মশা ঠেকাতে ৫০ কোটি টাকার মেশিন কিনছে সরকার
যুগান্তর প্রতিবেদন
২৪ জানুয়ারি ২০২১, ২০:২৭:৪৭ | অনলাইন সংস্করণ
মশার উপদ্রব ঠেকানোর জন্য কচুরিপানা পরিষ্কার করতে ৫০ কোটি টাকার মেশিন কিনছে সরকার। রোববার স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এডিস মশা হয় ঘর-বাড়িতে। বাড়ির মালিকসহ সবাই এ মশা মারতে যোগ দিয়েছে। গত সেপ্টেম্বর থেকে কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছিলাম বলে আমরা সেখানে একটা সন্তোষজনক জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি। কিউলেক্স মশা হয় ঝোপ-জঙ্গল, আর্বজনা এবং ময়লা পানিতে। সে জন্য কচুরিপানাসহ ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করতে ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিদেশ থেকে মেশিন কেনা হচ্ছে।
সচিবালয়ে রোববার ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে দুই সিটি করপোরেশনের কর্মপরিকল্পনা পর্যালোচনা সভার শুরুতে তিনি এসব বলেন। ঢাকার ৩৯টি খাল সংস্কারের কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতেই এ সভা ডাকা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ১৯৮৭ সালে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা ও খালগুলো ওয়াসার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। জনমানুষের মধ্যে একটা ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, এটা জনপ্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠানের কাছে থাকলে ‘ভালো’ হবে। আমরা স্টর্ম ওয়াটার ও খালগুলো নিয়ে আজকে বসেছি। শুধু বৃষ্টির পানি যাওয়ার জন্য, খালগুলোকে পরিষ্কার করার জন্য সিটি করপোরেশনের কাছে এটা হস্তান্তর করা হয়নি, তারাও এজন্য এটা নেয়নি। উদ্দেশ্যটা হলো যেসব খালের জায়গা অবৈধভাবে দখল হয়েছে তা দখলমুক্ত করা। দখলমুক্ত করে খালগুলোকে সংস্কার করা।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে আপনারা মশা নিয়ে কিছু কিছু কথাবার্তা বলছেন। আমি যদিও এটা মনে করি অতীতের যে কোনো বছরের তুলনায় এখনও কিউলেক্স মশার পরিমাণ কম। কিন্তু তাও (মশা) মানুষের কাছে অসহ্য ও যন্ত্রণার কারণ হিসেবে এটা আজকে দাঁড়িয়েছে- এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই।
প্রতীকী ভিডিও
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
মশা ঠেকাতে ৫০ কোটি টাকার মেশিন কিনছে সরকার
মশার উপদ্রব ঠেকানোর জন্য কচুরিপানা পরিষ্কার করতে ৫০ কোটি টাকার মেশিন কিনছে সরকার। রোববার স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এডিস মশা হয় ঘর-বাড়িতে। বাড়ির মালিকসহ সবাই এ মশা মারতে যোগ দিয়েছে। গত সেপ্টেম্বর থেকে কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছিলাম বলে আমরা সেখানে একটা সন্তোষজনক জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি। কিউলেক্স মশা হয় ঝোপ-জঙ্গল, আর্বজনা এবং ময়লা পানিতে। সে জন্য কচুরিপানাসহ ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করতে ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিদেশ থেকে মেশিন কেনা হচ্ছে।
সচিবালয়ে রোববার ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে দুই সিটি করপোরেশনের কর্মপরিকল্পনা পর্যালোচনা সভার শুরুতে তিনি এসব বলেন। ঢাকার ৩৯টি খাল সংস্কারের কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতেই এ সভা ডাকা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ১৯৮৭ সালে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা ও খালগুলো ওয়াসার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। জনমানুষের মধ্যে একটা ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, এটা জনপ্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠানের কাছে থাকলে ‘ভালো’ হবে। আমরা স্টর্ম ওয়াটার ও খালগুলো নিয়ে আজকে বসেছি। শুধু বৃষ্টির পানি যাওয়ার জন্য, খালগুলোকে পরিষ্কার করার জন্য সিটি করপোরেশনের কাছে এটা হস্তান্তর করা হয়নি, তারাও এজন্য এটা নেয়নি। উদ্দেশ্যটা হলো যেসব খালের জায়গা অবৈধভাবে দখল হয়েছে তা দখলমুক্ত করা। দখলমুক্ত করে খালগুলোকে সংস্কার করা।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে আপনারা মশা নিয়ে কিছু কিছু কথাবার্তা বলছেন। আমি যদিও এটা মনে করি অতীতের যে কোনো বছরের তুলনায় এখনও কিউলেক্স মশার পরিমাণ কম। কিন্তু তাও (মশা) মানুষের কাছে অসহ্য ও যন্ত্রণার কারণ হিসেবে এটা আজকে দাঁড়িয়েছে- এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই।
প্রতীকী ভিডিও