যুগান্তর ডেস্ক ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:১৩ | অনলাইন সংস্করণ
সময়ের আবর্তনে বাংলা সাহিত্য পেয়েছে কালজয়ী অনেক লেখক। কিছুদিন আগেও হুমায়ুন আহমেদের বই আমাদেরকে বিমোহিত করতো, রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহের প্রেমের কবিতা পড়ে মুগ্ধ হতাম আমরা। এখন সময় এসেছে নতুন লেখকদের। পাঠকদের নতুন কিছু দেওয়ার লক্ষ্যে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
অনেকেই অবশ্য আশানুরূপ জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন না। এর পাশাপাশি আমরা দেখতে পাচ্ছি, ধীরে ধীরে বই বিমুখ হয়ে পড়ছেন অনেক পাঠক। এই পরিস্থিতির কারণ অনুসন্ধান তাই এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
তরুণ লেখকরা যদি সত্যিই আশানুরূপ জনপ্রিয়তা না পেয়ে থাকেন, তাহলে এর পেছনে সম্ভাব্য দুইটি কারণ থাকতে পারে। তরুণ লেখকরা হয়তো সত্যিই মানসম্মত লেখা উপহার দিতে পারছেন না, নয়তো তাদের লেখা মানসম্মত হলেও তা প্রচরণার অভাবে সঠিকভাবে পাঠকদের কাছে পৌঁছাচ্ছে না।
এক্ষেত্রে যৌক্তিক কারণ কোনটি, তা নির্ণয়ের লক্ষ্যে ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংকের পক্ষ থেকে সম্প্রতি নেওয়া হয় "নতুন আর পুরোনোকে নিয়ে, বদলে দিই বইয়ের পৃথিবী” নামের একটি ভিন্নধর্মী উদ্যোগ।
উদ্যোগটির প্রাথমিক পর্যায়ে এ সময়ের কয়েকজন তরুণ লেখক ও আগেকার কয়েকজন লেখকের উক্তি দিয়ে তৈরি করা হয় কিছু পোস্টার। দেওয়ালে লাগানো পোস্টারগুলি আগ্রহের সঙ্গে পড়ে দেখেন বহু সংখ্যক মানুষ। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই আগেকার লেখকদের উক্তি চিনতে পারলেও এ সময়ের লেখকদের উক্তি চিনতে পারেননি।
পরবর্তীতে শুধু নতুন লেখকদের উক্তি দিয়ে টি-শার্ট বানিয়ে রাখা হয় কয়েকটি দোকানে। পোস্টারের মতো টি-শার্টেও লেখকদের নাম উল্লেখ করা ছিলো না। টি-শার্টগুলি নিয়ে বেশ আগ্রহ দেখা যায় উপস্থিত সকলের মাঝে।
অনেকে তাদের পছন্দানুযায়ী টি-শার্ট কিনেও নিয়ে যান। এই ক্রেতারা জানান, উক্তিগুলো পছন্দ হওয়ার কারণে তারা টি-শার্ট কিনেছেন, কিন্তু এগুলি কাদের লেখা তা তাদের জানা নেই।
ক্রেতাদের এই বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, তরুণ লেখকদের মানসম্মত লেখার সক্ষমতা রয়েছে। লেখনী শক্তি দিয়ে তারাও পারেন মানুষের মনকে স্পর্শ করতে। কিন্তু সঠিক প্রচারণার অভাবে তারা পাঠকদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলালিংক-এর পক্ষ থেকে তরুণ লেখকদের মধ্যে থেকে বাছাই করা হয় পাঁচজনকে। এই পাঁচজন লেখক হলেন কিঙ্কর আহ্সান, আবদুল্লাহ্ আল ইমরান, মাহরীন ফেরদৌস, মেহেদী উল্লাহ এবং কুশল ইশতিয়াক। এই লেখকদের বই প্রচারের উদ্দেশ্যে ভিডিও সিরিজ তৈরিসহ নেওয়া হবে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ।
বাছাই প্রক্রিয়ার বিচারক হিসেবে ছিলেন উন্মাদের সম্পাদক আহসান হাবীব, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির যুগ্ম নির্বাহী পরিচালক মোঃ শাহাদাত হোসেন এবং বাংলালিংকের চিফ লিগাল অফিসার যাহরাত আদিব চৌধুরী। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী উদ্যোগটির প্রশংসা করেছেন।
বাছাইকৃত এই পাঁচ তরুণ লেখকের বই বাংলালিংকের ‘বইঘর’ অ্যাপে গিয়ে শিগগির পড়ার সুযোগ পাবেন পাঠকরা। বাংলা ভাষার খ্যাতনামা অনেক লেখকের বইও পড়া যাবে এই অ্যাপের মাধ্যমে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০০০-২০১৯