বাকৃবি প্রতিনিধি ০৪ জুলাই ২০১৯, ২২:১৭ | অনলাইন সংস্করণ
ইলিশের পর এবার সিলভার কার্পের নুডুলস তৈরি করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের একদল গবেষক।
গবেষক দলের প্রধান ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাতেমা হক শিখা। দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন সহযোগী গবেষক অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থী লাবিবা ফারজানা পল্লবি এবং শামছুননাহার সীমা।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বিভাগীয় সম্মেলন কক্ষে নুডুলসয়ের প্যানেল টেস্ট অনুষ্ঠানে এসব জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের অর্থায়নে এবং বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেমের তত্ত্বাবধানে দুই বছরের ওই গবেষণা পরিচালিত হয়।
প্রধান গবেষক ড. ফাতেমা হক শিখা বলেন, সিলভার কার্প একটি বিদেশি কার্প জাতীয় মাছ। দেশে প্রচুর পরিমানে চাষ হলেও মাছটিতে কাঁটা বেশি থাকায় অনেকেই এ মাছ খেতে চান না। তাই মাছটিকে কাঁটামুক্ত ও স্বাদ অক্ষুণ্ণ রেখে বিকল্প উপায়ে ভোক্তার কাছে মাছের স্বাদ পৌঁছানোর জন্যই নুডুলসটি উদ্ভাবন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সিলভার কার্পের নুডুলস তৈরির জন্য প্রথমে সিলভার কার্প মাছ থেকে মাংস সংগ্রহ করে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মাংস থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি ও চর্বি বের করে নিয়ে কিমা তৈরি করা হয়েছে।
নুডুলসটিকে বাজারজাত করার বিষয়ে ড. ফাতেমা হক শিখা বলেন, বিভিন্ন নুডুলস বাজারজাতকরণ কোম্পানি আমার সঙ্গে কথা বলেছে। নুডুলসটি শিগগিরই বাজারে আনার জন্য চেষ্টা করছি।
নুডুলসয়ের গুণগত মান সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রতি ১০০ গ্রাম নুডুলসে আমিষের পরিমাণ ২৩.৮০ শতাংশ, লিপিডের পরিমাণ ৮.৬ শতাংশ, শর্করার পরিমাণ ৫৫.৫৪ শতাংশ, অ্যাশ ২.৯৭ শতাংশ এবং পানির পরিমাণ ৯.০৯ শতাংশ।
এছাড়াও ১০০ গ্রাম নুডুলস থেকে মোট ৩৯৪.৭৬ ক্যালরি পরিমাণ শক্তি পাওয়া যাবে।
পরীক্ষা করে দেখা গেছে, নুডুলসটি প্রায় এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা সম্ভব বলে তিনি জানান।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০০০-২০১৯