স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত ৪ ফেব্রুয়ারির পর: শিক্ষামন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
২৪ জানুয়ারি ২০২১, ২২:০১:১২ | অনলাইন সংস্করণ
আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির পর যে কোনো দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সম্ভাবনা আছে। ক্লাশ শুরু হলে কেবল এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা সপ্তাহে ৫-৬দিন স্কুলে আসবে। অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে একদিন স্কুলে আসবে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি রোববার বিকালে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের (বিএনসিইউ) এক আলোচনা সভায় এই তথ্য প্রকাশ করেন।
এর আগে দুপুরে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের লক্ষ্যে তিনটি বিল পাস হওয়ার পর দেয়া বক্তৃতায়ও তিনি একই প্রসঙ্গে কথা বলেন।
বিকালে অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, পর্যায়ক্রমে কলেজে চালু অনার্স-মাস্টার্স প্রোগ্রাম বন্ধ করে দেয়া হবে। তবে শিক্ষকরা চাকরি হারাবেন না। তারা অন্য কোর্স পড়াবেন। দেশে বর্তমানে বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স কলেজ ৩৪৯টি, সরকারি প্রায় দেড়শ’। উভয় ধরনের কলেজে শিক্ষক আছেন প্রায় ৩০ হাজার।
কোভিড-১৯ প্রজন্মের জন্য শিক্ষা পুনরুদ্ধার ও পুনরুজ্জীবন’ শীর্ষক এই আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। মূল আলোচক ছিলেন ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অর্থনীতিবিদ ড. ফরাসউদ্দিন।
আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার মতো উপযোগী করতে বলেছি আমরা। কোভিড বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির পরামর্শ না পেলে আমরা প্রতিষ্ঠান খুলব না। কেননা, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা আমাদের কাছে প্রধান বিবেচ্য। আর কমিটি খোলার অনুমতি দিলেও আমরা সবাইকে একদিনে প্রতিষ্ঠানে আনব না।
তিনি বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা সপ্তাহে ৫-৬দিন করে আসবে। বাকিরা আসবে একদিন করে। এসে পুরো সপ্তাহের পড়া নিয়ে যাবে। পরের সপ্তাহে আবার একদিন আসবে। এটা এ কারণে যে, শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক। শ্রেণিকক্ষে তাদের গাদাগাদি করে বসতে হবে। তাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসানো সম্ভব হবে না। তাই সব শ্রেণির শিক্ষার্থীকে একসঙ্গে না এনে আলাদা আলাদা দিন ক্লাসে আনার ব্যবস্থা হবে। খুলে দেয়ার পরে ক্লাস কার্যক্রম মনিটরিং করা হবে। এজন্য স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে কমিটি থাকবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসলে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সাহসিকতার সঙ্গে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। আমরা স্বাস্থ্যবিষয়ক ঝুঁকি নিতে চাই না। এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই পদক্ষেপ নিচ্ছি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ বছর যারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দেবে তারা এক বছর সরাসরি ক্লাস করতে পারেনি। যদিও অনলাইন ও টিভিতে অনেকে ক্লাস করেছে। তবু প্রেক্ষাপট ও প্রয়োজন বিবেচনায় রেখে তাদের জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস করা হয়েছে। এই সিলেবাসের ওপর পাঠদান শেষে তাদের পরীক্ষা নেয়া যাবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত ৪ ফেব্রুয়ারির পর: শিক্ষামন্ত্রী
আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির পর যে কোনো দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সম্ভাবনা আছে। ক্লাশ শুরু হলে কেবল এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা সপ্তাহে ৫-৬দিন স্কুলে আসবে। অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে একদিন স্কুলে আসবে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি রোববার বিকালে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের (বিএনসিইউ) এক আলোচনা সভায় এই তথ্য প্রকাশ করেন।
এর আগে দুপুরে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের লক্ষ্যে তিনটি বিল পাস হওয়ার পর দেয়া বক্তৃতায়ও তিনি একই প্রসঙ্গে কথা বলেন।
বিকালে অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, পর্যায়ক্রমে কলেজে চালু অনার্স-মাস্টার্স প্রোগ্রাম বন্ধ করে দেয়া হবে। তবে শিক্ষকরা চাকরি হারাবেন না। তারা অন্য কোর্স পড়াবেন। দেশে বর্তমানে বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স কলেজ ৩৪৯টি, সরকারি প্রায় দেড়শ’। উভয় ধরনের কলেজে শিক্ষক আছেন প্রায় ৩০ হাজার।
কোভিড-১৯ প্রজন্মের জন্য শিক্ষা পুনরুদ্ধার ও পুনরুজ্জীবন’ শীর্ষক এই আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। মূল আলোচক ছিলেন ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অর্থনীতিবিদ ড. ফরাসউদ্দিন।
আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার মতো উপযোগী করতে বলেছি আমরা। কোভিড বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির পরামর্শ না পেলে আমরা প্রতিষ্ঠান খুলব না। কেননা, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা আমাদের কাছে প্রধান বিবেচ্য। আর কমিটি খোলার অনুমতি দিলেও আমরা সবাইকে একদিনে প্রতিষ্ঠানে আনব না।
তিনি বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা সপ্তাহে ৫-৬দিন করে আসবে। বাকিরা আসবে একদিন করে। এসে পুরো সপ্তাহের পড়া নিয়ে যাবে। পরের সপ্তাহে আবার একদিন আসবে। এটা এ কারণে যে, শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক। শ্রেণিকক্ষে তাদের গাদাগাদি করে বসতে হবে। তাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসানো সম্ভব হবে না। তাই সব শ্রেণির শিক্ষার্থীকে একসঙ্গে না এনে আলাদা আলাদা দিন ক্লাসে আনার ব্যবস্থা হবে। খুলে দেয়ার পরে ক্লাস কার্যক্রম মনিটরিং করা হবে। এজন্য স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে কমিটি থাকবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসলে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সাহসিকতার সঙ্গে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। আমরা স্বাস্থ্যবিষয়ক ঝুঁকি নিতে চাই না। এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই পদক্ষেপ নিচ্ছি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ বছর যারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দেবে তারা এক বছর সরাসরি ক্লাস করতে পারেনি। যদিও অনলাইন ও টিভিতে অনেকে ক্লাস করেছে। তবু প্রেক্ষাপট ও প্রয়োজন বিবেচনায় রেখে তাদের জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস করা হয়েছে। এই সিলেবাসের ওপর পাঠদান শেষে তাদের পরীক্ষা নেয়া যাবে।