গাজার খান ইউনিসের একটি কবরস্থানে ফিলিস্তিনি বন্দিদের লাশ দাফন করা হয়। ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কাফনে মোড়ানো সারি সারি লাশ। একসঙ্গে দেওয়া হচ্ছে গণকবর। নিহত ১৫ ফিলিস্তিনির সবাই ছিল ইসরাইলের কারাগারে বন্দি। মার্কিন মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতির পর বন্দিদের লাশগুলো হস্তান্তর করা হয়। সোমবার গাজার খান ইউনিসের একটি কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়। এদিকে যুদ্ধবিরতির পরও অবরুদ্ধ গাজায় অনবরত চলছে হামলা। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পূর্বে ইসরাইলি ড্রোন হামলায় এক শিশুসহ দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এছাড়াও জেইতুন পাড়ায় বাড়ি-ঘরে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে সেনারা। শহরের পশ্চিম অংশে বিভিন্ন ধরনের ড্রোন উড়তে দেখা যায়। দক্ষিণ গাজার আজ-জান্না এলাকায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী কামানের গোলা নিক্ষেপ করেছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি শুরুর পর থেকে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ২৪১ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৬১৯ জন আহত হয়েছেন। তবে শুধুমাত্র গাজা নয় অধিকৃত পশ্চিম তীরেও একইভাবে চলছে ইসরাইলি আগ্রাসন। ইসরাইলি বাহিনী সোমবার থেকে পশ্চিম তীরে তিন দিনের মহড়া শুরু করেছে। এটি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
ওয়াফা সংবাদ সংস্থার মতে, নাবলুসের দক্ষিণে আকরাবা শহরে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনি রাখালদের ওপর আক্রমণ করেছে। এই ধরনের আক্রমণ ঘন ঘন ঘটে। এভাবে হয়রানি করে পশ্চিম তীরে কয়েক হাজার একর জমি বসতি স্থাপনকারীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। রোববার রাতেও খিরবেত আল-ফারসিয়ায় এই হামলা চালানো হয়।
জাতিসংঘের মানবিক-বিষয়ক সমন্বয় অফিস (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, অক্টোবর মাস থেকে পশ্চিম তীরে গড়ে প্রতিদিন আটটি করে আক্রমণ করা হয়। এছাড়াও ইসরাইলি বাহিনী জর্ডান উপত্যকায় ফিলিস্তিনি শিক্ষকদের চলাচলে বাধা দিয়েছে।
এ বিষয়ে তুবাস গভর্নরেটের শিক্ষা পরিচালক আজমি বালাওনেহ বলেছেন, কয়েক ডজন শিক্ষককে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। উপনিবেশকরণ এবং প্রাচীর প্রতিরোধ কমিশন জানিয়েছে, পশ্চিমতীরজুড়ে এখন ৮৯৮টি ইসরাইলি সামরিক চেক পয়েন্ট এবং গেট রয়েছে। যার মধ্যে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ১৬৪টি স্থাপন করা হয়েছে -এএফপি
