যারা গাড়ি ভাঙচুর করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় যারা গাড়ি ভাঙচুর করছে আগুন দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন এবং ধানমণ্ডিতে নির্মাণাধীন জয়িতা টাওয়ারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুব স্বাভাবিকভাবে সেই দায়িত্ব গাড়ি যারা ভাঙচুর করছে, তাদের ওপর বর্তায়। তা হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে সে ব্যাপারেও ব্যবস্থা নিতে হবে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি আহত বা নিহত হয়, সে দায়দায়িত্বটা যারা গাড়ি ভাঙচুর করছে তাদের। সে কারণে আমি বলব—আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না।
‘আমার এখানে একটি প্রশ্ন, এটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমগ্র জাতিকে প্রশ্ন করছি— এই যে আগুন দেওয়া শুরু হলো, ওই গাড়িতে কি যাত্রী নেই, শিশু নেই; ওখানে কি ছাত্রছাত্রী নেই, ওই আগুনে যারা পুড়বে, আহত হবে বা মারাও যেতেও পারে, তার দায়িত্বটা কে নেবে? সে দায়িত্বটা কে নেবে? একটা গাড়িতে অ্যাক্সিডেন্ট হলো, একটা মানুষ মারা গেল বলে আরও ১৫টা গাড়ি ভাঙা এবং সেখানে আগুন দেওয়া, সে ভাঙার ফলে ও আগুন দেওয়ার ফলে গাড়িতে যাত্রী-ড্রাইভার তারা যারা আহত হয়, অথবা কেউ নিহত হয় সে দায়িত্বটা কারা নেবে?’
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, রাস্তাঘাটে চলার সময় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, ট্রাফিক রুলস মেনে চলতে হবে। রাস্তায় যে কোনো জায়গা থেকে, যেখান-সেখান থেকে রাস্তা পার হতে গেলে অ্যাক্সিডেন্ট হবেই। একটা চলমান গাড়ি চট করে ব্রেক করতে পারে না। ব্রেক কষতে সময় লাগে। সেখানে প্রত্যেকটা জায়গায় রাস্তা পারাপারের জায়গা নির্দিষ্ট করা আছে। সেখান থেকে রাস্তা পার হওয়া সমীচীন।
শেখ হাসিনা বলেন, হঠাৎ করে দৌড় দেবে, তার পর অ্যাক্সিডেন্ট হবে, আর অ্যাক্সিডেন্ট হলেই রাস্তায় লোক নেমে গাড়ি ভাঙা, গাড়িতে আগুন দেওয়া, গাড়ি পোড়ানো— এটি কী ধরনের কথা। একটি অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে একটা মানুষ মারা গেছে, তাকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে, তার সেবা না করে লাঠিসোটা নিয়ে নেমে পড়ল বাকি গাড়ি ভাঙতে এবং আগুন দিতে।
চালকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের আমি বলব— তাদেরও সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালাতে হবে। অনেক জনসংখ্যা বেশি আমাদের। স্বাভাবিকভাবে সেখানে গাড়ি চালাতে গেলে সেখানে সঠিক প্রশিক্ষিত হতে হবে।
তিনি জানান, সরকার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের জন্য একবারে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত ট্রেনিং দিচ্ছে। সব কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
যারা গাড়ি ভাঙচুর করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
০১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩:১৯:৪৯ | অনলাইন সংস্করণ
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় যারা গাড়ি ভাঙচুর করছে আগুন দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন এবং ধানমণ্ডিতে নির্মাণাধীন জয়িতা টাওয়ারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুব স্বাভাবিকভাবে সেই দায়িত্ব গাড়ি যারা ভাঙচুর করছে, তাদের ওপর বর্তায়। তা হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে সে ব্যাপারেও ব্যবস্থা নিতে হবে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি আহত বা নিহত হয়, সে দায়দায়িত্বটা যারা গাড়ি ভাঙচুর করছে তাদের। সে কারণে আমি বলব—আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না।
‘আমার এখানে একটি প্রশ্ন, এটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমগ্র জাতিকে প্রশ্ন করছি— এই যে আগুন দেওয়া শুরু হলো, ওই গাড়িতে কি যাত্রী নেই, শিশু নেই; ওখানে কি ছাত্রছাত্রী নেই, ওই আগুনে যারা পুড়বে, আহত হবে বা মারাও যেতেও পারে, তার দায়িত্বটা কে নেবে? সে দায়িত্বটা কে নেবে? একটা গাড়িতে অ্যাক্সিডেন্ট হলো, একটা মানুষ মারা গেল বলে আরও ১৫টা গাড়ি ভাঙা এবং সেখানে আগুন দেওয়া, সে ভাঙার ফলে ও আগুন দেওয়ার ফলে গাড়িতে যাত্রী-ড্রাইভার তারা যারা আহত হয়, অথবা কেউ নিহত হয় সে দায়িত্বটা কারা নেবে?’
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, রাস্তাঘাটে চলার সময় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, ট্রাফিক রুলস মেনে চলতে হবে। রাস্তায় যে কোনো জায়গা থেকে, যেখান-সেখান থেকে রাস্তা পার হতে গেলে অ্যাক্সিডেন্ট হবেই। একটা চলমান গাড়ি চট করে ব্রেক করতে পারে না। ব্রেক কষতে সময় লাগে। সেখানে প্রত্যেকটা জায়গায় রাস্তা পারাপারের জায়গা নির্দিষ্ট করা আছে। সেখান থেকে রাস্তা পার হওয়া সমীচীন।
শেখ হাসিনা বলেন, হঠাৎ করে দৌড় দেবে, তার পর অ্যাক্সিডেন্ট হবে, আর অ্যাক্সিডেন্ট হলেই রাস্তায় লোক নেমে গাড়ি ভাঙা, গাড়িতে আগুন দেওয়া, গাড়ি পোড়ানো— এটি কী ধরনের কথা। একটি অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে একটা মানুষ মারা গেছে, তাকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে, তার সেবা না করে লাঠিসোটা নিয়ে নেমে পড়ল বাকি গাড়ি ভাঙতে এবং আগুন দিতে।
চালকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের আমি বলব— তাদেরও সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালাতে হবে। অনেক জনসংখ্যা বেশি আমাদের। স্বাভাবিকভাবে সেখানে গাড়ি চালাতে গেলে সেখানে সঠিক প্রশিক্ষিত হতে হবে।
তিনি জানান, সরকার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের জন্য একবারে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত ট্রেনিং দিচ্ছে। সব কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023