গণমাধ্যম না থাকলে রাষ্ট্রই বিনষ্ট হয়ে যাবে: সিইসি
যুগান্তর প্রতিবেদন
২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ২২:৪৯:২২ | অনলাইন সংস্করণ
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, মিডিয়া না থাকলে দেশ ডিজাস্টার হয়ে যাবে। রাষ্ট্রই বিনষ্ট হয়ে যাবে। ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি করে গণমাধ্যম।
রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ‘রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) নতুন কমিটির দায়িত্বগ্রহণ ও বিদায়ি কমিটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সিইসি এ মন্তব্য করেন।
সিইসি বলেন, আমরা যদি মিডিয়াকে দেশ থেকে ছয় মাসের জন্য একেবারেই ব্লাকআউট করে দিতে পারি, তাহলে কিন্তু দেশে ডিজাস্টার হয়ে যাবে। রাষ্ট্রই বিনষ্ট হয়ে যাবে। কারণ মিডিয়া ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি করে। মিডিয়া সবাইকে চাপে রাখে। মিডিয়ার কারণে আমরাও (নির্বাচন কমিশন) চাপে থাকি।
গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আপনারা বস্তুনিষ্ঠভাবে সংবাদ সংগ্রহ করবেন ও পরিবেশন করবেন। আমাদের মধ্যে যদি কোনো বিচ্যুতি ঘটে এবং সেটি যদি আপনাদের দৃষ্টিতে চলে আসে, সেটিও প্রচার করবেন। আমার বিচ্যুতি ঘটবে কেন? সেগুলো আপনারা দেখবেন ও সংবাদ প্রচার করবেন। আপনারা সেটি করেন বলেই ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য অনেকটা তৈরি হয়।
দ্বাদশ জাতীয়-সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সামনে সাধারণ নির্বাচন আসছে। রাজনৈতিক কারণে, ঐতিহাসিক কারণে ওই নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। সেই নির্বাচনটা ঘনিয়ে আসছে। নির্বাচনে যারা প্রার্থী হন, মিডিয়ার কারণে তারাও সচেতন থাকেন। এমনকি যারা শক্তিমান তারাও মিডিয়ার ভ‚মিকাকে মূল্যায়ন করনে, যদি তারা বিবেকবান হন।
এর আগে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.) বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) যা ইচ্ছা লিখতে পারেন। কারণ আপনারা আপনাদের কাজের জন্য নিজেদের কাছে নিজেরা দায়বদ্ধ।
নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, নির্বাচনে সাংবাদিকদের বড় ভূমিকা রয়েছে। আপনারা কমিশনের গঠনমূলক সমালোচনা করবেন। পাশাপাশি কমিশনের কার্যক্রম ইতিবাচকভাবে তুলেও ধরবেন। তবে নির্বাচনের ওপর জনগণের নেতিবাচক ধারণা তৈরি না হয়, সেই বিষয়ে সতর্ক থাকবেন।
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং আরএফইডির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
গণমাধ্যম না থাকলে রাষ্ট্রই বিনষ্ট হয়ে যাবে: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, মিডিয়া না থাকলে দেশ ডিজাস্টার হয়ে যাবে। রাষ্ট্রই বিনষ্ট হয়ে যাবে। ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি করে গণমাধ্যম।
রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ‘রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) নতুন কমিটির দায়িত্বগ্রহণ ও বিদায়ি কমিটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সিইসি এ মন্তব্য করেন।
সিইসি বলেন, আমরা যদি মিডিয়াকে দেশ থেকে ছয় মাসের জন্য একেবারেই ব্লাকআউট করে দিতে পারি, তাহলে কিন্তু দেশে ডিজাস্টার হয়ে যাবে। রাষ্ট্রই বিনষ্ট হয়ে যাবে। কারণ মিডিয়া ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি করে। মিডিয়া সবাইকে চাপে রাখে। মিডিয়ার কারণে আমরাও (নির্বাচন কমিশন) চাপে থাকি।
গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আপনারা বস্তুনিষ্ঠভাবে সংবাদ সংগ্রহ করবেন ও পরিবেশন করবেন। আমাদের মধ্যে যদি কোনো বিচ্যুতি ঘটে এবং সেটি যদি আপনাদের দৃষ্টিতে চলে আসে, সেটিও প্রচার করবেন। আমার বিচ্যুতি ঘটবে কেন? সেগুলো আপনারা দেখবেন ও সংবাদ প্রচার করবেন। আপনারা সেটি করেন বলেই ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য অনেকটা তৈরি হয়।
দ্বাদশ জাতীয়-সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সামনে সাধারণ নির্বাচন আসছে। রাজনৈতিক কারণে, ঐতিহাসিক কারণে ওই নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। সেই নির্বাচনটা ঘনিয়ে আসছে। নির্বাচনে যারা প্রার্থী হন, মিডিয়ার কারণে তারাও সচেতন থাকেন। এমনকি যারা শক্তিমান তারাও মিডিয়ার ভ‚মিকাকে মূল্যায়ন করনে, যদি তারা বিবেকবান হন।
এর আগে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.) বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) যা ইচ্ছা লিখতে পারেন। কারণ আপনারা আপনাদের কাজের জন্য নিজেদের কাছে নিজেরা দায়বদ্ধ।
নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, নির্বাচনে সাংবাদিকদের বড় ভূমিকা রয়েছে। আপনারা কমিশনের গঠনমূলক সমালোচনা করবেন। পাশাপাশি কমিশনের কার্যক্রম ইতিবাচকভাবে তুলেও ধরবেন। তবে নির্বাচনের ওপর জনগণের নেতিবাচক ধারণা তৈরি না হয়, সেই বিষয়ে সতর্ক থাকবেন।
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং আরএফইডির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।