রোহিঙ্গা সংকট: জাতিসংঘকে জোরালো ভূমিকা পালনের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বাসস
২২ মার্চ ২০২৩, ১৩:৩০:৩৯ | অনলাইন সংস্করণ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত নোলিন হেজারকে রাখাইনে রোহিঙ্গা পরিস্থিতির উন্নয়নে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি অন্যান্য সব অংশীদারের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা আরও বাড়ানোর অনুরোধ করেছেন। বিশেষ করে রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণগুলো চিহ্নিত করে তা দ্রুত সমাধানের ওপর জোর দেন তিনি।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে বিশেষ দূতের সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মঙ্গলবার এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
রোহিঙ্গা বিষয়ে সাধারণ পরিষদ এবং নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত বিভিন্ন রেজুলেশনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশেষ দূতকে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বহুমুখী কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে এবং আসিয়ান নেতৃত্বসহ সব বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নেতার সঙ্গে আরও সম্পৃক্ত থাকার আহ্বান জানান।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সুযোগ দেওয়া হলে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হতে পারে এবং তাদের আর্থ-সামাজিক সমৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে।’
কক্সবাজার ও ভাসানচরে অবস্থিত অস্থায়ী ক্যাম্পে মিয়ানমারের পাঠ্যক্রমভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম প্রবর্তনসহ রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন মানবিক উদ্যোগ ও দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচিসমূহের কথা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ প্রেক্ষিতে তিনি বিশেষ দূতকে রোহিঙ্গাদের জন্য তাদের সবচেয়ে জরুরি চাহিদা যেমন— খাদ্য, শিক্ষা, আশ্রয় ও স্বাস্থ্যসেবা মেটাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে পর্যাপ্ত তহবিল সংগ্রহ করতে কাজ করার আহ্বান জানান।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড বার্ডেন শেয়ারিং’ নীতির আওতায় জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহ যাতে বাংলাদেশে মানবিক আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখে, সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐক্য ও সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বিশেষ দূতের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও ভূমিকা গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার করেন এবং তাকে বাংলাদেশের পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন। বিনিময়ে বিশেষ দূত পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর বিকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নেদারল্যান্ডসের রাজা উইলিয়াম-আলেকজান্ডার এবং তাজিকিস্তান প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রহমানের সঙ্গে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে একটি উচ্চ পর্যায়ের নৈশভোজে যোগদান করেন।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২২-২৪ মার্চ নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
রোহিঙ্গা সংকট: জাতিসংঘকে জোরালো ভূমিকা পালনের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত নোলিন হেজারকে রাখাইনে রোহিঙ্গা পরিস্থিতির উন্নয়নে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি অন্যান্য সব অংশীদারের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা আরও বাড়ানোর অনুরোধ করেছেন। বিশেষ করে রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণগুলো চিহ্নিত করে তা দ্রুত সমাধানের ওপর জোর দেন তিনি।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে বিশেষ দূতের সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মঙ্গলবার এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
রোহিঙ্গা বিষয়ে সাধারণ পরিষদ এবং নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত বিভিন্ন রেজুলেশনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশেষ দূতকে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বহুমুখী কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে এবং আসিয়ান নেতৃত্বসহ সব বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নেতার সঙ্গে আরও সম্পৃক্ত থাকার আহ্বান জানান।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সুযোগ দেওয়া হলে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হতে পারে এবং তাদের আর্থ-সামাজিক সমৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে।’
কক্সবাজার ও ভাসানচরে অবস্থিত অস্থায়ী ক্যাম্পে মিয়ানমারের পাঠ্যক্রমভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম প্রবর্তনসহ রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন মানবিক উদ্যোগ ও দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচিসমূহের কথা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ প্রেক্ষিতে তিনি বিশেষ দূতকে রোহিঙ্গাদের জন্য তাদের সবচেয়ে জরুরি চাহিদা যেমন— খাদ্য, শিক্ষা, আশ্রয় ও স্বাস্থ্যসেবা মেটাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে পর্যাপ্ত তহবিল সংগ্রহ করতে কাজ করার আহ্বান জানান।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড বার্ডেন শেয়ারিং’ নীতির আওতায় জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহ যাতে বাংলাদেশে মানবিক আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখে, সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐক্য ও সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বিশেষ দূতের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও ভূমিকা গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার করেন এবং তাকে বাংলাদেশের পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন। বিনিময়ে বিশেষ দূত পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর বিকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নেদারল্যান্ডসের রাজা উইলিয়াম-আলেকজান্ডার এবং তাজিকিস্তান প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রহমানের সঙ্গে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে একটি উচ্চ পর্যায়ের নৈশভোজে যোগদান করেন।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২২-২৪ মার্চ নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।