লকডাউনের আগে ব্যাংকে টাকা তোলার হিড়িক
করোনাভাইরাস মহামারী ঠেকাতে সরকার সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে। এ সময় ব্যাংকিং ব্যবস্থা সীমিত পরিসরে চালুর কথা বলা হয়েছে। এ ঘোষণার পর রাজধানীর ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। চলছে টাকা তোলার হিড়িক। এ অবস্থায় গ্রাহকদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যাংক কর্মীরা।
রোববার (৪ এপ্রিল) রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন ব্যাংকএলাকা ঘুরে এমন পরিস্থিতির চিত্র পাওয়া গেছে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লকডাউনের কারণে ব্যাংকে গ্রাহকের উপস্থিতির সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনও। যা অন্যদিনের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এদিন টাকা উত্তোলনের পরিমাণই বেশি ছিল।
আবির হোসেন নামে পূবালী ব্যাংকের এক গ্রাহক বলেন, ‘বাসার ভাড়াটেরা এখনও ভাড়া পরিশোধ করেনি, সংসারের খরচ, ওষুধ এবং নিত্যপণ্যের বাজার করা প্রয়োজন। কাল থেকে লকডাউনে যাচ্ছে দেশ, মাসের শুরু টাকার প্রয়োজন। সেজন্যই আসা।’
একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আফজাল হোসেন বলেন, ‘আজ অন্যান্য দিনের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে গ্রাহক টাকা উত্তোলন বেশি করেছেন। তবে মাস্ক ছাড়া কাউকে ব্যাংকের শাখায় প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।’
যুগান্তরের চাঁদপুর হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি জানান, লকডাউন ঘোষণার পর পরই যেনো ঈদের মতো কেনাকাটা নেমেছেন সাধারন মানুষ। হাজীগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন ব্যাংকে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। ইসলামী ব্যাংক হাজীগঞ্জ শাখা ও অগ্রণী ব্যাংক হাজীগঞ্জ শাখাসহ ব্যাংকগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন। ব্যাংক থেকে রাস্তা পর্য়ন্ত দীর্ঘ লাইনে গ্রাহকরা টাকা তুলতে অপেক্ষা করছিল।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
লকডাউনের আগে ব্যাংকে টাকা তোলার হিড়িক
করোনাভাইরাস মহামারী ঠেকাতে সরকার সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে। এ সময় ব্যাংকিং ব্যবস্থা সীমিত পরিসরে চালুর কথা বলা হয়েছে। এ ঘোষণার পর রাজধানীর ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। চলছে টাকা তোলার হিড়িক। এ অবস্থায় গ্রাহকদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যাংক কর্মীরা।
রোববার (৪ এপ্রিল) রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন ব্যাংক এলাকা ঘুরে এমন পরিস্থিতির চিত্র পাওয়া গেছে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লকডাউনের কারণে ব্যাংকে গ্রাহকের উপস্থিতির সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনও। যা অন্যদিনের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এদিন টাকা উত্তোলনের পরিমাণই বেশি ছিল।
আবির হোসেন নামে পূবালী ব্যাংকের এক গ্রাহক বলেন, ‘বাসার ভাড়াটেরা এখনও ভাড়া পরিশোধ করেনি, সংসারের খরচ, ওষুধ এবং নিত্যপণ্যের বাজার করা প্রয়োজন। কাল থেকে লকডাউনে যাচ্ছে দেশ, মাসের শুরু টাকার প্রয়োজন। সেজন্যই আসা।’
একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আফজাল হোসেন বলেন, ‘আজ অন্যান্য দিনের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে গ্রাহক টাকা উত্তোলন বেশি করেছেন। তবে মাস্ক ছাড়া কাউকে ব্যাংকের শাখায় প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।’
যুগান্তরের চাঁদপুর হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি জানান, লকডাউন ঘোষণার পর পরই যেনো ঈদের মতো কেনাকাটা নেমেছেন সাধারন মানুষ। হাজীগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন ব্যাংকে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। ইসলামী ব্যাংক হাজীগঞ্জ শাখা ও অগ্রণী ব্যাংক হাজীগঞ্জ শাখাসহ ব্যাংকগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন। ব্যাংক থেকে রাস্তা পর্য়ন্ত দীর্ঘ লাইনে গ্রাহকরা টাকা তুলতে অপেক্ষা করছিল।