যে ৫ অভ্যাসের কারণে ঘুম আসতে বিলম্ব হয়!  
jugantor
যে ৫ অভ্যাসের কারণে ঘুম আসতে বিলম্ব হয়!  

  লাইফস্টাইল ডেস্ক  

১৮ মার্চ ২০২৩, ০৯:৫৮:০৬  |  অনলাইন সংস্করণ

শরীরের শান্তির বাহক হচ্ছে ঘুম। এ ঘুম ঠিকঠাক না হলে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে। বর্তমানে ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন প্রায় কোটি কোটি মানুষ। এ সমস্যা শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত এ সমস্যায় জর্জরিত হতে পারেন। তবে এ সমস্যাকে তত গুরুত্ব দিতে চাই না। শুধু তাই নয়, প্রতিনিয়ত ঘুমের সমস্যার কারণে শরীরে বাসা বাঁধে নানা জটিল রোগ।

এ ছাড়া ঠিকমতো ঘুম না হলে মস্তিষ্ক ভালোভাবে কাজ করে না, স্মৃতিভ্রংশ হওয়া, কাজে বা পড়ায় মনোযোগের অভাব, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের সমস্যা বাড়ে, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি, হজমে গণ্ডগোল, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, অবসাদ, হ্যালুসিনেশন, ক্লান্তি, দুর্বলতার মতো আরও অনেক সমস্যা দেখা দেয়। তাই সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন ভালো ঘুম হওয়া অত্যন্ত জরুরি।

ঘুমের সমস্যার অন্যতম প্রধান কারণ হলো— খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার পরিবর্তন। দৈনন্দিন জীবনে আমাদের এমন কিছু বদভ্যাস আছে, যেগুলো ঘুমের ওপর নেগেটিভ প্রভাব ফেলে। তাই সবার জানা উচিত কোলো কোলো অভ্যাসের কারণে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয় ।

ঘুম কেমন হবে, তা পুরোপুরি নির্ভর করে দৈনন্দিন জীবনধারার ওপর। জীবনযাত্রার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে ঘুমের সমস্যা। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের কারণেই ঘুম আসতে দেরি হয়, অথবা প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। এর প্রভাব পড়ে শরীরের ওপর। তাই আপনার কোন কোন অভ্যাস এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে ঘুমের সমস্যা হচ্ছে তা বোঝা খুব জরুরি।

চা, কফির নেশা অনেকেরই রয়েছে। দিনের বেলা পরিমিত পরিমাণে কফি খেলে সমস্যার কিছু নেই। তবে বিকালের পর কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। কফিতে থাকা ক্যাফেইন দীর্ঘক্ষণ রক্তে উপস্থিত থাকে। আমাদের শরীরে ক্যাফেইন বিপাক করার জন্য প্রয়োজন প্রায় ৯-১০ ঘণ্টা। ফলে রাতে ঘুম আসতে দেরি হয় এবং পর্যাপ্ত ঘুম হয় না।

প্রতিদিন শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করলে হার্ট রেট এবং শরীরের তাপমাত্রাও ঠিক থাকে, যা এন্ডোরফিন ও সেরোটোনিন উৎপাদনে সাহায্য করে। এসব স্ট্রেস কমায় এবং ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে। তাই, যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাদের ঘুমের কোনো সমস্যা হয় না। তবে অতিরিক্ত ব্যায়াম বা সন্ধ্যার পর ব্যায়াম করলে ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ভালো ঘুমের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। রিফাইন্ড, অতিরিক্ত চিনি এবং ট্রান্স-ফ্যাটজাতীয় খাবার বেশি খেলে প্রদাহের সমস্যার পাশাপাশি ওজন বৃদ্ধি পায় এবং ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে।

অত্যধিক মোবাইল ব্যবহার, ঘুমানোর আগে ভারি খাবার খাওয়া এবং প্রচুর পরিমাণে চিনি গ্রহণ, অ্যালকোহল পান— এসব অভ্যাস ঘুমের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। ঘন ঘন ঘুম ভেঙে যাওয়া, তাড়াতাড়ি ঘুম না আসা— এর পেছনে রয়েছে অভ্যাসের সমস্যা। আবার প্রতিদিন একই সময়ে না ঘুমালে নিয়মিত ঘুম আসতে সমস্যা তৈরি হয়।

সূত্র: বোল্ড স্কাই

[প্রিয় পাঠক, আপনিও দৈনিক যুগান্তর অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইলবিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন-jugantorlifestyle@gmail.com-এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।]

যে ৫ অভ্যাসের কারণে ঘুম আসতে বিলম্ব হয়!  

