নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন কুষ্টিয়ার সেই এসপি তানভীর
যুগান্তর প্রতিবেদন
২৪ জানুয়ারি ২০২১, ২২:৩০:৫৬ | অনলাইন সংস্করণ
নিজের আচরণে জন্য আদালতেনিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন কুষ্টিয়ার আলোচিতপুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে করা আবেদন দাখিল করা হয়।
আদালত সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহসিন হাসানের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ঘটনায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত।
সূত্র জানায়, ওই আবেদনে এস এম তানভীর আরাফাত উল্লেখ করেছেন , ‘তিনি ম্যাজিস্ট্রেটকে চিনতে পারেননি। তাই এমন অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়েছে। ভবিষ্যতে তিনি দায়িত্ব পালনে আরও সতর্ক হবেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের ভুল আর কখনও হবে না।’
এসপির তার আবেদনে আরও বলেন, ‘বিচার বিভাগের জন্য আমার মনে সর্বোচ্চ সম্মান রয়েছে। কোনও অবস্থাতেই বিন্দুমাত্র অসম্মান দেখানোর কথা দূরে থাক, বরং বিচার বিভাগের দেওয়া কাজে নিয়োজিত হতে পারলে নিজেকে সম্মানিত বোধ করি। এ ঘটনায় আমি মনের গভীর থেকে অনুতপ্ত। আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
প্রসঙ্গত,গত ১৬ জানুয়ারি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচন চলাকালে ভেড়ামারা পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট কেন্দ্রে পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত দায়িত্বরত জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. মহসিন হাসানের সঙ্গে ‘অসৌজন্যমূলক’ আচরণ করেন বলে অভিযোগ উঠে। ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন উপজেলার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শাহজাহান আলী।
পরেএসপি তানভীর আরাফাতের অসৌজন্যমূলকআচরণের প্রত্যক্ষদর্শী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. শাহজাহান আলী ও তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) এই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেছেন উচ্চ আদালত।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। এর আগে শুনানিতে যুক্ত হয়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা শাহজাহান আলী নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন কুষ্টিয়ার সেই এসপি তানভীর
নিজের আচরণে জন্য আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন কুষ্টিয়ার আলোচিত পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে করা আবেদন দাখিল করা হয়।
আদালত সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহসিন হাসানের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ঘটনায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত।
সূত্র জানায়, ওই আবেদনে এস এম তানভীর আরাফাত উল্লেখ করেছেন , ‘তিনি ম্যাজিস্ট্রেটকে চিনতে পারেননি। তাই এমন অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়েছে। ভবিষ্যতে তিনি দায়িত্ব পালনে আরও সতর্ক হবেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের ভুল আর কখনও হবে না।’
এসপির তার আবেদনে আরও বলেন, ‘বিচার বিভাগের জন্য আমার মনে সর্বোচ্চ সম্মান রয়েছে। কোনও অবস্থাতেই বিন্দুমাত্র অসম্মান দেখানোর কথা দূরে থাক, বরং বিচার বিভাগের দেওয়া কাজে নিয়োজিত হতে পারলে নিজেকে সম্মানিত বোধ করি। এ ঘটনায় আমি মনের গভীর থেকে অনুতপ্ত। আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচন চলাকালে ভেড়ামারা পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট কেন্দ্রে পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত দায়িত্বরত জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. মহসিন হাসানের সঙ্গে ‘অসৌজন্যমূলক’ আচরণ করেন বলে অভিযোগ উঠে। ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন উপজেলার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শাহজাহান আলী।
পরে এসপি তানভীর আরাফাতের অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রত্যক্ষদর্শী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. শাহজাহান আলী ও তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) এই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেছেন উচ্চ আদালত।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। এর আগে শুনানিতে যুক্ত হয়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা শাহজাহান আলী নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।