উহান থেকে দেশে আসতে চান ৩৭০ বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুগান্তর রিপোর্ট
৩১ জানুয়ারি ২০২০, ০০:৩৩:৪৮ | অনলাইন সংস্করণ
করোনাভাইরাসের কারণে চীনে থাকা বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে সরকার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেছেন, ‘চীন থেকে ৩৭০ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরতে চান। আমরাতো তাদের আনতে রেডি। যখনই তারা আসতে চাইবে এবং চাইনিজ সরকার এ্যালাও করবে আমরা সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে আসবো। শুনেছি কোনো কোনো দেশ তাদের কূটনীতিকদের নিয়ে গেছে সেই ফাঁকে যদি অন্য কাউকে নিয়ে যায় সেটা জানি না।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম-২০২০’ এর সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের যারা ছেলে-মেয়ে আছে প্রায় ৩৭০ জনের তালিকা করা হয়েছে। ২২টা প্রতিষ্ঠানে ওরা ছড়িয়ে আছে। বিশেষ করে উহানের কথা বলছি, এমনিতেই চাইনিজরা যেটা করেছে সেটা হচ্ছে তাদের অসুখ-বিসুখ হলে চাইনিজ সরকার চিকিৎসা দিবে। আর আমরা এখানে মোটামাটিভাবে রেডি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের আসার সিদ্ধান্ত হলে উহান থেকে বাস যোগ আনতে হবে এয়ারপোর্টে, ৩৭০ জন হলেও আমাদের ৪১৯ জনের কমার্শিয়াল ফ্লাইট আছে। আমরা সেটা পাঠিয়ে দেবো। তবে চাইনিজরা সময় নির্ধারণ করে দিবে। তারপরই আমরা ফ্লাইট পাঠাবো।’
বিষয়টি কি চাইনিজদের ওপর নির্ভর করছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ওনাদের ওপরই নির্ভর করছে। চীন সরকারের উপর মাতাব্বরি করতে চাই না। তবে এটুকু বলি যে, কিছু সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী তারা আবার বলেছে আসবে না। ১৫ জন শিক্ষার্থী বলছে যে, তারা দেশে এসে অসুস্থ হলে দেশের অমঙ্গল হবে। তাই তারা দেশে আসতে চান না।
৩৭০জন আসলে তো অসুখ-বিসুখের আশঙ্কাটা থেকে যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সেটা মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। তারা ফিরলে আমরা আলাদাভা রাখবো এবং অভজার্ব করবো।’
বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন আইল্যান্ডে তাদের রাখার ব্যবস্থা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের তো সে ব্যব্স্থা নেই। তবে আমরা হাসপাতালে রাখবো। কোনো হাসপাতালে রাখার বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঠিক করবে। আনার দায়িত্ব আমাদের। আনার পর দায়িত্ব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখনো কোন করোনাভাইরাস ধরা পড়েনি। এখন পর্যন্ত চীন ভ্রমনের কোন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। আমরা আতঙ্কিত হতে চাই না।’
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
উহান থেকে দেশে আসতে চান ৩৭০ বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
করোনাভাইরাসের কারণে চীনে থাকা বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে সরকার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেছেন, ‘চীন থেকে ৩৭০ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরতে চান। আমরাতো তাদের আনতে রেডি। যখনই তারা আসতে চাইবে এবং চাইনিজ সরকার এ্যালাও করবে আমরা সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে আসবো। শুনেছি কোনো কোনো দেশ তাদের কূটনীতিকদের নিয়ে গেছে সেই ফাঁকে যদি অন্য কাউকে নিয়ে যায় সেটা জানি না।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম-২০২০’ এর সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের যারা ছেলে-মেয়ে আছে প্রায় ৩৭০ জনের তালিকা করা হয়েছে। ২২টা প্রতিষ্ঠানে ওরা ছড়িয়ে আছে। বিশেষ করে উহানের কথা বলছি, এমনিতেই চাইনিজরা যেটা করেছে সেটা হচ্ছে তাদের অসুখ-বিসুখ হলে চাইনিজ সরকার চিকিৎসা দিবে। আর আমরা এখানে মোটামাটিভাবে রেডি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের আসার সিদ্ধান্ত হলে উহান থেকে বাস যোগ আনতে হবে এয়ারপোর্টে, ৩৭০ জন হলেও আমাদের ৪১৯ জনের কমার্শিয়াল ফ্লাইট আছে। আমরা সেটা পাঠিয়ে দেবো। তবে চাইনিজরা সময় নির্ধারণ করে দিবে। তারপরই আমরা ফ্লাইট পাঠাবো।’
বিষয়টি কি চাইনিজদের ওপর নির্ভর করছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ওনাদের ওপরই নির্ভর করছে। চীন সরকারের উপর মাতাব্বরি করতে চাই না। তবে এটুকু বলি যে, কিছু সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী তারা আবার বলেছে আসবে না। ১৫ জন শিক্ষার্থী বলছে যে, তারা দেশে এসে অসুস্থ হলে দেশের অমঙ্গল হবে। তাই তারা দেশে আসতে চান না।
৩৭০জন আসলে তো অসুখ-বিসুখের আশঙ্কাটা থেকে যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সেটা মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। তারা ফিরলে আমরা আলাদাভা রাখবো এবং অভজার্ব করবো।’
বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন আইল্যান্ডে তাদের রাখার ব্যবস্থা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের তো সে ব্যব্স্থা নেই। তবে আমরা হাসপাতালে রাখবো। কোনো হাসপাতালে রাখার বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঠিক করবে। আনার দায়িত্ব আমাদের। আনার পর দায়িত্ব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখনো কোন করোনাভাইরাস ধরা পড়েনি। এখন পর্যন্ত চীন ভ্রমনের কোন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। আমরা আতঙ্কিত হতে চাই না।’