শতাধিক বিদেশি পণ্য আমদানিতে খরচ বাড়ল
চিনি, পেঁয়াজ, ফুল, বিদেশি ফল, গাড়িসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ও বিলাসী ১৩৫টি পণ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণমুলক শুল্ক আরোপ করেছে সরকার।
সোমবার থেকেই নতুন শুল্ক হার কার্যকর হবে জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। মোট ২৪টি এইচএস কোডের আওতায় এসব বিদেশি পণ্য আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এর ফলে এসব পণ্য আমদানি আরও ব্যয়বহুল হবে এবং ক্রেতাদের এসব পণ্য ক্রয়ে আরো বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ আমদানিকারকদের এসব পণ্য আমদানি করতে বিদ্যমান কাস্টমস ট্যারিফ, মূসক, কর ছাড়াও অতিরিক্ত এই নিয়ন্ত্রণ শুল্ক দিতে হবে।
নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ বা বৃদ্ধি করা পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে— তাজা ও শুকনো যেকোনো ধরনের আমদানি করা ফুল, অলংকার তৈরিতে আমদানি করা ফুল, বিভিন্ন ধরনের আর্টিফিশিয়াল ফুল এবং গাছের চারা কিংবা গাছের শাখা-প্রশাখা।
ফলের মধ্যে রয়েছে— তাজা বা প্রক্রিয়াজাত আম, কলা, আঙ্গুর, ডুমুর, আনারস, অ্যাভোকাডো, পেয়ারা, ম্যাঙ্গোস্টিন বা গাব জাতীয় ফল, লেবু, তরমুজ, বরই, এপ্রিকট, চেরি জাতীয় ফল, হিমায়িত কিংবা প্রক্রিয়াজাত করা ফল বা ফলের বীজ ও মিক্সড ফলের খাবার।
ফার্নিচারের জন্য আমদানি করা বাঁশ, পার্টস, বেতের ফার্নিচার এবং ফার্নিচারের জন্য আমদানি করা বিভিন্ন উপাদান। এছাড়া অফিস, রান্নাঘর, বেডরুমে ব্যবহৃত কাঠের ফার্নিচার, প্লাস্টিকের ফার্নিচার ও বিভিন্ন মেটাল ফার্নিচার।
কসমেটিকসের মধ্যে পারফিউম, বিউটি ও মেকআপ প্রিপারেশন, দাঁতের ফ্লস, দাঁতের পাউডার, প্রিশেভ ও আফটার শেভ কসমেটিকস, চুলের জন্য প্রসাধনী ইত্যাদি।
বর্তমানে বিদেশি ফলের ওপর ৫৮ থেকে ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি শুল্ক দিতে হয়। সেখান নিয়ন্ত্রণ শুল্ক দিতে হয় তিন শতাংশ পর্যন্ত।
নতুন নিয়মে এই শুল্ক তিন শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ দিতে হবে। প্রসাধনী, গাড়ির সরঞ্জাম, সুগন্ধির ওপর এখনো ১০৪ থেকে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক দিতে হয়। নিয়ন্ত্রণ শুল্কে এসব পণ্যের দাম আরও বাড়বে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
শতাধিক বিদেশি পণ্য আমদানিতে খরচ বাড়ল
চিনি, পেঁয়াজ, ফুল, বিদেশি ফল, গাড়িসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ও বিলাসী ১৩৫টি পণ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণমুলক শুল্ক আরোপ করেছে সরকার।
সোমবার থেকেই নতুন শুল্ক হার কার্যকর হবে জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। মোট ২৪টি এইচএস কোডের আওতায় এসব বিদেশি পণ্য আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এর ফলে এসব পণ্য আমদানি আরও ব্যয়বহুল হবে এবং ক্রেতাদের এসব পণ্য ক্রয়ে আরো বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ আমদানিকারকদের এসব পণ্য আমদানি করতে বিদ্যমান কাস্টমস ট্যারিফ, মূসক, কর ছাড়াও অতিরিক্ত এই নিয়ন্ত্রণ শুল্ক দিতে হবে।
নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ বা বৃদ্ধি করা পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে— তাজা ও শুকনো যেকোনো ধরনের আমদানি করা ফুল, অলংকার তৈরিতে আমদানি করা ফুল, বিভিন্ন ধরনের আর্টিফিশিয়াল ফুল এবং গাছের চারা কিংবা গাছের শাখা-প্রশাখা।
ফলের মধ্যে রয়েছে— তাজা বা প্রক্রিয়াজাত আম, কলা, আঙ্গুর, ডুমুর, আনারস, অ্যাভোকাডো, পেয়ারা, ম্যাঙ্গোস্টিন বা গাব জাতীয় ফল, লেবু, তরমুজ, বরই, এপ্রিকট, চেরি জাতীয় ফল, হিমায়িত কিংবা প্রক্রিয়াজাত করা ফল বা ফলের বীজ ও মিক্সড ফলের খাবার।
ফার্নিচারের জন্য আমদানি করা বাঁশ, পার্টস, বেতের ফার্নিচার এবং ফার্নিচারের জন্য আমদানি করা বিভিন্ন উপাদান। এছাড়া অফিস, রান্নাঘর, বেডরুমে ব্যবহৃত কাঠের ফার্নিচার, প্লাস্টিকের ফার্নিচার ও বিভিন্ন মেটাল ফার্নিচার।
কসমেটিকসের মধ্যে পারফিউম, বিউটি ও মেকআপ প্রিপারেশন, দাঁতের ফ্লস, দাঁতের পাউডার, প্রিশেভ ও আফটার শেভ কসমেটিকস, চুলের জন্য প্রসাধনী ইত্যাদি।
বর্তমানে বিদেশি ফলের ওপর ৫৮ থেকে ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি শুল্ক দিতে হয়। সেখান নিয়ন্ত্রণ শুল্ক দিতে হয় তিন শতাংশ পর্যন্ত।
নতুন নিয়মে এই শুল্ক তিন শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ দিতে হবে। প্রসাধনী, গাড়ির সরঞ্জাম, সুগন্ধির ওপর এখনো ১০৪ থেকে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক দিতে হয়। নিয়ন্ত্রণ শুল্কে এসব পণ্যের দাম আরও বাড়বে।