ড. ইউনূসের ব্যাংক হিসাব তলব
নোবেলজয়ী ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়ে তার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে। ২০ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত চিঠি বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, গত দুই বছরে ইউনূসের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকের কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডারে ইউনূসের ব্যাংক হিসাব-সংক্রান্ত যে তথ্য রয়েছে, সেখান থেকেই দ্রুততার সঙ্গে তথ্য সরবরাহ করতে নির্দেশ দেওয়া হয় ওই চিঠিতে। এমনকি এ বিষয়ে ব্যাংকের শাখা পর্যায়ে কোনো যোগাযোগ না করার কথাও বলে দেওয়া হয় সংস্থাটির পক্ষ থেকে।
তথ্যপ্রাপ্তির সুবিধার্থে বিএফআইইউর চিঠিতে ড. ইউনূসের দুটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (নতুন ও পুরোনো) নম্বর উল্লেখ করে দেওয়া হয় সংস্থাটির পক্ষ থেকে। বলা হয়েছে, যেসব ব্যাংকে তার ব্যাংক হিসাব রয়েছে, সেসব ব্যাংক এ সংক্রান্ত তথ্যের সফট কপি পাঠাতে হবে। আর যেসব ব্যাংকে হিসাব নেই, সেসব ব্যাংক ‘আমরা কোনো হিসাব সংরক্ষণ করি না’ লিখে বিএফআইইউকে নিশ্চিত করতে হবে।
১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই ব্যাংকটিতে এমপির দায়িত্ব পালন করে আসছেন ড. ইউনূস। ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পান তিনি। তবে অবসরের বয়সসীমা পেরিয়ে যাওয়ার কারণে ২০১১ সালে সরকার তাকে এমডি পদ থেকে সরিয়ে দেয়। সরকারের ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে ইউনূস উচ্চ আদালতে গেলে হেরে যান।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ড. ইউনূসের ব্যাংক হিসাব তলব
নোবেলজয়ী ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়ে তার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে। ২০ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত চিঠি বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, গত দুই বছরে ইউনূসের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকের কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডারে ইউনূসের ব্যাংক হিসাব-সংক্রান্ত যে তথ্য রয়েছে, সেখান থেকেই দ্রুততার সঙ্গে তথ্য সরবরাহ করতে নির্দেশ দেওয়া হয় ওই চিঠিতে। এমনকি এ বিষয়ে ব্যাংকের শাখা পর্যায়ে কোনো যোগাযোগ না করার কথাও বলে দেওয়া হয় সংস্থাটির পক্ষ থেকে।
তথ্যপ্রাপ্তির সুবিধার্থে বিএফআইইউর চিঠিতে ড. ইউনূসের দুটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (নতুন ও পুরোনো) নম্বর উল্লেখ করে দেওয়া হয় সংস্থাটির পক্ষ থেকে। বলা হয়েছে, যেসব ব্যাংকে তার ব্যাংক হিসাব রয়েছে, সেসব ব্যাংক এ সংক্রান্ত তথ্যের সফট কপি পাঠাতে হবে। আর যেসব ব্যাংকে হিসাব নেই, সেসব ব্যাংক ‘আমরা কোনো হিসাব সংরক্ষণ করি না’ লিখে বিএফআইইউকে নিশ্চিত করতে হবে।
১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই ব্যাংকটিতে এমপির দায়িত্ব পালন করে আসছেন ড. ইউনূস। ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পান তিনি। তবে অবসরের বয়সসীমা পেরিয়ে যাওয়ার কারণে ২০১১ সালে সরকার তাকে এমডি পদ থেকে সরিয়ে দেয়। সরকারের ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে ইউনূস উচ্চ আদালতে গেলে হেরে যান।