Logo
Logo
×

অন্যান্য

সংবাদ সম্মেলনে মেডিকোর কর্ণধার ডা. জনি

আমার মুক্তির জন্য ৫ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছিল

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৮ পিএম

আমার মুক্তির জন্য ৫ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছিল

মেডিকেল ভর্তি কোচিং প্রতিষ্ঠান ‘মেডিকো’র প্রতিষ্ঠাতা ডা. জুবায়দুর রহমান জনি তার বিরুদ্ধে করা প্রশ্নফাঁস মামলাকে পুরোপুরি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, তাকে জড়িয়ে ষড়যন্ত্রমূলক মামলার সুযোগে তার পরিবারের কাছে পাঁচ কোটি টাকা দাবি করা হয়। এর মধ্যে ছয় কিস্তিতে চার কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। 

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ডা. জনি।

তিনি বলেন, ‘আমি যখন আটক ছিলাম, তখন আমার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের স্কাইসিটি হোটেলে ডেকে মুক্তির বিনিময়ে পাঁচ কোটি টাকা দাবি করা হয়। পরে আমার পরিবার ৪ কোটি টাকা দিয়েছে ছয় কিস্তিতে। টাকাগুলো আগারগাঁও এলাকা থেকে এসে নিয়েছেন সাব-ইন্সপেক্টর মেহেদী হাসান।’

এ সময় তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আমার স্ত্রীকে কেন স্কাইসিটি হোটেলে ডাকা হয়েছিল? কেন আমাকে মেরে ফেলার ভয় দেখানো হয়েছিল? এটা কি শুধুই তদন্তের অংশ, না কোনো চক্রান্ত?’

২০২৩ সালের জুলাইয়ে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস নিয়ে সিআইডি তদন্ত শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় ওই বছরের ২৩ আগস্ট ভোরে সাদা পোশাকে পুলিশ ডা. জনিকে তার বাসা থেকে আটক করে। ডা. জনি দাবি করেন, কোনো তদন্ত বা প্রমাণ ছাড়াই তাকে গ্রেফতার করা হয়, আর এ প্রক্রিয়াটি ছিল অত্যন্ত অসম্মানজনক ও ভয়াবহ।

ডা. জনি বলেন, ‘গ্রেফতারের সময় আমার স্ত্রী ও শিশুসন্তান ঘরে ছিল। আমি বলেছিলাম একটু সময় দিন, আমার স্ত্রী কাপড় পালটানোর সুযোগ পাক। কিন্তু কোনো কথা না শুনেই পুলিশ জোর করে রুমে ঢুকে পড়ে। থানায় নেওয়ার পর শারীরিকভাবে নির্যাতন করে হাত ভেঙে দেওয়া হয়।

মেডিকো কর্ণধার অভিযোগ করেন, হেফাজতে থাকার সময় তাকে চিকিৎসা নিতে দেওয়া হয়নি, এমনকি পুলিশ আদালতের নির্দেশের পরও তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে আদালতের চাপের মুখে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও তা পর্যাপ্ত ছিল না।

তার অভিযোগ, ২৭ ঘণ্টা আটকে রেখে তাকে আদালতে তোলা হয়, যা বেআইনি। পুরো প্রক্রিয়াটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লে­খ করে ডা. জনি বলেন, ‘আমি যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও আমার পেশা ছিল ভিন্ন একটি জগৎ, যেখানে রাজনৈতিক কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমাকে শুধু রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে টার্গেট করা হয়েছে।’ 

ডা. জনি তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম