Logo
Logo
×

লাইফ স্টাইল

তুলে রাখা শীতের জামা কতবার-কীভাবে পরিষ্কার করে পরবেন?

Icon

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:২২ পিএম

তুলে রাখা শীতের জামা কতবার-কীভাবে পরিষ্কার করে পরবেন?

ছবি: সংগৃহীত

নভেম্বর মানেই শীতযাত্রা। ধীরে ধীরে জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। ঋতুর বদলের সঙ্গে সঙ্গে পোশাক বদলও শুরু হতে চলেছে। আমাদের এই ছয় ঋতুর দেশে তিন মাসের বেশি শীত থাকে না। কিন্তু যে সময়টুকুতে শীত অনুভূত হয়, সেই সময় বেশ ভারি কাপড় প্রয়োজন হয় আমাদের।  আর নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই সেই অনুভূতি টের পেতে শুরু করেছেন সবাই। যদিও এখনো ভারি কাপড় পরা শুরু হয়নি। তবে নভেম্বরের শেষের দিকে হয়তো গরম কাপড় পরতে হবে কমবেশি সবাইকে। 

যাই হোক, শীতের শুরুতে গত শীতের পোশাক আলমারি থেকে বের করে পরার আগে পরিষ্কার না করে পরা ঠিক নয়। কেননা, ধুলায় আপনার অ্যালার্জি থাকতে পারে, আর তাতে সফট টিস্যু ইনফেকশন হতে পারে। এসব নামিয়ে ধুয়ে কড়া রোদে শুকিয়ে ব্যবহার করুন। 

এটাও মনে রাখবেন, শীতের এই তিন মাসের মধ্যেও অন্তত একবার শীতের কাপড় পরিষ্কার করার উদ্যোগ নিতে হবে। এতে পোশাক থাকবে নরম, উষ্ণ আর তাজা গন্ধে ভরা।

চলুন জেনে নিই কোন পোশাক কীভাবে পরিষ্কার করবেন—

গত শীত শেষে যখন পোশাক তুলে রেখেছিলেন, তখন যদি পরিষ্কার করে তুলে রাখেন, তবে এ বছর নামানোর পর না ধুলেও চলবে। তবে পরার আগে একটু পরিষ্কার করে নিলে ভালো। কারণ দীর্ঘদিন আলমারিতে থাকার কারণে একটু স্যাঁতসেঁতে পরিলক্ষিত হয়। সে কারণে পোশাক বের করে একটু রোদে বা খোলা বাতাসে রেখে দিলে আর্দ্রতা ও গন্ধ চলে যায়। 

আর যদি উলের বা সোয়েটারজাত কাপড় হয়, লেবেলে নির্দেশিত মতো পরিষ্কার করুন। অনেক শীতের পোশাক ড্রাই ক্লিন করলে ভালো থাকে। যদি কোথাও ছোপ বা ফাঙ্গাস দেখা যায়, ভিনেগার মিশ্রিত পানিতে আলতো করে পরিষ্কার করতে পারেন।

ওয়েস্টার্ন পোশাকে আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক যে কোনো জায়গায় জ্যাকেটটা বেশ মানিয়ে যায়। হালকা ভারি নানা ধরনের জ্যাকেট এখন বাজারে পাওয়া যায়। আগের মতো একঘেয়েমি নেই। কিন্তু সেটি কীভাবে যত্ন নেবেন সে চিন্তাও করতে হবে। যদি কলারে বা সাইডে থাকা লেবেলে ড্রাই ক্লিন অনলি লেখা থাকে, তাহলে ড্রাই ক্লিন করান। 

আবার যদি ওয়াশেবল হয়, তবে মেশিনে জেন্টল মোডে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করে ধুয়ে নিন। রোদে বেশি সময় ঝুলিয়ে রাখবেন না। কারণ হালকা শুকিয়ে গেলে ঘরে তুলে ঝুলিয়ে রাখুন, তা না হলে জ্যাকেটে ক্ষতি হবে। 

আপনি সোয়েটার কিংবা জ্যাকেট যাই পরুন না কেন, সঙ্গে একটা মাফলার কিংবা স্কার্ফ আরেকটু ফ্যাশনেবল করে তোলে। এখন নানা ধরনের দেশি-বিদেশি স্কার্ফ পাওয়া যায়। এসব যত্ন নিয়ে না ধুলে খুব কমসময়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। আর  শাল যারা ব্যবহার করেন, তারা সাধারণত সৌখিন হন এবং অনেক চড়া দামের শাল নিজের আলমারিতে থাকে। সেটিতে বাড়তি যত্ন নিতেই হবে। 

মনে রাখবেন, এসব সিল্ক বা পশমের হলে ঠান্ডা পানিতে হাতে ধুতে হবে। তুলার হলে মেশিনে জেন্টল মোডে ধোয়া যায়। শুকিয়ে নেওয়ার পর হালকা ইস্ত্রি করুন। উপরে হালকা ভেজা সুতিকাপড় দিয়েও ইস্ত্রি করতে পারেন।

এ ছাড়া বরাবরই উলের নানা রঙের সোয়েটার ফ্যাশনের জন্য উপযোগী। বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে এটির ব্যবহার বেশি দেখা যায়। আর যে কোনো বয়সি নারীদের কার্ডিগান খুব পছন্দের। অফিসগামী যারা শাড়ি পরেন, তাদের জন্য তো বটেই। এ ধরনের পোশাক কুসুম গরম পানিতে হালকা ডিটারজেন্ট মিশিয়ে হাতে ধুতে হবে। অবশ্যই জোরে ঘষবেন না। আলতো করে চেপে ফ্যানাটা বের করে দিন। শুকানোর সময় তারে লম্বা করে ঝুলিয়ে নয়, আড়াআড়িভাবে মেলে দিন বা ফ্লোরে তোয়ালে দিয়ে তার ওপর সমানভাবে রেখে শুকান। ধোয়ার পর সামান্য কন্ডিশনার মিশালে সোয়েটার নরম থাকবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম