ব্যয়বহুল স্কিনকেয়ার পণ্যের ভিড়ে অনেকেই এখনো ঘরোয়া উপাদানেই ত্বকের যত্ন নিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ব্যয়বহুল স্কিনকেয়ার পণ্যের ভিড়ে অনেকেই এখনো ঘরোয়া উপাদানেই ত্বকের যত্ন নিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। আমাদের ঘরে ঘরেই পাওয়া যায় এমন কিছু উপকরণ—যেমন বেসন, দই, মধু, শসা ও গোলাপজল—শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সৌন্দর্যচর্চার অংশ হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। আধুনিক স্কিনকেয়ার বিশেষজ্ঞরাও এসব প্রাকৃতিক উপাদানের উপকারিতা স্বীকার করেন।
গোলাপজল—
ত্বক সতেজ রাখতে সবচেয়ে সহজ কিন্তু কার্যকর উপায় হলো গোলাপজল ব্যবহার। মুখে স্প্রে করলেই ত্বকে এনে দেয় তাৎক্ষণিক সতেজতা আর মনোরম সুবাস। বিশেষজ্ঞরা রাতে মুখ ধোয়ার পর তুলায় গোলাপজল লাগানোর পরামর্শ দেন, যা রোমকূপ টাইট করার পাশাপাশি আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
শুষ্ক ত্বকের জন্য দই-মধুর মাস্ক—
দই ত্বককে শীতল রাখে, আর মধু কাজ করে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে। এক টেবিল চামচ দইয়ের সঙ্গে আধা চা চামচ মধু মিশিয়ে ১৫ মিনিট মুখে লাগালে ত্বক হয় নরম, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত। সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করলে শুষ্কতা অনেকটাই কমে যায়।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেসন-লেবুর প্যাক—
এক টেবিল চামচ বেসনের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ও সামান্য পানি মিশিয়ে তৈরি করুন পেস্ট। এটি অতিরিক্ত তেল কমাতে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। তবে সংবেদনশীল ত্বকের ক্ষেত্রে কম লেবু ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। প্রয়োজনে আগে প্যাচ টেস্ট করাও জরুরি।
শসা—
গৃহস্থের রান্নাঘরে সহজেই মিলে এমন শসা ত্বক ঠান্ডা রাখতে দারুণ কার্যকর। চোখ ও মুখে শসার স্লাইস রাখলে ফোলাভাব কমে এবং ডার্ক সার্কেল হালকা হয়। গরমের দিনে অনেকে টোনার হিসেবেও শসার রস ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
অ্যালোভেরা জেল—
প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে অ্যালোভেরা খুবই জনপ্রিয়। বাসায় গাছ থাকলে সরাসরি পাতার জেল মুখে লাগানো যায়। এটি ত্বক ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি ব্রণ ও লালচেভাব কমাতেও সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যতই ক্রিম বা প্যাক ব্যবহার করা হোক, প্রকৃত ত্বক সতেজতার মূল চাবিকাঠি হলো শরীরের ভেতরের সুস্থতা। পর্যাপ্ত পানি পান, ভালো ঘুম এবং সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখার ওপরই নির্ভর করে ত্বকের প্রকৃত স্বাস্থ্য। ঘরোয়া উপায়গুলো এসব ফল আরও বাড়িয়ে ত্বককে দেয় প্রাকৃতিক ও নিরাপদ যত্ন।

