাংস বিক্রি করা যাবে?

Icon

ইসলাম ও জীবন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৫, ০৪:৩৭ পিএম

কুরবানির পশুর মাংস বিক্রি করা যাবে?

কুরবানি পশু। ফাইল ছবি

কুরবানির পশুর গোশতের বিধান হচ্ছে নিজে খাবে, পরিবার খাবে। আত্মীয়-স্বজনকে হাদিয়া দেবে এবং গরিব-মিসকিনকে সদকা করবে। প্রতিবেশিকে দেবে। 

কুরবানির মাংস কুরবানিদাতার জন্য বিক্রি করা মাকরুহ তাহরিমি। যদি কেউ বিক্রি করে তাহলে এর মূল্য সদকা করা ওয়াজিব। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ৫/৪৭৭)

গোশত বিতরণের মুস্তাহাব পদ্ধতি হলো তিন ভাগ করে এক ভাগ পরিবার-পরিজনের জন্য রাখবে এবং বাকি দুই ভাগের এক ভাগ আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবকে আর এক ভাগ গরিব-মিসকিনকে বণ্টন করে দেবে। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ১/৪৭৩)

কয়েক ব্যক্তি একসঙ্গে শরিক হয়ে যদি একটি পশু কুরবানি করে তবে পাল্লা দ্বারা মেপে সমানভাবে গোশত বণ্টন করে নেবে। অনুমান করে বণ্টন করা জায়েজ নয়।

কেননা ভাগে কমবেশি হলে তা সুদ বলে গণ্য হবে। অবশ্য যদি গোশতের সঙ্গে মাথা, পায়া এবং চামড়াও ভাগ করে দেয়, তবে যে ভাগে মাথা, পায়া ও চামড়া থাকবে সে ভাগে যদি গোশত কম হয়, তবে এই বণ্টন শুদ্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু যে ভাগে গোশত বেশি সেই ভাগে মাথা, পায়া বা চামড়া দিলে বণ্টন শুদ্ধ হবে না, সুদ হবে এবং গুনাহগার হতে হবে। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ২/২৩২)

কুরবানির গোশত অমুসলিমকেও দেওয়া বৈধ। কিন্তু মজুরি বাবদ দেওয়া বৈধ নয়। অবশ্য মুসলিমদের দেওয়াই উত্তম। কসাইকে গোশত বানানোর মজুরি হিসেবে গোশত, চামড়া, রশি ইত্যাদি দেওয়া বৈধ নয়। পারিশ্রমিক দিতে হলে তা ভিন্নভাবে আদায় করবে। (ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি : ৫/৩০)

গরু, মহিষ বা উটের মধ্যে কয়েক ব্যক্তি শরিক থাকলে তারা নিজেদের মধ্যে গোশত ভাগ করে নেওয়ার পরিবর্তে যদি সব গোশত একত্রে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করে বা রান্না করে তাদের খাওয়ায় তবে এটাও জায়েজ। কিন্তু শরিকদের কোনো একজন ভিন্ন মত প্রকাশ করলে তা জায়েজ হবে না। (মাসায়িলে ঈদাইন, পৃষ্ঠা ১৮৩)

কোরবানির গোশত তিন দিনের বেশি সময় জমিয়ে রাখাও জায়েজ এবং কোরবানির পশুর রশিও সদকা করা মুস্তাহাব।

কুরবানির পশুর গোশত কাটা ইত্যাদি কারণে যথোচিত মূল্যের কমে কসাইয়ের কাছে চামড়া বিক্রয় করা বৈধ নয়। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ৪/২৩৪)

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম