Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

ইসরাইলি পার্লামেন্টে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মৃত্যুদণ্ডের বিল অনুমোদন

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম

ইসরাইলি পার্লামেন্টে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মৃত্যুদণ্ডের বিল অনুমোদন

ইসরাইলি পার্লামেন্টে অধিবেশন। ছবি: সংগৃহীত

ইসরাইলি পার্লামেন্ট (নেসেট) ফার্স্ট রিডিংয়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অনুমতি সংক্রান্ত একটি বিল অনুমোদন করেছে। ইসরাইলি সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ (কেএএন) এ তথ্য জানিয়েছে। 

কেএএন আরও জনিয়েছে,সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত ওই ভোটে ১২০ সদস্যের মধ্যে ৩৯ জন পক্ষে এবং ১৬ জন বিপক্ষে ভোট দেন।

অধিবেশনের সময় আরব আইনপ্রণেতা আয়মান ওদেহ ও কট্টর-ডানপন্থি জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরের মধ্যে তীব্র বাক-বিতণ্ডা হয়, যা প্রায় হাতাহাতিতে রূপ নিতে নিতে থেমে যায়। 

বেন-গভিরের নেতৃত্বাধীন কট্টর-ডানপন্থি ‘জিউইশ পাওয়ার” পার্টি এই আইনটি প্রস্তাব করে। ভোটে আনার আগে বিলটি নেসেটের বিভিন্ন কমিটিতে পাঠানো হয় দ্বিতীয় ও তৃতীয় পাঠের প্রস্তুতির জন্য। 

খসড়া আইনে বলা হয়েছে, ‘যে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বা বেপরোয়া আচরণের মাধ্যমে ইসরাইলি নাগরিককে হত্যা করে— যদি তা বর্ণবিদ্বেষ, ঘৃণা বা ইসরাইলকে ক্ষতি করার উদ্দেশ্য থেকে হয়ে থাকে— তাহলে তার শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড।’  আর একবার শাস্তি ঘোষিত হলে তা হ্রাস করার কোনো সুযোগ থাকবে না।


বেন-গভির ভোটের পর মার্কিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে আনন্দ প্রকাশ করে লেখেন, ‘জিউইশ পাওয়ার ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম এবং তা পূরণ করেছি। সন্ত্রাসীদের মৃত্যুদণ্ডের আইন ফার্স্ট রিডিংয়ে পাশ হয়েছে।’

মানবাধিকার সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরে বেন-গভিরের এই উদ্যোগের নিন্দা জানিয়ে আসছে। তাদের মতে, এই আইনটি মূলত ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে তৈরি এবং এটি ইসরাইলি শাসনব্যবস্থার বৈষম্যকে আরও গভীর করবে।

ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে নারী ও শিশুসহ ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি ইসরাইলি কারাগারে বন্দী আছেন। বন্দিরা সেখানে নির্যাতন, অনাহার ও চিকিৎসা-অবহেলার শিকার হচ্ছেন, যার ফলে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। 

তথ্যসূত্র: আনাদোলু

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম