রাতের খাবারের কতক্ষণ পর ঘুমানো উচিত?
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৯ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রাতের খাবার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়া শরীরের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। ধীরে ধীরে এতে নানা জটিল অসুখ দেখা দিতে পারে। বদহজম, বুকজ্বালা, অ্যাসিডিটি, অতিরিক্ত ওজন এমনকি স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ে। তাই রাতে খাওয়া ও ঘুমের মাঝে ঠিক কতটা বিরতি রাখা প্রয়োজন, তা জানা খুবই জরুরি।
হজমে সমস্যা:
খাওয়ার পরই শুয়ে পড়লে প্রথমেই ক্ষতি হয় হজমশক্তির। ঘুমের সময় খাবার ঠিকমতো ভাঙতে শরীরকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। নিউট্রিশনিস্ট রূপালী দত্তের মতে, খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে গেলে খাবার ধীরে হজম হয় এবং অন্ত্রে সঠিকভাবে পৌঁছাতে পারে না। ফলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বুকজ্বালা দেখা দেয়। আবার ঘুমও ঠিকমতো হয় না, আর ঘুম কম হলে ওজন বাড়তে থাকে।
ঘুমে ব্যাঘাত:
ঘুমানোর কিছুক্ষণ আগে খাবার খেলে ঘুমের মান নষ্ট হয়। বিশেষ করে মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে শরীরে বাড়তি এনার্জি তৈরি হয়, যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।
ওজন বৃদ্ধি:
ধীর হজম ও খারাপ ঘুম— দুটিই ওজন বাড়ার প্রধান কারণ। দিনের শেষে মেটাবলিজম ধীরে চলে, ফলে তখন খাওয়া ক্যালরি সহজে বার্ন হয় না। শরীর সূর্যের কার্যক্রমের ছন্দে কাজ করে, তাই তাড়াতাড়ি খেলে পুষ্টিগুণ ভালোভাবে শোষিত হয়। কিন্তু দেরি করে খেলে সেই পুষ্টিগুণ ঠিকমতো না মেটাবলাইজ হয়ে শরীরে চর্বি হিসেবে জমে।
বুকজ্বালা ও অ্যাসিডিটি:
খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়লে বুকজ্বালা আরও বেড়ে যায়। পেটে চাপ পড়ার ফলে অস্বস্তি ও অ্যাসিডিটি বাড়ে।
গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে, অ্যাসিডিটি থেকে স্লিপ অ্যাপনিয়া হতে পারে, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। বদহজম থেকে কোলেস্টেরল ও রক্তচাপও বেড়ে যায়— যা হার্টের জন্য ক্ষতিকর।
খাওয়া ও ঘুমের মধ্যে কতক্ষণ বিরতি রাখা উচিত?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতের খাবার ও ঘুমের মধ্যে অন্তত ৩ ঘণ্টা বিরতি রাখা ভালো। এতে বদহজম, বুকজ্বালা এবং ঘুমের সমস্যা কমে। ভরা পেটে ঘুমালে মেটাবলিজম শ্লথ হয়ে যায়, ফলে ওজন বাড়া ও স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ে।
