রাজাকারের পুত্রদের দম্ভ চূর্ণ করতে হবে: আইজিপি
যুগান্তর প্রতিবেদন
২৮ জুলাই ২০২১, ২০:১৩:৩৮ | অনলাইন সংস্করণ

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, আমি খুব অবাক হয়ে যাই যখন দেখি স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও রাজাকারের সন্তানরা দম্ভ করে বলে, ‘আমি রাজাকারের সন্তান’। রাজাকারের সন্তানদের দম্ভ চূর্ণ করতে হবে।
বুধবার দুপুরে নোয়াখালী জেলা পুলিশ লাইনসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার মাত্র পঞ্চাশ বছরের মধ্যে এ রাজাকারের পুত্র-সন্তানরা কিভাবে এ দুঃসাহস পায় বাংলার মাটিতে? যারা দুই লাখ নারীর সম্ভ্রম হরণ করেছে, লক্ষ লক্ষ মানুষকে খুন করেছে; গণহত্যা চালিয়েছে তাদের পক্ষ নিয়ে দম্ভ করার!
‘এ গণহত্যার দোসররা মাত্র পঞ্চাশ বছরের মধ্যে আস্ফালন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোটি কোটি মানুষের সামনে বলে তারা রাজাকার পুত্র। এ দম্ভ চূর্ণ করতে হবে এ দেশের সাধারণ মানুষকে’, যোগ করেন পুলিশ প্রধান।
আইজিপি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমাদের পূর্বসূরীরা যে দেশটিকে আমাদের জন্য উপহার দিয়েছেন, তাদের যে অনবদ্য আত্মত্যাগ; সে আত্মত্যাগের মর্যাদা ধরে রাখার অন্যতম উপায় হচ্ছে পরবর্তী প্রজন্মের সামনে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা। এটি একটি ঐতিহাসিক দায়, একটি ঐতিহাসিক কর্তব্য; দেশ ও মানুষের জন্য।’
সে সময় মহান স্বাধীনতার জন্য স্ত্রী ও সন্তানসহ স্বপরিবারে নোয়াখালী জেলার তৎকালীন পুলিশ সুপার আবদুল হাকিমের মহান আত্মত্যাগের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন আইজিপি। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী নোয়াখালী জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা ও বীর পুলিশ সদস্যদের অবদানকেও সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন তিনি।
এ সময় ‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ নোয়াখালী জেলা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন এবং ভাস্কর্য ‘নির্ভীক’ ও নোয়াখালী জেলা পুলিশের তিনটি নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেন আইজিপি।
আইজিপি আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে জেলার পুলিশ সদস্যদের অনন্য অবদান নিয়ে প্রকাশিত বইটি ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে। এমন উদ্যোগের জন্য তিনি নোয়াখালী জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘নির্ভীক’ ভাস্কর্য মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে তরুণ প্রজন্মের কাছে নতুন করে তুলে ধরবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ নোয়াখালী জেলা’ একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণাধর্মী গ্রন্থ। নোয়াখালীতে মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ সদস্যদের আত্মত্যাগ ও বীরত্বগাথা তুলে ধরা হয়েছে এ গ্রন্থে। যা এতদিন অনেকটা চাপা পড়ে ছিল।
কুমিল্লার সহকারী পুলিশ সুপার স্পিনা রানী প্রামাণিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান, কমান্ড্যান্ট (ডিআইজি) পিটিসি নোয়াখালী এসএম রোকন উদ্দিন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) ইকবাল হোসেন ও জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খান।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
রাজাকারের পুত্রদের দম্ভ চূর্ণ করতে হবে: আইজিপি

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, আমি খুব অবাক হয়ে যাই যখন দেখি স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও রাজাকারের সন্তানরা দম্ভ করে বলে, ‘আমি রাজাকারের সন্তান’। রাজাকারের সন্তানদের দম্ভ চূর্ণ করতে হবে।
বুধবার দুপুরে নোয়াখালী জেলা পুলিশ লাইনসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার মাত্র পঞ্চাশ বছরের মধ্যে এ রাজাকারের পুত্র-সন্তানরা কিভাবে এ দুঃসাহস পায় বাংলার মাটিতে? যারা দুই লাখ নারীর সম্ভ্রম হরণ করেছে, লক্ষ লক্ষ মানুষকে খুন করেছে; গণহত্যা চালিয়েছে তাদের পক্ষ নিয়ে দম্ভ করার!
‘এ গণহত্যার দোসররা মাত্র পঞ্চাশ বছরের মধ্যে আস্ফালন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোটি কোটি মানুষের সামনে বলে তারা রাজাকার পুত্র। এ দম্ভ চূর্ণ করতে হবে এ দেশের সাধারণ মানুষকে’, যোগ করেন পুলিশ প্রধান।
আইজিপি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমাদের পূর্বসূরীরা যে দেশটিকে আমাদের জন্য উপহার দিয়েছেন, তাদের যে অনবদ্য আত্মত্যাগ; সে আত্মত্যাগের মর্যাদা ধরে রাখার অন্যতম উপায় হচ্ছে পরবর্তী প্রজন্মের সামনে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা। এটি একটি ঐতিহাসিক দায়, একটি ঐতিহাসিক কর্তব্য; দেশ ও মানুষের জন্য।’
সে সময় মহান স্বাধীনতার জন্য স্ত্রী ও সন্তানসহ স্বপরিবারে নোয়াখালী জেলার তৎকালীন পুলিশ সুপার আবদুল হাকিমের মহান আত্মত্যাগের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন আইজিপি। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী নোয়াখালী জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা ও বীর পুলিশ সদস্যদের অবদানকেও সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন তিনি।
এ সময় ‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ নোয়াখালী জেলা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন এবং ভাস্কর্য ‘নির্ভীক’ ও নোয়াখালী জেলা পুলিশের তিনটি নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেন আইজিপি।
আইজিপি আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে জেলার পুলিশ সদস্যদের অনন্য অবদান নিয়ে প্রকাশিত বইটি ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে। এমন উদ্যোগের জন্য তিনি নোয়াখালী জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘নির্ভীক’ ভাস্কর্য মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে তরুণ প্রজন্মের কাছে নতুন করে তুলে ধরবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ নোয়াখালী জেলা’ একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণাধর্মী গ্রন্থ। নোয়াখালীতে মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ সদস্যদের আত্মত্যাগ ও বীরত্বগাথা তুলে ধরা হয়েছে এ গ্রন্থে। যা এতদিন অনেকটা চাপা পড়ে ছিল।
কুমিল্লার সহকারী পুলিশ সুপার স্পিনা রানী প্রামাণিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান, কমান্ড্যান্ট (ডিআইজি) পিটিসি নোয়াখালী এসএম রোকন উদ্দিন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) ইকবাল হোসেন ও জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খান।