ফরিদপুরের সেই দুই ভাইয়ের জামিন হাইকোর্টে নাকচ
ফরিদপুর ব্যুরো
২৬ জানুয়ারি ২০২২, ২০:১২:১৮ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থপাচার মামলায় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলকে জামিন দেননি হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনউদ্দিন মানিক। আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামরুল আলম। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
অর্থপাচারের এই মামলায় নিম্ন আদালতে ২০২১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জামিন পাননি দুই ভাই। পরে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে তারা আবেদন করেন। মঙ্গলবার সেটি শুনানির জন্য ওঠে।
আসামি সাজ্জাদ ও ইমতিয়াজ বর্তমানে ফরিদপুর জেলা কারাগারে রয়েছেন।
দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে সিআইডির পরিদর্শক এসএম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে ২০২১ সালের ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় অর্থপাচারের অভিযোগ এনে এ মামলা করেন।
মামলায় দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে অর্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন সংশোধনী ২০১৫-এর ৪ (২) ধারায় এ মামলা করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত ফরিদপুরের এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন দুই ভাই সাজ্জাদ ও ইমতিয়াজ। ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন তারা। তাদের ২৩টি বাস, ড্রাম ট্রাক, বোল্ডার, পাজেরো গাড়ি রয়েছে। টাকার উল্লেখযোগ্য অংশ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেন তারা।
এজাহারে আরও বলা হয়, প্রথম জীবনে এই দুই ভাই ফরিদপুরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে এক বিএনপি নেতার ফাইফরমাশ খাটতেন। তখন তাদের সম্পদ বলতে তেমন কিছুই ছিল না।
২০২১ সালের ১৮ জুন এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়ে তদন্ত শুরু করেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, দুই ভাই অন্তত দুই হাজার কোটি টাকার বেশি সম্পদ অবৈধ উপায়ে অর্জন করেছেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ফরিদপুরের সেই দুই ভাইয়ের জামিন হাইকোর্টে নাকচ
অর্থপাচার মামলায় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলকে জামিন দেননি হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনউদ্দিন মানিক। আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামরুল আলম। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
অর্থপাচারের এই মামলায় নিম্ন আদালতে ২০২১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জামিন পাননি দুই ভাই। পরে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে তারা আবেদন করেন। মঙ্গলবার সেটি শুনানির জন্য ওঠে।
আসামি সাজ্জাদ ও ইমতিয়াজ বর্তমানে ফরিদপুর জেলা কারাগারে রয়েছেন।
দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে সিআইডির পরিদর্শক এসএম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে ২০২১ সালের ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় অর্থপাচারের অভিযোগ এনে এ মামলা করেন।
মামলায় দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে অর্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন সংশোধনী ২০১৫-এর ৪ (২) ধারায় এ মামলা করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত ফরিদপুরের এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন দুই ভাই সাজ্জাদ ও ইমতিয়াজ। ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন তারা। তাদের ২৩টি বাস, ড্রাম ট্রাক, বোল্ডার, পাজেরো গাড়ি রয়েছে। টাকার উল্লেখযোগ্য অংশ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেন তারা।
এজাহারে আরও বলা হয়, প্রথম জীবনে এই দুই ভাই ফরিদপুরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে এক বিএনপি নেতার ফাইফরমাশ খাটতেন। তখন তাদের সম্পদ বলতে তেমন কিছুই ছিল না।
২০২১ সালের ১৮ জুন এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়ে তদন্ত শুরু করেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, দুই ভাই অন্তত দুই হাজার কোটি টাকার বেশি সম্পদ অবৈধ উপায়ে অর্জন করেছেন।