হজ নিবন্ধন: ৯ শতাংশ আসন খালি, কমছে না খরচ
jugantor
হজ নিবন্ধন: ৯ শতাংশ আসন খালি, কমছে না খরচ

  যুগান্তর প্রতিবেদন  

২২ মার্চ ২০২৩, ১৪:০১:৩৩  |  অনলাইন সংস্করণ

হজের খরচ বেড়ে যাওয়ায় চার দফা সময় বাড়িয়েও কোটা পূরণ হয়নি। ৯ শতাংশ আসন খালি রেখেই গতকাল নিবন্ধনের সময় শেষ হয়েছে।

এদিকে এতো সমালোচনা ও আপত্তি সত্ত্বেও হজের খরচ কমছে না। সবশেষ বিমান মন্ত্রণালয়কে বিমান ভাড়া কমানোর নির্দেশনা দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। বিমান ভাড়াও কমছে না।

চুক্তি অনুযায়ী এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন। কিন্তু দফায় দফায় নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েও এই কোটা পূরণ করা যায়নি। চতুর্থ দফায় ১৭ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত পাঁচ দিন সময় বাড়িয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, কোনো অবস্থায় নিবন্ধনের সময় আর বাড়ানো হবে না। কিন্তু শেষ সময়ে সাড়া মিলেছে কেবল চার হাজার ৬০১ জনের। কোটা পূরণ হতে এখনো ১১ হাজার ৫৮৭ জন বাকি; যা মোট কোটার ৯ শতাংশ।

জানা যায়, তৃতীয় দফার শেষ সময় ১৬ মার্চ (বৃহস্পতিবার) রাত ৮টা পর্যন্ত মোট নিবন্ধন করেন এক লাখ ১১ হাজার ১০ জন। তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯ হাজার ৬৮৪ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ এক হাজার ৩২৬ জন। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) শেষ সময় পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নিবন্ধন করেছেন এক লাখ ১৫ হাজার ৬১১ জন। এর মধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৯ হাজার ৮২৯ জন এবং বেসরকারিতে নিবন্ধন করেছেন এক লাখ পাঁচ হাজার ৭৮২ জন।

চলতি বছর হজের জন্য সরকারি প্যাকেজে সর্বনিম্ন ছয় লাখ ৮৩ হাজার টাকা ও বেসরকারি প্যাকেজ ছয় লাখ ৭২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার প্যাকেজের মূল্য বেড়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। অনেকেই এটাকে অস্বাভাবিক মনে করছেন। ডলার, রিয়াল ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিমান ভাড়া বাড়ার অজুহাতে প্যাকেজের খরচ বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়াও প্যাকেজের বাইরে যাত্রীর রয়েছে আরও বিভিন্ন ধরনের খরচ। সব মিলে প্যাকেজের বাইরে আরও খরচ রয়েছে।

হজ প্যাকেজের খরচ মাত্রাতিরিক্ত বাড়ানো নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। খরচ কমানের দাবিও উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। তবে খরচ কমানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

হজ নিবন্ধন: ৯ শতাংশ আসন খালি, কমছে না খরচ

 যুগান্তর প্রতিবেদন 
২২ মার্চ ২০২৩, ০২:০১ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

হজের খরচ বেড়ে যাওয়ায় চার দফা সময় বাড়িয়েও কোটা পূরণ হয়নি। ৯ শতাংশ আসন খালি রেখেই গতকাল নিবন্ধনের সময় শেষ হয়েছে। 

এদিকে এতো সমালোচনা ও আপত্তি সত্ত্বেও হজের খরচ কমছে না। সবশেষ বিমান মন্ত্রণালয়কে বিমান ভাড়া কমানোর নির্দেশনা দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। বিমান ভাড়াও কমছে না।

চুক্তি অনুযায়ী এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন। কিন্তু দফায় দফায় নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েও এই কোটা পূরণ করা যায়নি। চতুর্থ দফায় ১৭ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত পাঁচ দিন সময় বাড়িয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, কোনো অবস্থায় নিবন্ধনের সময় আর বাড়ানো হবে না। কিন্তু শেষ সময়ে সাড়া মিলেছে কেবল চার হাজার ৬০১ জনের। কোটা পূরণ হতে এখনো ১১ হাজার ৫৮৭ জন বাকি; যা মোট কোটার ৯ শতাংশ। 

জানা যায়, তৃতীয় দফার শেষ সময় ১৬ মার্চ (বৃহস্পতিবার) রাত ৮টা পর্যন্ত মোট নিবন্ধন করেন এক লাখ ১১ হাজার ১০ জন। তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯ হাজার ৬৮৪ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ এক হাজার ৩২৬ জন। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) শেষ সময় পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নিবন্ধন করেছেন এক লাখ ১৫ হাজার ৬১১ জন। এর মধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৯ হাজার ৮২৯ জন এবং বেসরকারিতে নিবন্ধন করেছেন এক লাখ পাঁচ হাজার ৭৮২ জন।

চলতি বছর হজের জন্য সরকারি প্যাকেজে সর্বনিম্ন ছয় লাখ ৮৩ হাজার টাকা ও বেসরকারি প্যাকেজ ছয় লাখ ৭২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার প্যাকেজের মূল্য বেড়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। অনেকেই এটাকে অস্বাভাবিক মনে করছেন। ডলার, রিয়াল ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিমান ভাড়া বাড়ার অজুহাতে প্যাকেজের খরচ বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়াও প্যাকেজের বাইরে যাত্রীর রয়েছে আরও বিভিন্ন ধরনের খরচ। সব মিলে প্যাকেজের বাইরে আরও খরচ রয়েছে।

হজ প্যাকেজের খরচ মাত্রাতিরিক্ত বাড়ানো নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। খরচ কমানের দাবিও উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। তবে খরচ কমানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
 

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন