পি কে হালদারকে দ্রুত ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুগান্তর ডেস্ক
১৬ মে ২০২২, ২০:৪৭:৩৯ | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশের আর্থিক খাতের শীর্ষ জালিয়াত প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারকে এখনই ফিরে পাওয়ার আশা করছেন না পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
ভারতে বিচার শেষে বাংলাদেশের এই আসামিকে ফেরত পাওয়া যেতে পারে বলে সোমবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি।
ভারতের সঙ্গে আসামি প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় পি কে হালদারকে পাওয়ার যে আশা করা হচ্ছে, সে বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সেট প্রসেডিওর আছে, এসব ক্ষেত্রে আমাদের একটি নীতি আছে। সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করব। প্রথমে ভারত সরকার আমাদের জানাবে, এই লোক গ্রেফতার হয়েছে। হয়ত তাদের শাস্তি-টাস্তি দেবে। হয়ত আমাদের বলবে শাস্তির মেয়াদ বাংলাদেশে এসে কমপ্লিট করবে। এটা আমরা অন্যান্য দেশেরটাতে করি, তারাও আমাদের সাথে করবে।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বিবেচনায় তুলনামূলক আগেই পি কে হালদারকে ফেরত পাওয়ার প্রত্যাশা রেখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমার ধারণা, আমাদের সাথে ভারতের যে সোনালী অধ্যায়, তাতে অবশ্যই আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যা করতে চাই, তারা আমাদের কথা শুনবেন। সে অনুযায়ী কাজ হবে। হয়ত তার কিছু বিচার হবে। তারপরে হয়ত আমাদের দেবে।
পি কে হালদার আটকের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রীও কিছু জানে না বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে পুলিশের পক্ষ থেকে ভারতে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন কোনো উদ্যোগ নেবে কি না- প্রশ্নে মোমেন বলেন, আপনারা বললেন পরশুদিন সন্ধ্যা বেলায়, এই খবর। আমাদের অফিস-টফিস বন্ধ ছিল। যেটা করা প্রয়োজন, আমরা করব। বলেছি তো, যা যা করার আমরা সেটা করব।
এদিকে ভারতে গ্রেফতার প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে নয়াদিল্লি ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোতে (এনসিবি) চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশের এনসিবি। রোববার এই চিঠি দেওয়া হয়।
সোমবার যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (এনসিবি) মহিউল ইসলাম। তিনি বলেন, পিকে হালদারের বিরুদ্ধে গত বছরের ৮ জানুয়ারী ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করা হয়ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিনেও ইন্টারপোল থেকে কোনো কিছু জানানো হয়নি। সম্প্রতি পিকে হালদার ভারতে গ্রেফতার হওয়ায় তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে নয়াদিল্লির এনসিবিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পিকে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে পুলিশের তেমন কিছু করার নেই। আমরা কেবল এনসিবিকে চিঠি লিখতে পারি। আমরা আমাদের কাজ করেছি। এখন যা কিছু করার তা কূটনৈতিক মাধ্যমেই করতে হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পি কে হালদারকে দ্রুত ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের আর্থিক খাতের শীর্ষ জালিয়াত প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারকে এখনই ফিরে পাওয়ার আশা করছেন না পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
ভারতে বিচার শেষে বাংলাদেশের এই আসামিকে ফেরত পাওয়া যেতে পারে বলে সোমবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি।
ভারতের সঙ্গে আসামি প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় পি কে হালদারকে পাওয়ার যে আশা করা হচ্ছে, সে বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সেট প্রসেডিওর আছে, এসব ক্ষেত্রে আমাদের একটি নীতি আছে। সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করব। প্রথমে ভারত সরকার আমাদের জানাবে, এই লোক গ্রেফতার হয়েছে। হয়ত তাদের শাস্তি-টাস্তি দেবে। হয়ত আমাদের বলবে শাস্তির মেয়াদ বাংলাদেশে এসে কমপ্লিট করবে। এটা আমরা অন্যান্য দেশেরটাতে করি, তারাও আমাদের সাথে করবে।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বিবেচনায় তুলনামূলক আগেই পি কে হালদারকে ফেরত পাওয়ার প্রত্যাশা রেখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমার ধারণা, আমাদের সাথে ভারতের যে সোনালী অধ্যায়, তাতে অবশ্যই আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যা করতে চাই, তারা আমাদের কথা শুনবেন। সে অনুযায়ী কাজ হবে। হয়ত তার কিছু বিচার হবে। তারপরে হয়ত আমাদের দেবে।
পি কে হালদার আটকের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রীও কিছু জানে না বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে পুলিশের পক্ষ থেকে ভারতে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন কোনো উদ্যোগ নেবে কি না- প্রশ্নে মোমেন বলেন, আপনারা বললেন পরশুদিন সন্ধ্যা বেলায়, এই খবর। আমাদের অফিস-টফিস বন্ধ ছিল। যেটা করা প্রয়োজন, আমরা করব। বলেছি তো, যা যা করার আমরা সেটা করব।
এদিকে ভারতে গ্রেফতার প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে নয়াদিল্লি ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোতে (এনসিবি) চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশের এনসিবি। রোববার এই চিঠি দেওয়া হয়।
সোমবার যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (এনসিবি) মহিউল ইসলাম। তিনি বলেন, পিকে হালদারের বিরুদ্ধে গত বছরের ৮ জানুয়ারী ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করা হয়ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিনেও ইন্টারপোল থেকে কোনো কিছু জানানো হয়নি। সম্প্রতি পিকে হালদার ভারতে গ্রেফতার হওয়ায় তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে নয়াদিল্লির এনসিবিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পিকে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে পুলিশের তেমন কিছু করার নেই। আমরা কেবল এনসিবিকে চিঠি লিখতে পারি। আমরা আমাদের কাজ করেছি। এখন যা কিছু করার তা কূটনৈতিক মাধ্যমেই করতে হবে।