পাপুলের স্ত্রী-মেয়ে ও শ্যালিকার জামিন আবেদন
যুগান্তর রিপোর্ট
২৮ নভেম্বর ২০২০, ১৫:১৪:১২ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও মানব পাচারের অভিযোগে বিচারাধীন মামলায় কুয়েতে আটক থাকা আলোচিত সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলাম জামিন আবেদন করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে এ আবেদন করা হয় বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
তিনি শনিবার জানান, বৃহস্পতিবার দু’টি জামিনের আবেদন পেয়েছি। একটিতে সেলিনা ইসলাম ও তার মেয়ের আবেদন। অপরটিতে সেলিনা ইসলামের বোন জেসমিন প্রধানের আবেদন।
পাপুল কুয়েতে গ্রেফতার হওয়ার পর গত ১১ নভেম্বর তিনিসহ তার স্ত্রী এমপি সেলিনা, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান এবং মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুদক।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন শিক্ষার্থী থাকাবস্থায় দুই কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
এছাড়া ‘কাগুজে প্রতিষ্ঠানের’ আড়ালে জেসমিন পাঁচ ব্যাংকের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১৪৮ কোটি টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে অর্থ পাচার করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়।
মামলায় প্রধান আসামি জেসমিনের বিষয়ে বলা হয়, তিনি শিক্ষার্থী থাকাবস্থায় বোন সেলিনা ইসলাম ও ভগ্নিপতি শহিদ ইসলাম পাপুলের অবৈধ অর্জিত অর্থ মানিলন্ডারিং করে বৈধতায় রূপ দিতে ‘লিলাবালি’ নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
বিভিন্ন ব্যাংকে তার নামে প্রায় ৪৪টি হিসাব পাওয়া গেছে। যেখানে শুধু এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকেই রয়েছে ৩৪টি এফডিআর হিসাব। আসামি শহিদ ইসলাম পাপুল এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন, বিধায় এ সুবিধা গ্রহণ করতে তার কোনো বেগ পেতে হয়নি।
এসব অভিযোগে গত ১৭ জুন পাপুলের স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালিকার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।
দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, অন্তত ৪৪টি ব্যাংক হিসাবে ১৪৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ ছাড়া সেলিনা ইসলামের নামে ২৯৫টি এফডিআরে ২০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, জেসমিনের নামে ২০টি এফডিআরে ১ কোটি টাকা, পাপুলের ২৩টি এফডিআরে ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা, বোনের মেয়ে ওয়াফা ইসলামের নামে ৪১টি এফডিআরে ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা রয়েছে।
এসব কাজে পাপুল, তার স্ত্রী ও মেয়ে সহযোগিতা করেছেন উল্লেখ করে তাদেরও আসামি করা হয়।
মানব ও অর্থপাচার এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগে কুয়েতে পাপুলের বিরুদ্ধে করা মামলায় আগামী ২৮ জানুয়ারি রায়ের দিন ঠিক করেছে সেদেশের আদালত।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পাপুলের স্ত্রী-মেয়ে ও শ্যালিকার জামিন আবেদন
অর্থ ও মানব পাচারের অভিযোগে বিচারাধীন মামলায় কুয়েতে আটক থাকা আলোচিত সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলাম জামিন আবেদন করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে এ আবেদন করা হয় বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
তিনি শনিবার জানান, বৃহস্পতিবার দু’টি জামিনের আবেদন পেয়েছি। একটিতে সেলিনা ইসলাম ও তার মেয়ের আবেদন। অপরটিতে সেলিনা ইসলামের বোন জেসমিন প্রধানের আবেদন।
পাপুল কুয়েতে গ্রেফতার হওয়ার পর গত ১১ নভেম্বর তিনিসহ তার স্ত্রী এমপি সেলিনা, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান এবং মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুদক।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন শিক্ষার্থী থাকাবস্থায় দুই কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
এছাড়া ‘কাগুজে প্রতিষ্ঠানের’ আড়ালে জেসমিন পাঁচ ব্যাংকের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১৪৮ কোটি টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে অর্থ পাচার করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়।
মামলায় প্রধান আসামি জেসমিনের বিষয়ে বলা হয়, তিনি শিক্ষার্থী থাকাবস্থায় বোন সেলিনা ইসলাম ও ভগ্নিপতি শহিদ ইসলাম পাপুলের অবৈধ অর্জিত অর্থ মানিলন্ডারিং করে বৈধতায় রূপ দিতে ‘লিলাবালি’ নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
বিভিন্ন ব্যাংকে তার নামে প্রায় ৪৪টি হিসাব পাওয়া গেছে। যেখানে শুধু এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকেই রয়েছে ৩৪টি এফডিআর হিসাব। আসামি শহিদ ইসলাম পাপুল এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন, বিধায় এ সুবিধা গ্রহণ করতে তার কোনো বেগ পেতে হয়নি।
এসব অভিযোগে গত ১৭ জুন পাপুলের স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালিকার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।
দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, অন্তত ৪৪টি ব্যাংক হিসাবে ১৪৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ ছাড়া সেলিনা ইসলামের নামে ২৯৫টি এফডিআরে ২০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, জেসমিনের নামে ২০টি এফডিআরে ১ কোটি টাকা, পাপুলের ২৩টি এফডিআরে ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা, বোনের মেয়ে ওয়াফা ইসলামের নামে ৪১টি এফডিআরে ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা রয়েছে।
এসব কাজে পাপুল, তার স্ত্রী ও মেয়ে সহযোগিতা করেছেন উল্লেখ করে তাদেরও আসামি করা হয়।
মানব ও অর্থপাচার এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগে কুয়েতে পাপুলের বিরুদ্ধে করা মামলায় আগামী ২৮ জানুয়ারি রায়ের দিন ঠিক করেছে সেদেশের আদালত।