মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্লাহ হত্যায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড
যুগান্তর রিপোর্ট
০২ ডিসেম্বর ২০২০, ১৩:৪৮:৪৩ | অনলাইন সংস্করণ
ঢাকার কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্লাহ চৌধুরীকে হত্যার পর মরদেহ পোড়ানোর অভিযোগে করা মামলায় সাত আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল ১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডের আদেশ পাওয়া ৭ আসামি হলেন- মো. জাহাঙ্গীর ওরফে জাহাঙ্গীর খাঁ, আহসানুল কবির ইমন, রফিকুল ইসলাম আমিন ওরফে টুণ্ডা আমিন, শিহাব আহমেদ শিবু, তাজুল ইসলাম তানু, মো. আসিফ ও গুলজার হোসেন।
তাদের মধ্যে কারাগারে থাকা জাহাঙ্গীর ও ইমনকে রায়ের সময় আদালতে হাজির করা হয়। বাকিরা সবাই পলাতক রয়েছেন।
এ মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আট আসামির মধ্যে শম্পা আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন বিচারক।
আতিক উল্লাহ চৌধুরীর ছেলে সাইদুর রহমান ফারুক চৌধুরী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন কোন্ডা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আতিক উল্লাহ চৌধুরী। নিখোঁজের পর দিন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর এলাকার একটি হাসপাতালের পাশ থেকে তার আগুনে পোড়া বিকৃত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন ইউপি চেয়ারম্যান আতিক উল্লাহ চৌধুরী। পরদিন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর এলাকার একটি হাসপাতালের পাশ থেকে তার আগুনে পোড়া বিকৃত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে। হত্যার পর মৃতদেহের পরিচয় গোপন করার জন্য লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়। কিন্তু সঙ্গে থাকা কাগজ ও এটিএম কার্ড দেখে লাশ শনাক্ত করেন তার ছেলে সাইদুর রহমান ফারুক চৌধুরী।
তিনি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় যে হত্যা মামলা দায়ের করেন, তার তদন্ত শেষে আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
২০১৫ সালের ২ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্লাহ হত্যায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড
ঢাকার কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্লাহ চৌধুরীকে হত্যার পর মরদেহ পোড়ানোর অভিযোগে করা মামলায় সাত আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল ১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডের আদেশ পাওয়া ৭ আসামি হলেন- মো. জাহাঙ্গীর ওরফে জাহাঙ্গীর খাঁ, আহসানুল কবির ইমন, রফিকুল ইসলাম আমিন ওরফে টুণ্ডা আমিন, শিহাব আহমেদ শিবু, তাজুল ইসলাম তানু, মো. আসিফ ও গুলজার হোসেন।
তাদের মধ্যে কারাগারে থাকা জাহাঙ্গীর ও ইমনকে রায়ের সময় আদালতে হাজির করা হয়। বাকিরা সবাই পলাতক রয়েছেন।
এ মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আট আসামির মধ্যে শম্পা আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন বিচারক।
আতিক উল্লাহ চৌধুরীর ছেলে সাইদুর রহমান ফারুক চৌধুরী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন কোন্ডা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আতিক উল্লাহ চৌধুরী। নিখোঁজের পর দিন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর এলাকার একটি হাসপাতালের পাশ থেকে তার আগুনে পোড়া বিকৃত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন ইউপি চেয়ারম্যান আতিক উল্লাহ চৌধুরী। পরদিন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর এলাকার একটি হাসপাতালের পাশ থেকে তার আগুনে পোড়া বিকৃত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে। হত্যার পর মৃতদেহের পরিচয় গোপন করার জন্য লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়। কিন্তু সঙ্গে থাকা কাগজ ও এটিএম কার্ড দেখে লাশ শনাক্ত করেন তার ছেলে সাইদুর রহমান ফারুক চৌধুরী।
তিনি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় যে হত্যা মামলা দায়ের করেন, তার তদন্ত শেষে আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
২০১৫ সালের ২ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।