 লাইফস্টাইল ডেস্ক 
১৮ মার্চ ২০২৩, ০৯:৫৮ এএম  |  অনলাইন সংস্করণ

শরীরের শান্তির বাহক হচ্ছে ঘুম। এ ঘুম ঠিকঠাক না হলে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে। বর্তমানে ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন প্রায় কোটি কোটি মানুষ। এ সমস্যা শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত এ সমস্যায় জর্জরিত হতে পারেন।  তবে এ সমস্যাকে তত গুরুত্ব দিতে চাই না।  শুধু তাই নয়, প্রতিনিয়ত ঘুমের সমস্যার কারণে শরীরে বাসা বাঁধে নানা জটিল রোগ।

এ ছাড়া ঠিকমতো ঘুম না হলে মস্তিষ্ক ভালোভাবে কাজ করে না, স্মৃতিভ্রংশ হওয়া, কাজে বা পড়ায় মনোযোগের অভাব, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের সমস্যা বাড়ে, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি, হজমে গণ্ডগোল, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, অবসাদ, হ্যালুসিনেশন, ক্লান্তি, দুর্বলতার মতো আরও অনেক সমস্যা দেখা দেয়। তাই সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন ভালো ঘুম হওয়া অত্যন্ত জরুরি।

ঘুমের সমস্যার অন্যতম প্রধান কারণ হলো— খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার পরিবর্তন। দৈনন্দিন জীবনে আমাদের এমন কিছু বদভ্যাস আছে, যেগুলো ঘুমের ওপর নেগেটিভ প্রভাব ফেলে। তাই সবার জানা উচিত কোলো কোলো অভ্যাসের কারণে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয় ।  

ঘুম কেমন হবে, তা পুরোপুরি নির্ভর করে দৈনন্দিন জীবনধারার ওপর।  জীবনযাত্রার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে ঘুমের সমস্যা। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের কারণেই ঘুম আসতে দেরি হয়, অথবা প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম হয় না।  এর প্রভাব পড়ে শরীরের ওপর। তাই আপনার কোন কোন অভ্যাস এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে ঘুমের সমস্যা হচ্ছে তা বোঝা খুব জরুরি।

চা, কফির নেশা অনেকেরই রয়েছে। দিনের বেলা পরিমিত পরিমাণে কফি খেলে সমস্যার কিছু নেই। তবে বিকালের পর কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। কফিতে থাকা ক্যাফেইন দীর্ঘক্ষণ রক্তে উপস্থিত থাকে।  আমাদের শরীরে ক্যাফেইন বিপাক করার জন্য প্রয়োজন প্রায় ৯-১০ ঘণ্টা।  ফলে রাতে ঘুম আসতে দেরি হয় এবং পর্যাপ্ত ঘুম হয় না।

প্রতিদিন শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করলে হার্ট রেট এবং শরীরের তাপমাত্রাও ঠিক থাকে, যা এন্ডোরফিন ও সেরোটোনিন উৎপাদনে সাহায্য করে। এসব স্ট্রেস কমায় এবং ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে। তাই, যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাদের ঘুমের কোনো সমস্যা হয় না। তবে অতিরিক্ত ব্যায়াম বা সন্ধ্যার পর ব্যায়াম করলে ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ভালো ঘুমের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। রিফাইন্ড, অতিরিক্ত চিনি এবং ট্রান্স-ফ্যাটজাতীয় খাবার বেশি খেলে প্রদাহের সমস্যার পাশাপাশি ওজন বৃদ্ধি পায় এবং ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে।

অত্যধিক মোবাইল ব্যবহার, ঘুমানোর আগে ভারি খাবার খাওয়া এবং প্রচুর পরিমাণে চিনি গ্রহণ, অ্যালকোহল পান— এসব অভ্যাস ঘুমের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। ঘন ঘন ঘুম ভেঙে যাওয়া, তাড়াতাড়ি ঘুম না আসা— এর পেছনে রয়েছে অভ্যাসের সমস্যা। আবার প্রতিদিন একই সময়ে না ঘুমালে নিয়মিত ঘুম আসতে সমস্যা তৈরি হয়।  

সূত্র: বোল্ড স্কাই
 

[প্রিয় পাঠক, আপনিও দৈনিক যুগান্তর অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইলবিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন-jugantorlifestyle@gmail.com-এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।]
যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন