প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহারে সতর্কতা
রূপচর্চা প্রাচীন আমল থেকেই শুরু হয়। দৈনন্দিন জীবনে মেয়েরা বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু প্রায়ই ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন মার্কেটে অভিযান চালিয়ে নকল প্রসাধনী সামগ্রী উদ্ধার করে থাকে। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে তৈরি নিম্নমানের বা মানহীন প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহারের কারণে শুধু ক্যান্সার নয় বরং স্নায়ুবিক দুর্বলতাসহ কিডনি পর্যন্ত অচল হয়ে যেতে পারে।
ভেজাল প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহারের কারণে বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে, যার কারণে ভবিষ্যতে প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।
প্রসাধনী সামগ্রী হিসাবে রং ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহার করা হয়, যা অত্যন্ত ক্ষতিকর। রং ফর্সাকারী ক্রিমগুলোয় হাইড্রোকুইনোন নামে একটি পদার্থ থাকে, যার কারণে দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে ত্বকে সাদা দাগ সৃষ্টি হতে পারে। শুধু তাই নয়, এটি ত্বকে শোষণ হয় বলে শরীরের শুধু উপরিভাগে নয় বরং অভ্যন্তরেও ক্ষতি করতে পারে।
কখনও কখনও এ রং ফর্সাকারী ক্রিম দীর্ঘদিন ব্যবহারের কারণে ত্বকে ক্যান্সার পর্যন্ত সৃষ্টি হতে পারে। শুধু ক্রিম কেন, ঠোঁটে বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের পাশাপাশি নকল ব্র্যান্ডের লিপস্টিক ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ক্রমাগত ব্যবহার করার ফলে ঠোঁটে বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ সৃষ্টি হতে পারে।
অনেক সময় ঠোঁট ফুলে যায়। অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই ভালো ব্র্যান্ডের প্রসাধনী সামগ্রী ছাড়া অন্য কোনো প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার মোটেই ঠিক নয় অর্থাৎ প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
লেখক : মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
dr.faruqu@gmail.com
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহারে সতর্কতা
রূপচর্চা প্রাচীন আমল থেকেই শুরু হয়। দৈনন্দিন জীবনে মেয়েরা বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু প্রায়ই ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন মার্কেটে অভিযান চালিয়ে নকল প্রসাধনী সামগ্রী উদ্ধার করে থাকে। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে তৈরি নিম্নমানের বা মানহীন প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহারের কারণে শুধু ক্যান্সার নয় বরং স্নায়ুবিক দুর্বলতাসহ কিডনি পর্যন্ত অচল হয়ে যেতে পারে।
ভেজাল প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহারের কারণে বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে, যার কারণে ভবিষ্যতে প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।
প্রসাধনী সামগ্রী হিসাবে রং ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহার করা হয়, যা অত্যন্ত ক্ষতিকর। রং ফর্সাকারী ক্রিমগুলোয় হাইড্রোকুইনোন নামে একটি পদার্থ থাকে, যার কারণে দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে ত্বকে সাদা দাগ সৃষ্টি হতে পারে। শুধু তাই নয়, এটি ত্বকে শোষণ হয় বলে শরীরের শুধু উপরিভাগে নয় বরং অভ্যন্তরেও ক্ষতি করতে পারে।
কখনও কখনও এ রং ফর্সাকারী ক্রিম দীর্ঘদিন ব্যবহারের কারণে ত্বকে ক্যান্সার পর্যন্ত সৃষ্টি হতে পারে। শুধু ক্রিম কেন, ঠোঁটে বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের পাশাপাশি নকল ব্র্যান্ডের লিপস্টিক ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ক্রমাগত ব্যবহার করার ফলে ঠোঁটে বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ সৃষ্টি হতে পারে।
অনেক সময় ঠোঁট ফুলে যায়। অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই ভালো ব্র্যান্ডের প্রসাধনী সামগ্রী ছাড়া অন্য কোনো প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার মোটেই ঠিক নয় অর্থাৎ প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
লেখক : মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
dr.faruqu@gmail.com