অনেক সাংবাদিক সঠিকভাবে না জেনে লেখা প্রকাশ করেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
২৯ নভেম্বর ২০২২, ২২:৪৪:১৮ | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশে অনেক সাংবাদিকের মধ্যে ‘পরিপক্বতার অভাব’ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক জগলুল আহমেদ চৌধুরীর অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের অনেক সাংবাদিকের মধ্যে পরিপক্বতার অভাব আছে। তথ্য সম্পূর্ণ না জেনে লিখে দেয়। জগলুল সবসময় সঠিক তথ্যটা তুলে ধরত। ইদানীং আমাদের যারা নতুন সাংবাদিক, তাদের জন্য জগলুলকে অধ্যয়ন করা দরকার।
আব্দুল মোমেন বলেন, জগলুল আহমেদ চৌধুরী একজন জ্ঞানী এবং বিচক্ষণ সাংবাদিক ছিলেন। বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় একটা নতুন ধারা সৃষ্টি করে গেছেন। তিনি যথাযথ তথ্য সংগ্রহ করে রিপোর্ট তৈরি করতেন। এ উপমহাদেশ সম্পর্কে গভীর আগ্রহ থাকায় তিনি বাংলাদেশ এবং ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছিলেন।
সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধূরী স্মৃতি ট্রাস্ট এ সভার আয়োজন করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জগলুল আহমেদ চৌধুরী কখনো কাউকে অসম্মান করতেন না। আমি কাছ থেকে তার লেখালেখি দেখেছি। তার লেখার বিশেষত্ব হচ্ছে, সঠিক তথ্যটা তুলে ধরা। আজকের সময়ের সাংবাদিকদের উচিত জগলুলকে অধ্যয়ন করা। কারণ অনেকেই সঠিকভাবে না জেনে লেখা প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, জগলুলের মৃত্যুটা মর্মান্তিক। দুটো বিষয় এখান থেকে শিক্ষণীয়। প্রথমটা হলো- চলন্ত বাস থেকে না নামা। এটি আইন করে বন্ধ করা উচিত। আর দ্বিতীয়ত, বর্তমান সাংবাদিকরা যেন জগলুলের মতো সঠিক সাংবাদিকতা করেন, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করা।
সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ার সময় থেকে জগলুল আহমেদ চৌধুরীর সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব। আমি যখন ছাত্রলীগ করতাম, জগলুল তখন ছাত্র ইউনিয়ন করতেন। তারপরও আমৃত্যু আমাদের বন্ধুত্ব ছিল। দেশের প্রতি তার ভালোবাসা ছিল।
ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- বার্তা সংস্থা ইউএনবির সম্পাদক ফরিদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবিব, জগলুল আহমেদ চৌধুরীর সহকর্মী সাংবাদিক মনোজ কান্তি রায় ও আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়া, পরিবারের সদস্য সাব্বির আহম্মেদ চৌধুরী, ছেলে নাবিদ আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
অনেক সাংবাদিক সঠিকভাবে না জেনে লেখা প্রকাশ করেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশে অনেক সাংবাদিকের মধ্যে ‘পরিপক্বতার অভাব’ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক জগলুল আহমেদ চৌধুরীর অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের অনেক সাংবাদিকের মধ্যে পরিপক্বতার অভাব আছে। তথ্য সম্পূর্ণ না জেনে লিখে দেয়। জগলুল সবসময় সঠিক তথ্যটা তুলে ধরত। ইদানীং আমাদের যারা নতুন সাংবাদিক, তাদের জন্য জগলুলকে অধ্যয়ন করা দরকার।
আব্দুল মোমেন বলেন, জগলুল আহমেদ চৌধুরী একজন জ্ঞানী এবং বিচক্ষণ সাংবাদিক ছিলেন। বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় একটা নতুন ধারা সৃষ্টি করে গেছেন। তিনি যথাযথ তথ্য সংগ্রহ করে রিপোর্ট তৈরি করতেন। এ উপমহাদেশ সম্পর্কে গভীর আগ্রহ থাকায় তিনি বাংলাদেশ এবং ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছিলেন।
সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধূরী স্মৃতি ট্রাস্ট এ সভার আয়োজন করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জগলুল আহমেদ চৌধুরী কখনো কাউকে অসম্মান করতেন না। আমি কাছ থেকে তার লেখালেখি দেখেছি। তার লেখার বিশেষত্ব হচ্ছে, সঠিক তথ্যটা তুলে ধরা। আজকের সময়ের সাংবাদিকদের উচিত জগলুলকে অধ্যয়ন করা। কারণ অনেকেই সঠিকভাবে না জেনে লেখা প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, জগলুলের মৃত্যুটা মর্মান্তিক। দুটো বিষয় এখান থেকে শিক্ষণীয়। প্রথমটা হলো- চলন্ত বাস থেকে না নামা। এটি আইন করে বন্ধ করা উচিত। আর দ্বিতীয়ত, বর্তমান সাংবাদিকরা যেন জগলুলের মতো সঠিক সাংবাদিকতা করেন, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করা।
সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ার সময় থেকে জগলুল আহমেদ চৌধুরীর সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব। আমি যখন ছাত্রলীগ করতাম, জগলুল তখন ছাত্র ইউনিয়ন করতেন। তারপরও আমৃত্যু আমাদের বন্ধুত্ব ছিল। দেশের প্রতি তার ভালোবাসা ছিল।
ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- বার্তা সংস্থা ইউএনবির সম্পাদক ফরিদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবিব, জগলুল আহমেদ চৌধুরীর সহকর্মী সাংবাদিক মনোজ কান্তি রায় ও আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়া, পরিবারের সদস্য সাব্বির আহম্মেদ চৌধুরী, ছেলে নাবিদ আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।