গুজবে কান দেবেন না: শিক্ষামন্ত্রী
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:৪১:১৩ | অনলাইন সংস্করণ
পাঠ্যপুস্তক না খুলে দেখেই সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। গুজবে কান না দেওয়ার জন্যও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার দুপুরে কেরানীগঞ্জের কোনাখোলা এলাকায় আনোয়ার সিটি ম্যাজিক আইল্যান্ড নামের একটি রিসোর্টে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ কর্মকর্তা কর্মচারী কল্যাণ সমিতির বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, আপনারা যারা আমার মন্ত্রণালয়ের আছেন, তারাও সবাই বইটা খুলে দেখেন নাই। যা যা এদিক-সেদিক শুনছেন, সবাই ফিসফিস করে আশপাশের আত্মীয়স্বজন সবাইকে জিজ্ঞেস করেন, আসলেই কি এটা লিখছে, এটাতো ভালো কাজ হয় নাই! বলেন কিনা? আসলে বইটা কেউ খুলে দেখেন নাই। অথচ বইটা দেখা সবচেয়ে সোজা। বাড়ির আশপাশে স্কুল আছে, আপনাদের সন্তানরা সেখানে পড়াশুনা করছে, আপনারা সেখানে গিয়ে দেখুন। তাছাড়া মোবাইলে ইন্টানেটের মাধ্যমে এনসিটিবির ওয়েবসাইটে গেলেই বই পাবেন, বইয়ের পুরোটা আছে। একটু খুলে দেখে নেবেন, যেই যেই পাতায় যেসব ভুল আছে বলতেছে, আদৌ তা আছে কিনা? খুঁজে দেখবেন।
দীপু মনি বলেন, আমি মনে করি একজন ঈমানদার মুসলিম হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব সত্যতা যাচাই করে তারপরে সিদ্ধান্ত নেওয়া। অতএব গুজবে কান দেবেন না। চিলে কান নিয়ে গেছে শুনেই চিলের পিছে দৌড়াবেন না। আগে কানে হাত দিয়ে দেখুন কান আছে কি না।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু আরও বলেন, ভুল হয়ে থাকলে স্বীকার করে নেব। আমরা যারা কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম তারা কেউ ফেরেশতা নই, সবাই মানুষ। আমরা সতর্কতার সঙ্গে কাজ করেছি, তবুও ভুল হতে পারে। মানুষ মাত্রই ভুল হতে পারে। ভুল হলে সংশোধন করব, কিন্তু যা বলা হচ্ছে তা সবগুলোই মিথ্যা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন শাখা) বেলায়েত হোসেন তালুকদার, কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমেনা মারজান, কেরানীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ঈসমাইল হোসেন প্রমুখ।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
গুজবে কান দেবেন না: শিক্ষামন্ত্রী
পাঠ্যপুস্তক না খুলে দেখেই সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। গুজবে কান না দেওয়ার জন্যও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার দুপুরে কেরানীগঞ্জের কোনাখোলা এলাকায় আনোয়ার সিটি ম্যাজিক আইল্যান্ড নামের একটি রিসোর্টে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ কর্মকর্তা কর্মচারী কল্যাণ সমিতির বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, আপনারা যারা আমার মন্ত্রণালয়ের আছেন, তারাও সবাই বইটা খুলে দেখেন নাই। যা যা এদিক-সেদিক শুনছেন, সবাই ফিসফিস করে আশপাশের আত্মীয়স্বজন সবাইকে জিজ্ঞেস করেন, আসলেই কি এটা লিখছে, এটাতো ভালো কাজ হয় নাই! বলেন কিনা? আসলে বইটা কেউ খুলে দেখেন নাই। অথচ বইটা দেখা সবচেয়ে সোজা। বাড়ির আশপাশে স্কুল আছে, আপনাদের সন্তানরা সেখানে পড়াশুনা করছে, আপনারা সেখানে গিয়ে দেখুন। তাছাড়া মোবাইলে ইন্টানেটের মাধ্যমে এনসিটিবির ওয়েবসাইটে গেলেই বই পাবেন, বইয়ের পুরোটা আছে। একটু খুলে দেখে নেবেন, যেই যেই পাতায় যেসব ভুল আছে বলতেছে, আদৌ তা আছে কিনা? খুঁজে দেখবেন।
দীপু মনি বলেন, আমি মনে করি একজন ঈমানদার মুসলিম হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব সত্যতা যাচাই করে তারপরে সিদ্ধান্ত নেওয়া। অতএব গুজবে কান দেবেন না। চিলে কান নিয়ে গেছে শুনেই চিলের পিছে দৌড়াবেন না। আগে কানে হাত দিয়ে দেখুন কান আছে কি না।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু আরও বলেন, ভুল হয়ে থাকলে স্বীকার করে নেব। আমরা যারা কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম তারা কেউ ফেরেশতা নই, সবাই মানুষ। আমরা সতর্কতার সঙ্গে কাজ করেছি, তবুও ভুল হতে পারে। মানুষ মাত্রই ভুল হতে পারে। ভুল হলে সংশোধন করব, কিন্তু যা বলা হচ্ছে তা সবগুলোই মিথ্যা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন শাখা) বেলায়েত হোসেন তালুকদার, কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমেনা মারজান, কেরানীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ঈসমাইল হোসেন প্রমুখ।