৩৯৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার মাদক ধ্বংস, দেখলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কক্সবাজার প্রতিনিধি
২৭ মে ২০২২, ১৫:৪৬:০৫ | অনলাইন সংস্করণ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মাদক এক ভয়ঙ্কর নেশা। তাই মাদকরোধে কঠোর থেকে কঠোরতর হতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দুই ধরণের ব্যবসায়ী মাদকের সঙ্গে জড়িত। দেশীয় ব্যবসায়ী ও মদদদাতা না থাকলে অনেক আগেই আমরা মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে পারতাম। কারবারীদের চিহ্নিত করে ধরিয়ে দিন। মাদকবিরোধী চ্যালেঞ্জে আমাদের জিততে হবে।
শুক্রবার দুপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর কক্সবাজার রিজিয়নের মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠান শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এই অনুষ্ঠানে ৩৯৫ কোটি ৭৬ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৭৫ টাকা মূল্যমানের মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত হচ্ছে চ্যালেঞ্জিং। মিয়ানমার সীমান্ত রয়েছে ২৭৪ কিলোমিটার। তাই সীমান্তে কাজ করা অনেক দূরহ ব্যাপার। এ কারণে বিজিবিকে হেলিকপ্টার থেকে শুরু অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দেওয়া হচ্ছে। সীমান্ত সড়কের কাজও এগিয়ে চলছে।
তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর 'জিরো টলারেন্স' নীতি রয়েছে। সে জন্য বিজিবিকে আরো শক্তিশালী করা হচ্ছে। কোস্টগার্ডের দক্ষতা, সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বলা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শুধু বিজিবি কিংবা কোস্টগার্ড নয়, আপনাদেরও দায়িত্ব আছে। তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন। তাহলে মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে বলেছেন আমরা সেভাবেই চলছি। সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, সর্বস্তরের মানুষ সহযোগিতা করলে আমরা এই চ্যালেঞ্জে শতভাগ সফল হবো বলে আশা করছি।
কক্সবাজারের বিজিবির প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেছেন, তারা দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছে বলে আজকে বিশাল অংকের মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা সম্ভব হচ্ছে। যেভাবে মাদকদ্রব্য আসছে তার কিছুটা হলেও আমরা প্রতিরোধ করতে পারছি বলে এই সফলতা।
এর আগে বিজিবির মাঠে ৩৯৫ কোটি ৭৬ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৭৫ টাকা মূল্যমানের মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়। গত এক বছরে বিভিন্ন অভিযানে এসব মাদক জব্দ করে বিজিবি।
উল্লেখ্য, মাদকের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে এরূপ মাদক ধ্বংস করা হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
৩৯৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার মাদক ধ্বংস, দেখলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মাদক এক ভয়ঙ্কর নেশা। তাই মাদকরোধে কঠোর থেকে কঠোরতর হতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দুই ধরণের ব্যবসায়ী মাদকের সঙ্গে জড়িত। দেশীয় ব্যবসায়ী ও মদদদাতা না থাকলে অনেক আগেই আমরা মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে পারতাম। কারবারীদের চিহ্নিত করে ধরিয়ে দিন। মাদকবিরোধী চ্যালেঞ্জে আমাদের জিততে হবে।
শুক্রবার দুপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর কক্সবাজার রিজিয়নের মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠান শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এই অনুষ্ঠানে ৩৯৫ কোটি ৭৬ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৭৫ টাকা মূল্যমানের মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত হচ্ছে চ্যালেঞ্জিং। মিয়ানমার সীমান্ত রয়েছে ২৭৪ কিলোমিটার। তাই সীমান্তে কাজ করা অনেক দূরহ ব্যাপার। এ কারণে বিজিবিকে হেলিকপ্টার থেকে শুরু অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দেওয়া হচ্ছে। সীমান্ত সড়কের কাজও এগিয়ে চলছে।
তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর 'জিরো টলারেন্স' নীতি রয়েছে। সে জন্য বিজিবিকে আরো শক্তিশালী করা হচ্ছে। কোস্টগার্ডের দক্ষতা, সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বলা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শুধু বিজিবি কিংবা কোস্টগার্ড নয়, আপনাদেরও দায়িত্ব আছে। তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন। তাহলে মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে বলেছেন আমরা সেভাবেই চলছি। সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, সর্বস্তরের মানুষ সহযোগিতা করলে আমরা এই চ্যালেঞ্জে শতভাগ সফল হবো বলে আশা করছি।
কক্সবাজারের বিজিবির প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেছেন, তারা দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছে বলে আজকে বিশাল অংকের মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা সম্ভব হচ্ছে। যেভাবে মাদকদ্রব্য আসছে তার কিছুটা হলেও আমরা প্রতিরোধ করতে পারছি বলে এই সফলতা।
এর আগে বিজিবির মাঠে ৩৯৫ কোটি ৭৬ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৭৫ টাকা মূল্যমানের মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়। গত এক বছরে বিভিন্ন অভিযানে এসব মাদক জব্দ করে বিজিবি।
উল্লেখ্য, মাদকের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে এরূপ মাদক ধ্বংস করা হয়।