টিএইচ খানের শ্রদ্ধায় সুপ্রিম কোর্টের বিচার কার্যক্রম বন্ধ
যুগান্তর প্রতিবেদন
১৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৩:৩৮:৪০ | অনলাইন সংস্করণ
সুপ্রিমকোর্টের সবচেয়ে প্রবীণ আইনজীবী ও দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্ব বিচারপতি তাফাজ্জাল হোসেন (টিএইচ) খানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সোমবার সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগের বিচার কার্যক্রম বন্ধ থাকছে।
সুপ্রিমকোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
সাবেক মন্ত্রী ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী টিএইচ খান রোববার বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ১০২ বছর।
খ্যাতিম্যান এ আইনজীবীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। রোববার সন্ধ্যায় এক শোক বাণীতে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন তিনি।
প্রবীণ আইনজীবীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রোববার ভোরে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তার ছেলে আইনজীবী আফজাল এইচ খান জানান, রোববার বিকাল ৫টার দিকে আব্বা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই দিন ভোরে তাকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বার্ধক্যজনিত জটিলতাসহ নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন।
১৯২০ সালের ২১ অক্টোবর বিচারপতি টিএইচ খান ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলাধীন ঔটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে তিনি আইন পেশায় যোগ দেন। একই বছর ২৭ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি সালেহ আকরামের নেতৃত্বে পাঁচজন বিচারপতি নিয়ে যেদিন ঢাকা হাইকোর্টের যাত্রা শুরু, সেদিন থেকে বিচারপতি টিএইচ খান একজন আইনজীবী হিসেবে সেই আদালতে (বর্তমান সুপ্রিমকোর্ট) পদচারণা শুরু করেন।
তার সেই অভিযাত্রা অব্যাহত ছিল। বিচারপতি টিএইচ খান নামে তিনি সমধিক পরিচিত হলেও তার প্রকৃত নাম তাফাজ্জাল হোসেন খান। টিএইচ খান ১৯৬৮ সালে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তিনি হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
এরপর ১৯৭৩ সালের জুলাই থেকে আইন পেশায় ফিরে আসেন। ১৯৭৪ সালে তিনি প্রথমবারের মতো সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে তিনি সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালের ১৫ নভেম্বর আইন, শিক্ষা, ধর্ম, ভূমি ও রাজস্ব এবং ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
বিচারপতি টিএইচ খান ১৯৯২ সালে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ২০১১ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
টিএইচ খানের শ্রদ্ধায় সুপ্রিম কোর্টের বিচার কার্যক্রম বন্ধ
সুপ্রিমকোর্টের সবচেয়ে প্রবীণ আইনজীবী ও দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্ব বিচারপতি তাফাজ্জাল হোসেন (টিএইচ) খানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সোমবার সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগের বিচার কার্যক্রম বন্ধ থাকছে।
সুপ্রিমকোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
সাবেক মন্ত্রী ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী টিএইচ খান রোববার বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ১০২ বছর।
খ্যাতিম্যান এ আইনজীবীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। রোববার সন্ধ্যায় এক শোক বাণীতে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন তিনি।
প্রবীণ আইনজীবীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রোববার ভোরে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তার ছেলে আইনজীবী আফজাল এইচ খান জানান, রোববার বিকাল ৫টার দিকে আব্বা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই দিন ভোরে তাকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বার্ধক্যজনিত জটিলতাসহ নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন।
১৯২০ সালের ২১ অক্টোবর বিচারপতি টিএইচ খান ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলাধীন ঔটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে তিনি আইন পেশায় যোগ দেন। একই বছর ২৭ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি সালেহ আকরামের নেতৃত্বে পাঁচজন বিচারপতি নিয়ে যেদিন ঢাকা হাইকোর্টের যাত্রা শুরু, সেদিন থেকে বিচারপতি টিএইচ খান একজন আইনজীবী হিসেবে সেই আদালতে (বর্তমান সুপ্রিমকোর্ট) পদচারণা শুরু করেন।
তার সেই অভিযাত্রা অব্যাহত ছিল। বিচারপতি টিএইচ খান নামে তিনি সমধিক পরিচিত হলেও তার প্রকৃত নাম তাফাজ্জাল হোসেন খান। টিএইচ খান ১৯৬৮ সালে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তিনি হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
এরপর ১৯৭৩ সালের জুলাই থেকে আইন পেশায় ফিরে আসেন। ১৯৭৪ সালে তিনি প্রথমবারের মতো সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে তিনি সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালের ১৫ নভেম্বর আইন, শিক্ষা, ধর্ম, ভূমি ও রাজস্ব এবং ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
বিচারপতি টিএইচ খান ১৯৯২ সালে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ২০১১ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন।