যুক্তরাষ্ট্রে গেল রোহিঙ্গা শরণার্থীর প্রথম দল
অনলাইন ডেস্ক
০৯ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:৩৬:৪৫ | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশ থেকে ২৪ জনের রোহিঙ্গা শরণার্থীর প্রথম দলটি বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
মাইনুল কবির নামে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
রোহিঙ্গাদের এ দলটি সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসনের জন্য চিহ্নিত প্রথম ব্যাচের ৬২ জনের মধ্য থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৩০০-৮০০ রোহিঙ্গা শরণার্থী যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসনের সুযোগ পেতে পারে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জাপানকে তাদের দেশে এক লাখ করে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের আনুরোধ জানান।
বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশ ১২ লাখের মতো রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে যে উদারতার নজির গড়েছে, বিশ্বে তা বিরল।
ইউএস ব্যুরো অফ পপুলেশন, রিফিউজিস অ্যান্ড মাইগ্রেশনের মার্কিন সহকারী সেক্রেটারি জুলিয়েট ভালস নয়েস বাংলাদেশে পাঁচ দিনের সফর শেষ করার একদিন পর এ পুনর্বাসন শুরু হলো।
তার সফরের সময় নয়েস বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র আরও রোহিঙ্গা পুনর্বাসন করবে তবে তিনি কোনো পরিসংখ্যান উল্লেখ করেননি।
তিনি বলেন, মিয়ানমার সরকারের গণহত্যার কারণে রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘায়িত হয়েছে, নিরাপদ ও টেকসই উপায়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব না হওয়া পর্যন্ত সমাধানের উপায় খোঁজার সময় এসেছে।
নয়েস বলেন, রোহিঙ্গারা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে সমাধান চায় তা হলো তাদের দেশে ফিরে যেতে পারা।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের সঙ্গে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ লোকদের চিহ্নিত করতে এবং তাদের জন্য তৃতীয় দেশের পুনর্বাসনের জন্য কাজ করছে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে কানাডা রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর পরিবারের প্রায় ৩৫ জন সদস্যকে পুনর্বাসন করে।
মার্কিন কর্মকর্তা নয়েসের সঙ্গে বৈঠকের পর মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, সরকার চায় যুক্তরাষ্ট্র ২০১৬ সালের আগে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করুক। কারণ মিয়ানমার সরকার তাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি নয়।
২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির অধীনে, মিয়ানমার ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছিল।
তাদের সংখ্যা ১০ লাখের বেশি। বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা ১২ লাখেরও বেশি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
যুক্তরাষ্ট্রে গেল রোহিঙ্গা শরণার্থীর প্রথম দল
বাংলাদেশ থেকে ২৪ জনের রোহিঙ্গা শরণার্থীর প্রথম দলটি বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
মাইনুল কবির নামে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
রোহিঙ্গাদের এ দলটি সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসনের জন্য চিহ্নিত প্রথম ব্যাচের ৬২ জনের মধ্য থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৩০০-৮০০ রোহিঙ্গা শরণার্থী যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসনের সুযোগ পেতে পারে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জাপানকে তাদের দেশে এক লাখ করে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের আনুরোধ জানান।
বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশ ১২ লাখের মতো রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে যে উদারতার নজির গড়েছে, বিশ্বে তা বিরল।
ইউএস ব্যুরো অফ পপুলেশন, রিফিউজিস অ্যান্ড মাইগ্রেশনের মার্কিন সহকারী সেক্রেটারি জুলিয়েট ভালস নয়েস বাংলাদেশে পাঁচ দিনের সফর শেষ করার একদিন পর এ পুনর্বাসন শুরু হলো।
তার সফরের সময় নয়েস বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র আরও রোহিঙ্গা পুনর্বাসন করবে তবে তিনি কোনো পরিসংখ্যান উল্লেখ করেননি।
তিনি বলেন, মিয়ানমার সরকারের গণহত্যার কারণে রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘায়িত হয়েছে, নিরাপদ ও টেকসই উপায়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব না হওয়া পর্যন্ত সমাধানের উপায় খোঁজার সময় এসেছে।
নয়েস বলেন, রোহিঙ্গারা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে সমাধান চায় তা হলো তাদের দেশে ফিরে যেতে পারা।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের সঙ্গে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ লোকদের চিহ্নিত করতে এবং তাদের জন্য তৃতীয় দেশের পুনর্বাসনের জন্য কাজ করছে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে কানাডা রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর পরিবারের প্রায় ৩৫ জন সদস্যকে পুনর্বাসন করে।
মার্কিন কর্মকর্তা নয়েসের সঙ্গে বৈঠকের পর মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, সরকার চায় যুক্তরাষ্ট্র ২০১৬ সালের আগে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করুক। কারণ মিয়ানমার সরকার তাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি নয়।
২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির অধীনে, মিয়ানমার ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছিল।
তাদের সংখ্যা ১০ লাখের বেশি। বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা ১২ লাখেরও বেশি।