রঙিন চুলের যত্ন
নারীর সৌন্দর্যের অনেকাংশজুড়ে থাকে চুল। কারও পছন্দ লম্বা চুল আবার কারও পছন্দ নান্দনিক কাটিংয়ের নির্দিষ্ট কোনো ধরন। তবে যেভাবে সাজিয়ে তুলুন আপনার চুল, নিজেকে আলাদা দেখতেই ভালোবাসেন সবাই। সেদিক থেকে চুলে কালার করা বিষয় বর্তমান সময়ে ট্রেন্ডিংয়ের একটি অংশ।
একটি রং কিংবা ভিন্ন আরও দু-চারটি রঙে রাঙিয়ে তোলেন রমণীরা। অন্যদিকে চুলের এসব ভিন্নতার কারণে সম্মুখীন হতে হয় রুক্ষতার। আগা ফাটা কিংবা চুল পড়ার মতো বিভিন্ন সমস্যার।
তাই কালার করেও কীভাবে আপনি চুলকে রাখতে পারবেন সুস্থ আর প্রাণবন্ত। জানিয়েছেন জারা’স বিউটি লাউঞ্জ অ্যান্ড ফিটনেস সেন্টারের বিউটি কনসালটেন্ট অ্যান্ড সিইও-ফারহানা রুমি
চুলের ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই যত্ন আবশ্যক। আর তা যদি হয় কালার করা চুলে, তবে সেই ক্ষেত্রে বাড়তি কিছু যত্ন যুক্ত করতে হবে আপনার প্রতিদিনের রুটিনে। আর এ তালিকাতে সবার আগে আসে তেলের বিষয়টি। সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চার দিন চুলে তেল দিতে হবে।
এ ক্ষেত্রে ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপসুলের সঙ্গে এক টেবিল চামচ নারিকেল তেল, এক টেবিল চামচ ক্যাসটার ওয়েল ভালো করে মিশিয়ে চুলে ম্যাসাজ করতে হবে। গোড়ায় যাতে সম্পূর্ণ তেল যায় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। তেল অন্তত পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা চুলে রাখার পরই শ্যাম্পু করে নিতে হবে।
কালার করা চুলের জন্য আলাদা কালার প্রোটেকটিং শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার বাজারে পেয়ে যাবেন, সঙ্গে সিরামও। চেষ্টা করবেন একই কোম্পানির সবকিছু ব্যবহার করতে।
তবে শীতের এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ধুলাবালি থাকে বাতাসে। তাই চুলের মধ্যে ধুলাবালি আটকে চুল কোমলতা হারায়। কমপক্ষে একদিন পরপর শ্যাম্পু করে অবশ্যই কন্ডিশনার করে নিতে হবে।
এ ছাড়া অন্যান্য যে কোনো চুলের ট্রিমেন্টের জন্য অবশ্যই বিউটি কনসালন্টে অথবা বিউটি পার্লারে যেতে হবে; যেখানে চুলের লিপিডিয়াম ট্রিটমেন্টও করে নিতে পারেন চুলের যত্নে। এর বাইরে কালার করা চুলে প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এ প্যাকটিতে একই ব্র্যান্ডের হেয়ার প্যাক চুলে কমপক্ষে দশ মিনিট রেখে এরপর টাওয়াল ড্রাই করে চুলে একই ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এতে আপনার কালার করা চুল থাকবে উজ্জ্বল আর ঝলমলে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
রঙিন চুলের যত্ন
নারীর সৌন্দর্যের অনেকাংশজুড়ে থাকে চুল। কারও পছন্দ লম্বা চুল আবার কারও পছন্দ নান্দনিক কাটিংয়ের নির্দিষ্ট কোনো ধরন। তবে যেভাবে সাজিয়ে তুলুন আপনার চুল, নিজেকে আলাদা দেখতেই ভালোবাসেন সবাই। সেদিক থেকে চুলে কালার করা বিষয় বর্তমান সময়ে ট্রেন্ডিংয়ের একটি অংশ।
একটি রং কিংবা ভিন্ন আরও দু-চারটি রঙে রাঙিয়ে তোলেন রমণীরা। অন্যদিকে চুলের এসব ভিন্নতার কারণে সম্মুখীন হতে হয় রুক্ষতার। আগা ফাটা কিংবা চুল পড়ার মতো বিভিন্ন সমস্যার।
তাই কালার করেও কীভাবে আপনি চুলকে রাখতে পারবেন সুস্থ আর প্রাণবন্ত। জানিয়েছেন জারা’স বিউটি লাউঞ্জ অ্যান্ড ফিটনেস সেন্টারের বিউটি কনসালটেন্ট অ্যান্ড সিইও-ফারহানা রুমি
চুলের ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই যত্ন আবশ্যক। আর তা যদি হয় কালার করা চুলে, তবে সেই ক্ষেত্রে বাড়তি কিছু যত্ন যুক্ত করতে হবে আপনার প্রতিদিনের রুটিনে। আর এ তালিকাতে সবার আগে আসে তেলের বিষয়টি। সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চার দিন চুলে তেল দিতে হবে।
এ ক্ষেত্রে ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপসুলের সঙ্গে এক টেবিল চামচ নারিকেল তেল, এক টেবিল চামচ ক্যাসটার ওয়েল ভালো করে মিশিয়ে চুলে ম্যাসাজ করতে হবে। গোড়ায় যাতে সম্পূর্ণ তেল যায় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। তেল অন্তত পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা চুলে রাখার পরই শ্যাম্পু করে নিতে হবে।
কালার করা চুলের জন্য আলাদা কালার প্রোটেকটিং শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার বাজারে পেয়ে যাবেন, সঙ্গে সিরামও। চেষ্টা করবেন একই কোম্পানির সবকিছু ব্যবহার করতে।
তবে শীতের এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ধুলাবালি থাকে বাতাসে। তাই চুলের মধ্যে ধুলাবালি আটকে চুল কোমলতা হারায়। কমপক্ষে একদিন পরপর শ্যাম্পু করে অবশ্যই কন্ডিশনার করে নিতে হবে।
এ ছাড়া অন্যান্য যে কোনো চুলের ট্রিমেন্টের জন্য অবশ্যই বিউটি কনসালন্টে অথবা বিউটি পার্লারে যেতে হবে; যেখানে চুলের লিপিডিয়াম ট্রিটমেন্টও করে নিতে পারেন চুলের যত্নে। এর বাইরে কালার করা চুলে প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এ প্যাকটিতে একই ব্র্যান্ডের হেয়ার প্যাক চুলে কমপক্ষে দশ মিনিট রেখে এরপর টাওয়াল ড্রাই করে চুলে একই ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এতে আপনার কালার করা চুল থাকবে উজ্জ্বল আর ঝলমলে।