পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতাদের অনুদান ও প্রণোদনার আবেদন
যুগান্তর রিপোর্ট
২৫ এপ্রিল ২০২০, ২২:০৩:৩০ | অনলাইন সংস্করণ
করোনায় ধুঁকছে পৃথিবী। দেশের প্রায় সবক’টি পেশাজীবী শ্রেণি করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত। করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি এবার তাদের ২৬ হাজার সদস্য ও দুই লক্ষাধিক পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুদান ও প্রণোদনার আবেদন করেছে।
শনিবার সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন ও রাজধানী শাখার সভাপতি মাজহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিভিন্ন মেয়াদি এসব অনুদান ও প্রণোদনার বিষয়ে জানানো হয়।
স্বল্পমেয়াদি হিসেবে জরুরিভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রকাশক ও বিক্রেতাদের তিন মাসের অফিস, শোরুম ও গোডাউন ভাড়া এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন বাবদ ১০০ কোটি টাকা আর্থিক অনুদান প্রদানের আবেদন জানানো হয়।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত পাঠাগারগুলো বই ক্রয়ের বরাদ্দ কমপক্ষে বিশ গুণ বৃদ্ধি এবং চলতি অর্থবছরে তা বাস্তবায়ন করার দাবি জানানো হয়। এ ছাড়াও প্রকাশনার কাজে ব্যবহৃতকাগজের ওপর আমদানি শুল্ক মওকুফ করা এবং দেশে উৎপাদিত কাগজের মূল্য কমানোর পাশাপাশ মুদ্রণ কাজে ব্যবহৃত সব প্রকার পণ্যের (প্রধানত প্লেট ও কালি) আমদানি শুল্ক হ্রাস করার আবেদন করা হয়।
মধ্যমেয়াদি আবেদনে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে সৃজনশীল, পাঠ সহায়ক ও ধর্মীয় বইসহ সব প্রকাশকদের জন্য ৩০০ কোটি টাকা এবং সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা বই বিক্রেতাদের জন্য ২০০ কোটি টাকা- মোট ৫০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা অথবা পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতাদের জন্য আলাদাভাবে ৫০০ কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করা, যাতে পুস্তক ব্যবসায়ীরা স্বল্প সুদে ঘোষিত প্রণোদনা থেকে সহজ শর্তে ঋণ গ্রহণ করতে পারেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতাদের অনুদান ও প্রণোদনার আবেদন
করোনায় ধুঁকছে পৃথিবী। দেশের প্রায় সবক’টি পেশাজীবী শ্রেণি করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত। করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি এবার তাদের ২৬ হাজার সদস্য ও দুই লক্ষাধিক পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুদান ও প্রণোদনার আবেদন করেছে।
শনিবার সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন ও রাজধানী শাখার সভাপতি মাজহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিভিন্ন মেয়াদি এসব অনুদান ও প্রণোদনার বিষয়ে জানানো হয়।
স্বল্পমেয়াদি হিসেবে জরুরিভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রকাশক ও বিক্রেতাদের তিন মাসের অফিস, শোরুম ও গোডাউন ভাড়া এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন বাবদ ১০০ কোটি টাকা আর্থিক অনুদান প্রদানের আবেদন জানানো হয়।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত পাঠাগারগুলো বই ক্রয়ের বরাদ্দ কমপক্ষে বিশ গুণ বৃদ্ধি এবং চলতি অর্থবছরে তা বাস্তবায়ন করার দাবি জানানো হয়। এ ছাড়াও প্রকাশনার কাজে ব্যবহৃত কাগজের ওপর আমদানি শুল্ক মওকুফ করা এবং দেশে উৎপাদিত কাগজের মূল্য কমানোর পাশাপাশ মুদ্রণ কাজে ব্যবহৃত সব প্রকার পণ্যের (প্রধানত প্লেট ও কালি) আমদানি শুল্ক হ্রাস করার আবেদন করা হয়।
মধ্যমেয়াদি আবেদনে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে সৃজনশীল, পাঠ সহায়ক ও ধর্মীয় বইসহ সব প্রকাশকদের জন্য ৩০০ কোটি টাকা এবং সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা বই বিক্রেতাদের জন্য ২০০ কোটি টাকা- মোট ৫০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা অথবা পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতাদের জন্য আলাদাভাবে ৫০০ কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করা, যাতে পুস্তক ব্যবসায়ীরা স্বল্প সুদে ঘোষিত প্রণোদনা থেকে সহজ শর্তে ঋণ গ্রহণ করতে পারেন।