পর্নোগ্রাফি মামলায় ৫ কিশোরের কারাদণ্ড
যুগান্তর প্রতিবেদন, বরগুনা
২৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:২৯:৫১ | অনলাইন সংস্করণ
বরগুনায় পর্নোগ্রাফি মামলায় পাঁচ কিশোরকে দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- জেলার তালতলী উপজেলার বেহালা গ্রামের হারুন মিস্ত্রীর ছেলে মহিউদ্দিন (১৫) ফিরোজ মিস্ত্রীর ছেলে রিয়াজ (১৬), বাবুলের ছেলে বিপ্লব (১৬), কেশবের ছেলে অভিজাত কানাই (১৬) ও মোখলেছ খানের ছেলে বেল্লাল (১৬)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, তালতলী উপজেলার একটি স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে আসামিরা পথেঘাটে উত্ত্যক্ত করত। মেয়েটি প্রতিবাদ করলে আসামি বিপ্লব কৌশলে ওই ছাত্রীর ছবি তুলে নেয়।
পরে মেয়েটির ছবির সঙ্গে অপর একটি নগ্ন ছবি যুক্ত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে। বাদী ছবিটি দেখতে পেয়ে ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি থানায় মামলা করে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান মামলার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কিশোর হলেও এখন তারা বয়স্ক। কিশোররা জঘন্য অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। আদালত সঠিক রায় দিয়েছেন। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পর্নোগ্রাফি মামলায় ৫ কিশোরের কারাদণ্ড
বরগুনায় পর্নোগ্রাফি মামলায় পাঁচ কিশোরকে দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- জেলার তালতলী উপজেলার বেহালা গ্রামের হারুন মিস্ত্রীর ছেলে মহিউদ্দিন (১৫) ফিরোজ মিস্ত্রীর ছেলে রিয়াজ (১৬), বাবুলের ছেলে বিপ্লব (১৬), কেশবের ছেলে অভিজাত কানাই (১৬) ও মোখলেছ খানের ছেলে বেল্লাল (১৬)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, তালতলী উপজেলার একটি স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে আসামিরা পথেঘাটে উত্ত্যক্ত করত। মেয়েটি প্রতিবাদ করলে আসামি বিপ্লব কৌশলে ওই ছাত্রীর ছবি তুলে নেয়।
পরে মেয়েটির ছবির সঙ্গে অপর একটি নগ্ন ছবি যুক্ত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে। বাদী ছবিটি দেখতে পেয়ে ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি থানায় মামলা করে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান মামলার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কিশোর হলেও এখন তারা বয়স্ক। কিশোররা জঘন্য অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। আদালত সঠিক রায় দিয়েছেন। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।